স্টাফ রিপোর্টার
গণঅভ্যুত্থানের উদ্দেশ্যের কোন প্রতিফলন সচিবালয়ে দেখতে পাইনি বরং আগের মতোই চলছে ঘুষ-দুর্নীতি বলে মন্তব্য করেছেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম।
শনিবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কর্তৃক আয়োজিত 'বাংলাদেশ ২.০ : কেমন হবে আমাদের পাঠ্যপুস্তক?' শীর্ষক গোল টেবিল আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এমন্তব্য করেন।
ড. কবিরুল ইসলাম বলেন, একজন আমলা হিসেবে এক বছরে সচিবালয়ে গণঅভ্যুত্থানের উদ্দেশ্যের প্রতিফলন দেখতে পাইনি। একজন অফিসারের মধ্যেও এই বোধ তৈরি হয়নি যে -আমাদের পরিবর্তন হওয়া দরকার। আগের মতোই সেখানে চলছে ঘুষ-দুর্নীতি। যেরকম রাষ্ট্র চাওয়া হয়েছিল -অন্তত আমলাতন্ত্রে এরকম কোন পরিবর্তন আমি দেখতে পাইনি। কেউই ভাবে না যে, আমাদের সন্তানগুলো কেন জীবন দিল? যদি ভাবেও সেটি ১ শতাংশের বেশি নয়। তার মানে কি এতো রক্ত বৃথা যাবে?
যে শিক্ষা মানুষ বানায় সে শিক্ষা চাই উল্লেখ করে তিনি বলেন, একজন পড়াশোনা করা প্রকৌশলী যদি সে মানুষ না হয় তাহলে সে রডের বদলে বাঁশ দিবে। একজন চিকিৎসক যদি মানুষ না হয়, ৩০ শতাংশ কমিশন নিবে। যদি শিক্ষা মানুষকে প্রকৃত মানুষ না করে, তবে চিকিৎসক হলে হবে কসাই, প্রকৌশলী হলে হবে চোর, আর সচিব-পুলিশ-আর্মি অফিসাররা হবে খুনি।
এসময় তিনি বাংলাদেশের শিক্ষা বিভাগের জন্য আলাদাভাবে স্থায়ী শিক্ষা কমিশন গঠনের দাবি জানান।
বাংলাদেশে পাঠ্যপুস্তক লেখার মত যোগ্য লোকের ভয়াবহ অভাব উল্লেখ করে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম বলেন, বাংলাদেশে বাংলায় পাঠ্যপুস্তক লেখার মত লোক নেই। আর ইংরেজির কথা কী বলব! কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ট্রান্সলেট করে। যোগ্য লোকের ভয়াবহ অভাব। এরপরেও আমি পাঠ্যপুস্তক নিয়ে বলব -প্রতি বছর সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পরিবর্তন আনার জন্য। কারণ পাঠ্যপুস্তক পরিবর্তন করেও খুব একটা লাভ নেই। প্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়ানোর মতো যোগ্য লোক নেই। সামান্য বেতনে যোগ্য লোক কাজ করবে না। তাই মূলত লক্ষ্য হিসেবে ধরা উচিৎ শিক্ষাখাতে বাজেট বাড়ানো। আর সেটি হতে হবে অবশ্যই মোট জিডিপির অন্তত ৪ শতাংশ। আর এটি আমি মনে করি সবগুলো দলের নির্বাচনী ইশতেহারের প্রথমেই থাকা উচিৎ।
এছাড়াও তিনি তার বক্তব্যে সারাদেশে অন্তত প্রত্যেকটি উপজেলায় একটি করে পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করার আহ্বান জানান।
লেখক ও চিন্তক সারোয়ার তুষার বলেন, আমরা অনেক বেশি সংস্কারের কথা বলছি অথচ আমাদের শিক্ষা বিষয়ক কোন সংস্কার আমরা দেখতে পাচ্ছি না। অথচ বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে সুসংগতভাবে গড়ে তুলতে হলে প্রথম যে কাজ -সেটি হলো শিক্ষা খাতের সংস্কার করা। শিক্ষা খাতের সংস্কার ব্যতীত অন্য সব সংস্কার করে কোন লাভ নেই।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন'র সাধারণ সম্পাদক হাসান এনাম এর সভাপতিত্বে বৈঠকে আরো আলোচনা করেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, ড. হেদায়েত উল্লাহ মোরশেদ আলম প্রমুখ।
গণঅভ্যুত্থানের উদ্দেশ্যের কোন প্রতিফলন সচিবালয়ে দেখতে পাইনি বরং আগের মতোই চলছে ঘুষ-দুর্নীতি বলে মন্তব্য করেছেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম।
শনিবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কর্তৃক আয়োজিত 'বাংলাদেশ ২.০ : কেমন হবে আমাদের পাঠ্যপুস্তক?' শীর্ষক গোল টেবিল আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এমন্তব্য করেন।
ড. কবিরুল ইসলাম বলেন, একজন আমলা হিসেবে এক বছরে সচিবালয়ে গণঅভ্যুত্থানের উদ্দেশ্যের প্রতিফলন দেখতে পাইনি। একজন অফিসারের মধ্যেও এই বোধ তৈরি হয়নি যে -আমাদের পরিবর্তন হওয়া দরকার। আগের মতোই সেখানে চলছে ঘুষ-দুর্নীতি। যেরকম রাষ্ট্র চাওয়া হয়েছিল -অন্তত আমলাতন্ত্রে এরকম কোন পরিবর্তন আমি দেখতে পাইনি। কেউই ভাবে না যে, আমাদের সন্তানগুলো কেন জীবন দিল? যদি ভাবেও সেটি ১ শতাংশের বেশি নয়। তার মানে কি এতো রক্ত বৃথা যাবে?
