
সবুর শাহ্ লোটাস, বগুড়া

আজ রবিবার (১৬ নভেম্বর) বাঙালির ৩০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী নবান্ন উৎসব। সারা দেশের মতো বগুড়াতেও চলছে নবান্ন উৎসব। বগুড়ার বিভিন্ন এলাকাতে মেলা বসেছে। হিন্দুদের সাথে মুসলমান ও অন্যান্যরাও সমানভাবে মেলার আনন্দে অংশ নিয়েছে। বাড়িতে বাড়িতে মেয়ে-জামাইসহ আত্মীয়স্বজনদের আগে থেকেই নিমন্ত্রণ করা হয়। সবাই মিলে নতুন ধানের নবান্ন উৎসবে মেতে ওঠেছেন।
নবান্ন উৎসব ঘিরে উথলী, রথবাড়ী, ছোট ও বড় নারায়ণপুর, ধোন্দাকোলা, সাদুল্লাপুর, বেড়াবালা, আকনপাড়া, গরীবপুর, দেবীপুর, গুজিয়া, মেদেনীপাড়া, বাকশন, গণেশপুর, মহাস্থান, মোকামতলা, পাকুড়তলা, রহবল শিবগঞ্জসহ প্রায় ২০ গ্রামের মানুষের ঘরে ঘরে শুরু হয়েছে নানা আয়োজন। বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে পহেলা অগ্রহায়ণেই নবান্ন উৎসব পালিত হয়ে থাকে। সরকারি হিসাবে পহেলা অগ্রহায়ণ ছিল ১৬ নভেম্বর শনিবার। আর সনাতনী পঞ্জিকামতে পরদিন অর্থাৎ আজ ১৭ নভেম্বর রবিবার পহেলা অগ্রহায়ণ।
নবান্ন উপলক্ষে শিবগঞ্জের উথলী বাজারে মেলা বসেছে। মেলার মূল আকর্ষণ বড় মাছ। নবান্নের মেলা উপলক্ষে উথলীর পাশাপাশি আশ-পাশের অন্তত ২০ গ্রামের ঘরে ঘরে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়দের পাশাপাশি শহর থেকেও অনেকে গাড়ি ও মোটর বাইক নিয়ে ছুটে গেছেন নবান্নের ওই মেলায়। মাছগুলো প্রকার ভেদে প্রতি কেজি ৩০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
রোববার সকাল থেকেই বগুড়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রেতা ও বিক্রেতারা বড় মাছ কেনাবেচার জন্য মেলায় ভিড় জমিয়েছেন। মাছের আড়তের মালিক মোমিন মোল্লা বলেন, এই মেলায় এক দিনে কয়েক কোটি টাকার মাছ বিক্রি হয়ে থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না।
ছোট-বড় মিলে শতাধিক মাছের দোকান বসেছে। প্রত্যেক বিক্রেতা অন্তত ৫ থেকে ১০ মণ করে মাছ বিক্রি করেন। মেলায় মাছ সরবরাহের জন্য সেখানে রাত থেকে ১৫-২০ টি আড়ত থেকে স্থানীয় বিক্রেতারা পাইকারি দরে মাছ কিনে মেলায় খুচরা বিক্রি করেন।
মাছ বিক্রেতা আনোয়ার ও শরিফ বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর মাছের দাম বেশি হলেও মানুষজন মাছ কিনছেন।
স্থানীয় উথলী গ্রামের বাসিন্দা হোসেন জানান, ‘তিনি নানা কাছ থেকে শুনেছেন এই মেলার বয়স প্রায় ৩শ বছর। ব্যতিক্রমী এই মেলা রাত ১২টার পর থেকেই শুরু হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে।’ ভোরেই মেলায় বড় মাছ নিয়ে হাজির হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। শতাধিক দোকানে বোয়াল, রুই, কাতলা, চিতল, সিলভার কার্প, ব্রিগেড কার্প, ব্লাড কার্পসহ নানা রকমের মাছ বিক্রি হচ্ছে। মেলায় রুই, কাতলা ও চিতল মাছ ৪৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও মাঝারি আকারের মাছ ৩০০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ৩০০-৪৫০ টাকা দরে ব্রিগেড ও সিলভার কার্প মাছ বিক্রি করতে দেখা গেছে।
জেলার আদমদীঘি উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামে শনিবার নবান্নের মেলা বসেছিল। নন্দী-গ্রাম উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামেও নবান্নের মেলা বসেছে। মেলাগুলোতে আশ-পাশের জেলা এবং উপজেলার বিভিন্ন বিল ও পুকুর এবং নদীর রুই, কাতলা, মৃগেল, ব্রিগেড, সিলভার কার্প, পাঙ্গাশের পাশাপাশি চিতল এবং কালবাউশ মাছ ওঠেছে।
দর্শনার্থী মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘নবান্ন উপলক্ষে বাড়িতে আত্মীয় -স্বজনদের আগমনে মিলনমেলায় পরিণত হয়। এ জন্যই বড় মাছ কিনতে মেলায় আসা হয়েছে।’
দূর-দূরান্ত থেকে নারীরাও পছন্দের মাছ কিনতে আসেন। ৮ থেকে ১৬ বছরের শিশু-কিশোররাও বড়দের হাত ধরে মেলায় নেয়। শিশুদের বিনোদনের জন্য নাগর দোলার পাশাপাশি রসগোল্লা এবং জিলাপির পাশাপাশি বিভিন্ন রকমের ফাস্ট ফুডের দোকানেরও দেখা মিলেছে। এছাড়া রসালো আচারের দোকান চোখে পরার মতো। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা নবান্নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নতুন আলু, ফুল কপি, বাঁধা কপি, কেশুর এবং মিষ্টি আলু বিক্রি করছেন।

আজ রবিবার (১৬ নভেম্বর) বাঙালির ৩০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী নবান্ন উৎসব। সারা দেশের মতো বগুড়াতেও চলছে নবান্ন উৎসব। বগুড়ার বিভিন্ন এলাকাতে মেলা বসেছে। হিন্দুদের সাথে মুসলমান ও অন্যান্যরাও সমানভাবে মেলার আনন্দে অংশ নিয়েছে। বাড়িতে বাড়িতে মেয়ে-জামাইসহ আত্মীয়স্বজনদের আগে থেকেই নিমন্ত্রণ করা হয়। সবাই মিলে নতুন ধানের নবান্ন উৎসবে মেতে ওঠেছেন।
নবান্ন উৎসব ঘিরে উথলী, রথবাড়ী, ছোট ও বড় নারায়ণপুর, ধোন্দাকোলা, সাদুল্লাপুর, বেড়াবালা, আকনপাড়া, গরীবপুর, দেবীপুর, গুজিয়া, মেদেনীপাড়া, বাকশন, গণেশপুর, মহাস্থান, মোকামতলা, পাকুড়তলা, রহবল শিবগঞ্জসহ প্রায় ২০ গ্রামের মানুষের ঘরে ঘরে শুরু হয়েছে নানা আয়োজন। বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে পহেলা অগ্রহায়ণেই নবান্ন উৎসব পালিত হয়ে থাকে। সরকারি হিসাবে পহেলা অগ্রহায়ণ ছিল ১৬ নভেম্বর শনিবার। আর সনাতনী পঞ্জিকামতে পরদিন অর্থাৎ আজ ১৭ নভেম্বর রবিবার পহেলা অগ্রহায়ণ।
নবান্ন উপলক্ষে শিবগঞ্জের উথলী বাজারে মেলা বসেছে। মেলার মূল আকর্ষণ বড় মাছ। নবান্নের মেলা উপলক্ষে উথলীর পাশাপাশি আশ-পাশের অন্তত ২০ গ্রামের ঘরে ঘরে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়দের পাশাপাশি শহর থেকেও অনেকে গাড়ি ও মোটর বাইক নিয়ে ছুটে গেছেন নবান্নের ওই মেলায়। মাছগুলো প্রকার ভেদে প্রতি কেজি ৩০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
রোববার সকাল থেকেই বগুড়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রেতা ও বিক্রেতারা বড় মাছ কেনাবেচার জন্য মেলায় ভিড় জমিয়েছেন। মাছের আড়তের মালিক মোমিন মোল্লা বলেন, এই মেলায় এক দিনে কয়েক কোটি টাকার মাছ বিক্রি হয়ে থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না।
ছোট-বড় মিলে শতাধিক মাছের দোকান বসেছে। প্রত্যেক বিক্রেতা অন্তত ৫ থেকে ১০ মণ করে মাছ বিক্রি করেন। মেলায় মাছ সরবরাহের জন্য সেখানে রাত থেকে ১৫-২০ টি আড়ত থেকে স্থানীয় বিক্রেতারা পাইকারি দরে মাছ কিনে মেলায় খুচরা বিক্রি করেন।
মাছ বিক্রেতা আনোয়ার ও শরিফ বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর মাছের দাম বেশি হলেও মানুষজন মাছ কিনছেন।
স্থানীয় উথলী গ্রামের বাসিন্দা হোসেন জানান, ‘তিনি নানা কাছ থেকে শুনেছেন এই মেলার বয়স প্রায় ৩শ বছর। ব্যতিক্রমী এই মেলা রাত ১২টার পর থেকেই শুরু হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে।’ ভোরেই মেলায় বড় মাছ নিয়ে হাজির হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। শতাধিক দোকানে বোয়াল, রুই, কাতলা, চিতল, সিলভার কার্প, ব্রিগেড কার্প, ব্লাড কার্পসহ নানা রকমের মাছ বিক্রি হচ্ছে। মেলায় রুই, কাতলা ও চিতল মাছ ৪৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও মাঝারি আকারের মাছ ৩০০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ৩০০-৪৫০ টাকা দরে ব্রিগেড ও সিলভার কার্প মাছ বিক্রি করতে দেখা গেছে।
জেলার আদমদীঘি উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামে শনিবার নবান্নের মেলা বসেছিল। নন্দী-গ্রাম উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামেও নবান্নের মেলা বসেছে। মেলাগুলোতে আশ-পাশের জেলা এবং উপজেলার বিভিন্ন বিল ও পুকুর এবং নদীর রুই, কাতলা, মৃগেল, ব্রিগেড, সিলভার কার্প, পাঙ্গাশের পাশাপাশি চিতল এবং কালবাউশ মাছ ওঠেছে।
দর্শনার্থী মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘নবান্ন উপলক্ষে বাড়িতে আত্মীয় -স্বজনদের আগমনে মিলনমেলায় পরিণত হয়। এ জন্যই বড় মাছ কিনতে মেলায় আসা হয়েছে।’
দূর-দূরান্ত থেকে নারীরাও পছন্দের মাছ কিনতে আসেন। ৮ থেকে ১৬ বছরের শিশু-কিশোররাও বড়দের হাত ধরে মেলায় নেয়। শিশুদের বিনোদনের জন্য নাগর দোলার পাশাপাশি রসগোল্লা এবং জিলাপির পাশাপাশি বিভিন্ন রকমের ফাস্ট ফুডের দোকানেরও দেখা মিলেছে। এছাড়া রসালো আচারের দোকান চোখে পরার মতো। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা নবান্নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নতুন আলু, ফুল কপি, বাঁধা কপি, কেশুর এবং মিষ্টি আলু বিক্রি করছেন।

ফেনীতে জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে জুলাই ঐক্যের ব্যানারে জেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর থেকে মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
১০ মিনিট আগে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, দেশে স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে নির্বাচিত সরকারের কোনো বিকল্প নেই।
১১ মিনিট আগে
আপনাদের ভালোবাসা ও সমর্থনে আমি কৃতজ্ঞ। আমি যখন যে পরিস্থিতিতে আমি ডেকেছি, আপনারা সর্বশক্তি নিয়োগ করে আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। ছাতক-দোয়াবাজারের উন্নয়ন নিয়ে ২০১৮ সালে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে প্রার্থী হয়েছিলাম। সেই নির্বাচনে পুলিশের হামলা মামলা উপেক্ষা করে আপনারা আমার পাশে ছিলাম।
১২ মিনিট আগে
চট্টগ্রামে "তারুণ্যের উৎসব-২০২৫” শীর্ষক জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে কোস্ট গার্ড।রোববার ১৬ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ বিকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা এ তথ্য জানান।
৩০ মিনিট আগে