দৌলতপুর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে ঘুষ, দুর্নীতি ও দালাল সিন্ডিকেটের দাপটে সাধারণ মানুষ চরম অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। সরকারি সময়সূচি উপেক্ষা করে সকাল ১০টার বদলে বিকেল ৪টার পর অফিস খোলার অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, বিকেল ৫টার পর লেট ফি নিয়ে দলিল লেখক সিন্ডিকেটের সহায়তায় দলিল রেজিস্ট্রি করা হয়। সরকারি ফিস ৭৮০ টাকা হলেও হেবা দলিলে আদায় হয় তিন হাজার ২২০ টাকা, কবলা দলিলে ৩৮০ টাকা থাকা সত্ত্বেও নেয়া হয় ৩১২০ টাকা। এর সঙ্গে খাস কামরায় দলিল হলে প্রতি দলিল অতিরিক্ত পাঁচ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়।
দালাল সিন্ডিকেট সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে পে-অর্ডার নামের আরেকটি চাঁদাবাজি কার্যক্রম চালাচ্ছে। অভিযোগ অনুযায়ী, পাঁচ কোটি টাকার একটি দলিলে ১৫ লক্ষ টাকা অতিরিক্ত নেয়া হয়েছে। ৩৮ হাজার টাকার দলিলে ২৫ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, অভিযোগ দিলেও প্রশাসনের কোনো হস্তক্ষেপ নেই।
সাব-রেজিস্ট্রার বোরহান উদ্দিন সরকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং দোষ চাপিয়েছেন দলিল লেখক ও দালালদের উপর।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল হাই সিদ্দিকী বলেন, ‘সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের দুর্নীতির অভিযোগ এত বেশি শুনতে হচ্ছে যে, আমি অতীষ্ঠ হয়ে পড়েছি। ভবিষ্যতে সরাসরি উপস্থিত থেকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেব।’
দৌলতপুরবাসী আশা করছেন, প্রশাসনের কার্যকর হস্তক্ষেপে তাদের সরকারি সেবা অবাধে, স্বচ্ছভাবে পাওয়া সম্ভব হবে।