যে শিক্ষা মানুষ বানায় সে শিক্ষা চাই উল্লেখ করে তিনি বলেন, একজন পড়াশোনা করা প্রকৌশলী যদি সে মানুষ না হয় তাহলে সে রডের বদলে বাঁশ দিবে। একজন চিকিৎসক যদি মানুষ না হয়, ৩০ শতাংশ কমিশন নিবে। যদি শিক্ষা মানুষকে প্রকৃত মানুষ না করে, তবে চিকিৎসক হলে হবে কসাই, প্রকৌশলী হলে হবে চোর, আর সচিব-পুলিশ-আর্মি অফিসাররা হবে খুনি।
এসময় তিনি বাংলাদেশের শিক্ষা বিভাগের জন্য আলাদাভাবে স্থায়ী শিক্ষা কমিশন গঠনের দাবি জানান।
বাংলাদেশে পাঠ্যপুস্তক লেখার মত যোগ্য লোকের ভয়াবহ অভাব উল্লেখ করে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম বলেন, বাংলাদেশে বাংলায় পাঠ্যপুস্তক লেখার মত লোক নেই। আর ইংরেজির কথা কী বলব! কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ট্রান্সলেট করে। যোগ্য লোকের ভয়াবহ অভাব। এরপরেও আমি পাঠ্যপুস্তক নিয়ে বলব -প্রতি বছর সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পরিবর্তন আনার জন্য। কারণ পাঠ্যপুস্তক পরিবর্তন করেও খুব একটা লাভ নেই। প্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়ানোর মতো যোগ্য লোক নেই। সামান্য বেতনে যোগ্য লোক কাজ করবে না। তাই মূলত লক্ষ্য হিসেবে ধরা উচিৎ শিক্ষাখাতে বাজেট বাড়ানো। আর সেটি হতে হবে অবশ্যই মোট জিডিপির অন্তত ৪ শতাংশ। আর এটি আমি মনে করি সবগুলো দলের নির্বাচনী ইশতেহারের প্রথমেই থাকা উচিৎ।
এছাড়াও তিনি তার বক্তব্যে সারাদেশে অন্তত প্রত্যেকটি উপজেলায় একটি করে পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করার আহ্বান জানান।
লেখক ও চিন্তক সারোয়ার তুষার বলেন, আমরা অনেক বেশি সংস্কারের কথা বলছি অথচ আমাদের শিক্ষা বিষয়ক কোন সংস্কার আমরা দেখতে পাচ্ছি না। অথচ বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে সুসংগতভাবে গড়ে তুলতে হলে প্রথম যে কাজ -সেটি হলো শিক্ষা খাতের সংস্কার করা। শিক্ষা খাতের সংস্কার ব্যতীত অন্য সব সংস্কার করে কোন লাভ নেই।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন'র সাধারণ সম্পাদক হাসান এনাম এর সভাপতিত্বে বৈঠকে আরো আলোচনা করেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, ড. হেদায়েত উল্লাহ মোরশেদ আলম প্রমুখ।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আজ বুধবার বিকাল ৫টার পরিবর্তে সন্ধ্যা ৬টায় সাক্ষাৎ করবে জামায়াতে ইসলামী। দলটির নায়েবে আমিরর সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহেরের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় যাবেন।
২ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বুধবার বিকেল ৫টায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
২ ঘণ্টা আগেজামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে শিক্ষকরা জাতি ও সমাজ গঠনে অনন্য ভূমিকা পালন করেন। তাদের অবহেলা করে কোনো দেশ বা সমাজের উন্নয়ন সম্ভব নয়।
৭ ঘণ্টা আগেত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ৮৪ জনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)। মঙ্গলবার রাজধানীর মগবাজারের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তালিকা ঘোষণা করেন দলটির সভাপতি ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম।
১১ ঘণ্টা আগে