পাবনার ঈশ্বরদীতে জামায়াতের নির্বাচনি প্রচারণাকালে বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলার সময় লুট হওয়া মোটরসাইকেলের আরো ৭টি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার দুপুরে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ি এলাকার শাহপাড়ার আমবাগান, মালপাড়ার ফসলি জমি ও আশপাশের জঙ্গল থেকে মোটরসাইকেলগুলো উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার আগুনে পোড়া চারটি এবং শনিবার উদ্ধার হওয়া নয়টির পর নতুন করে আরো সাতটি মোটরসাইকেল উদ্ধারের মধ্য দিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ২০টি লুট হওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার করতে সক্ষম হলো পুলিশ। উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয় ঈশ্বরদী থানা পুলিশের একটি বিশেষ দল।
মোটরসাইকেল উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমার সরকার বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। উদ্ধার করা মোটরসাইকেলগুলো থানায় জমা রাখা হয়েছে। তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে শিগগিরই বিস্তারিত জানানো হবে।’
এর আগে শনিবার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিবের অনুসারী সাহাপুর ইউনিয়ন কৃষকদলের আহ্বায়ক ও জামায়াতের দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি মক্কেল মৃধার বাড়ির পাশের বাঁশঝাড় থেকে নয়টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়িতে নির্বাচনি প্রচারণা চলাকালে বিএনপির নেতা মক্কেল মৃধার নেতৃত্বে জামায়াত নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে অর্ধশতাধিক জামায়াত কর্মী আহত হন। জামায়াতের দাবি, হামলাকারীরা তাদের বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে এবং প্রায় ৪০টি মোটরসাইকেল লুট করে নিয়ে যায়।
ঈশ্বরদী উপজেলা জামায়াতের আমির ড. নুরুজ্জামান প্রামাণিক বলেন, ‘এখনো বহু মোটরসাইকেল নিখোঁজ রয়েছে। দ্রুত বাকিগুলো উদ্ধারে প্রশাসনের আরো সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মক্কেল মৃধার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে নির্বাচনি সহিংসতার ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে এখনো আতঙ্ক বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।

