জমি কেনাবেচার কর থেকে ১% থাকে এলাকার উন্নয়নের জন্য। এই টাকা জমা হয় উপজেলার ১%-এর ব্যাংক হিসাবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ টাকা বণ্টন করেন এলাকার ইউনিয়ন পরিষদগুলোর (ইউপি) মাঝে। রাজশাহীর গোদাগাড়ীর ইউএনও ফয়সাল আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, ১% এর টাকা বণ্টন করার সময় তিনি ২৫% ঘুষ নেন।
অতিষ্ট সাধারণ মানুষ
দালাল সিন্ডিকেট সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে পে-অর্ডার নামের আরেকটি চাঁদাবাজি কার্যক্রম চালাচ্ছে। অভিযোগ অনুযায়ী, পাঁচ কোটি টাকার একটি দলিলে ১৫ লক্ষ টাকা অতিরিক্ত নেয়া হয়েছে। ৩৮ হাজার টাকার দলিলে ২৫ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব ভবনে অর্থ উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সেবা খাতে বেশি দুর্নীতি বিদ্যমান। উপদেষ্টা হওয়ার আগে আমি নিজেও বাধ্য হয়ে ঘুষ দিয়েছি। কাজটি যাতে সময়মতো হয়, এ জন্য এই বাড়তি টাকা দিতে হয়েছে।
ড. কবিরুল ইসলাম বলেন, একজন আমলা হিসেবে এক বছরে সচিবালয়ে গণঅভ্যুত্থানের উদ্দেশ্যের প্রতিফলন দেখতে পাইনি। একজন অফিসারের মধ্যেও এই বোধ তৈরি হয়নি যে -আমাদের পরিবর্তন হওয়া দরকার। আগের মতোই সেখানে চলছে ঘুষ-দুর্নীতি। যেরকম রাষ্ট্র চাওয়া হয়েছিল -অন্তত আমলাতন্ত্রে এরকম কোন পরিবর্তন আমি দেখতে পাইনি।