সমাজে নতুন করে ফ্যাসিবাদী তৎপরতা লক্ষ্য করছি বলে মন্তব্য করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি (ঢাকা মহানগর কমিটি) আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।
সাইফুল হক বলেন, ‘নতুন করে আরেকটা ফ্যাসিবাদী তৎপরতা আমরা সমাজের মাঝে লক্ষ্য করেছি। সরকারের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে এবং বিভিন্ন দল যারা গণতন্ত্রের কথা বলেন, তাদের আচরণেও আমরা নানা স্বৈরতান্ত্রিক প্রবণতা লক্ষ্য করছি। ক্ষমতায় যাওয়ার আগে একটি দল ফ্যাসিবাদের মতো আচরণ করছে। একটা রাষ্ট্রীয় ফ্যাসিবাদকে বিদায় দিয়েছি। নতুন কোন ফ্যাসিবাদকে, নতুন কোন ষড়তন্ত্রকে আমরা কোনোভাবেই বাংলাদেশে যা খুশি করার লাইসেন্স দিতে পারি না।’
নির্বাচন গ্রহণযোগ্য না হলে এর দায় নির্বাচন কমিশন ও সরকারকে নিতে হবে বলে জানান এই নেতা। তিনি বলেন, নির্বাচন কোন কারণে যদি বিতর্কিত হয়, দেশে বিদেশে গ্রহণযোগ্যতা না পায়, তার দায়-দায়িত্ব বর্তমান সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে বহন করতে হবে। আমরা এমন নির্বাচন চাই না, যেখানে একাংশ মাঠে নেই। যারা মাঠে আছেন তারা যদি প্রতিদিন ফাউল করেন বা নির্বাচনের নামে জবরদস্তি করেন, তাহলে নির্বাচন এবং নির্বাচনি পার্লামেন্ট প্রশ্নবিদ্ধ হবে। এতে সরকারের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও সন্দেহ তৈরি হবে। বর্তমানে, নির্বাচন কমিশন এবং সরকার একটি অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে পারেনি, যা উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। নতুন আরপিও জারি হওয়ার পর, নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় টাকার খেলা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এসময় আগামী সংসদও কালো টাকা, ধনী গোষ্ঠী ও দুর্নীতিবাজদের ক্লাবে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন সাইফুল হক। তিনি বলেন, প্রার্থীদের জামানত দ্বিগুণেরও বেশি বাড়ানো হয়েছে, ব্যয়সীমাও বাড়ানো হয়েছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা ইতোমধ্যেই কোটি টাকা খরচ করছেন। ফলে নির্বাচন এখন ব্যবসা ও বিনিয়োগের ক্ষেত্র হয়ে গেছে। যদি এ অবস্থা চলতে থাকে, তবে আগামী সংসদও কালো টাকা, ধনী গোষ্ঠী ও দুর্নীতিবাজদের ক্লাবে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বক্তব্যের শুরুতে, সাইফুল হক বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।

