স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই করোনার কিট, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

জসিম উদ্দিন, খানসামা (দিনাজপুর)
প্রকাশ : ২২ জুন ২০২৫, ১৭: ২৪

দেশজুড়ে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলেও দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার বাস্তবতা যেন আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই কোনো করোনা পরীক্ষার কিট। ফলে উপসর্গ থাকা রোগীদের শনাক্ত করা যাচ্ছে না, বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি এবং ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২২ জুন) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা যায়, করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে নির্দেশনা থাকলেও অধিকাংশ রোগীই তা মানছেন না। চিকিৎসা নিতে আসা উপসর্গযুক্ত রোগীরা শুধু প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েই বাড়ি ফিরছেন। পরীক্ষার সুযোগ না থাকায় স্বাস্থ্য বিভাগ তাদের কোভিড পজিটিভ কিনা নিশ্চিত করতে পারছে না। এতে একদিকে যেমন রোগী নিজেই অনিশ্চয়তায় থাকছেন, অন্যদিকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিও বাড়ছে। এই সংকটের মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। নেই পর্যাপ্ত সুরক্ষা সরঞ্জাম। পিপিই, হ্যান্ড গ্লাভস, মাস্ক—সবই অপ্রতুল।

এই প্রসঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শামসুদ্দোহা মুকুল বলেন, স্বাস্থ্যকর্মীরা সীমিত সরঞ্জাম দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই সাধ্যমতো সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। করোনা উপসর্গ নিয়ে সেবা নিতে আসা রোগীদের মাস্ক ব্যবহার, দূরত্ব বজায় রাখা ও প্রাথমিক চিকিৎসার বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে কিট না থাকায় পরীক্ষার কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ। অথচ চাহিদাপত্র দেওয়া হয়েছে বহু আগেই।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শফিকুল ইসলাম জানান, বর্তমানে আমাদের কাছে করোনা পরীক্ষার কোনো কিট নেই। প্রায় ৫ হাজার কিটসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে, তবে এখনো সরবরাহ হয়নি। পরীক্ষা না করতে পারলেও সম্ভাব্য আক্রান্তদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও সচেতন করতে কাজ করছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

এ অবস্থায় স্থানীয় প্রশাসনও পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করছে। তবে বাস্তবে এখনো কোনো কার্যকর সমাধান দেখা যাচ্ছে না।

খানসামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুজ্জামান সরকার বলেন, বিষয়টি দ্রুত সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সম্প্রতি ১১ দফা নির্দেশনা জারি করেছে। এর মধ্যে মাস্ক পরিধান, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং নিয়মিত হাত ধোয়ার বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত