হাট ইজারার অর্থ আত্মসাৎ

সাবেক মেয়রসহ আটজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

রাজশাহী অফিস
প্রকাশ : ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৯: ৫৭

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী ও রুস্তমপুর হাটের ইজারার অর্থ, ভ্যাট ও কর আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক মেয়র মুক্তার আলীসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

বিজ্ঞাপন

মাহবুবুর রহমান বলেন, ২০১৬-১৭ থেকে ২০২১-২২ অর্থবছরের মধ্যে পৌর কর্তৃপক্ষ নীতিমালা ভঙ্গ করে হাটের ইজারা দেয়। এ সময় কোটি টাকার বেশি রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। আসামিরা যোগসাজশে বিবিধ রসিদের মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ করলেও তা পৌরসভার হিসাবে জমা দেননি। নীতিমালা ভঙ্গ করে এই অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।

আসামিরা হলেন- আড়ানী পৌরসভার সাবেক মেয়র মুক্তার আলী, সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র কার্ত্তিক চন্দ্র হালদার, রুস্তমপুর হাটের সাবেক ইজারাদার মামুন হোসেন, আবুল খায়ের সুমন ও একরামুল হক, আড়ানী হাটের সাবেক ইজারাদার ওবাইদুল ইসলাম, পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. আসাদুজ্জামান এবং পৌরসভার সাবেক সহকারী প্রকৌশলী ও ভারপ্রাপ্ত সচিব শহিদুল ইসলাম।

দুদকের অভিযোগ অনুযায়ী, হাটবাজারের ইজারাদারকে প্রস্তাবিত ইজারামূল্যের ৩০ শতাংশ বিডি আকারে জমা দেওয়ার পর সাত দিনের মধ্যে বাকি অর্থ পরিশোধ ও চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করা বাধ্যতামূলক। এছাড়া ইজারামূল্যের ওপর ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও ৫ শতাংশ আয়কর দেওয়ার নিয়ম ছিল।

কিন্তু তদন্তে দেখা গেছে, আসামিরা দরপত্রের সঙ্গে শুধু আংশিক অর্থ জমা নিয়েছেন। পরবর্তী সময়ে বাকি অর্থ আদায় না করেই চুক্তিপত্র স্বাক্ষর না করে হাটের ইজারা দিয়েছেন।

এতে ইজারাদাররা ইজারামূল্যের ১ কোটি ২২ লাখ ৮০ হাজার ৮৬৫ টাকা, ভ্যাটের ১৫ লাখ ৭ হাজার ২২৬ টাকা ও আয়করের ১ লাখ ৫০ হাজার ১৭ টাকা পরিশোধ করেননি। সব মিলিয়ে পৌরসভার মোট ১ কোটি ৩৯ লাখ ৩৮ হাজার ১০৮ টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে।

অভিযুক্ত সাবেক মেয়র মুক্তার আলী আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি গ্রেপ্তার হন এবং বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। আগেও মুক্তার আলীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা হয়েছে। মেয়র থাকাকালে পৌরসভার গাড়ি না থাকা সত্ত্বেও তেল খরচ বাবদ পৌর তহবিল থেকে ১৪ লাখ ৫২ হাজার টাকা তুলে নেন।

একইভাবে পাঁচজন ভুয়া কর্মচারী নিয়োগ দেখিয়ে বেতন বাবদ আরো ৪ লাখ ৪৮ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। এসব ঘটনায় দুদক তার বিরুদ্ধে আরো দুটি মামলা করেছে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত