গাইবান্ধার সাঘাটায় স্থানীয়দের বাধার কারণে ব্রহ্মপুত্র নদের ডান তীর রক্ষা প্রকল্পের কাজ মুখ থুবড়ে পড়েছে। নানা অজুহাতে ঠিকাদারের গাফিলতিতে এমনিতেই প্রকল্পের কাজে ধীরগতি চলছে, তার উপর আবার প্রকল্পের সামনে ঘরবাড়ি, দোকানপাট সহ বিভিন্ন স্থাপনা সরাতে বাধা প্রদান করায় নদীর তীর রক্ষা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সাঘাটা উপজেলাকে ব্রহ্মপুত্র নদীর করাল থাবা থেকে রক্ষায় নদী শাসন প্রকল্প হাতে নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। নদী ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রায় ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রহ্মপুত্র নদের ডান তীর রক্ষা প্রকল্পের কাজ শুরু করে।
প্রায় এক যুগ ধরে প্রকল্পটি চললেও প্রশাসনিক নানা অজুহাত দেখিয়ে বেশিরভাগ সময়ই প্রকল্পটির কাজ বন্ধ রাখে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। অত্যন্ত ধীরগতির কারণে এ প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন দেখা দেয় এলাকাবাসীর মাঝে। এরই মাঝে প্রকল্পের ৩ ও ৪ নং প্যাকেজের সাঘাটা উপজেলার মুন্সিরহাট এলাকার বাসিন্দা নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের নেতা আজাদুল ও মোনারুল ইসলাম সহ কয়েকজন প্রকল্প এলাকায় থাকা ঘরবাড়ি ও দোকানপাট সরাতে স্থানীয়দের নানা ভাবে বাধার সৃষ্টি করছে। দোকানপাট ও ঘরবাড়ি না সরানোর কারণে নদী শাসন প্রকল্পের কাজে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিজে টেক্সটাইল লিমিটেডের প্রকৌশলী আসাদ মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি জানান, ঘরবাড়ি ও দোকানপাট সরানো না হলে সিসি ব্লক ফেলানোর কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।
বর্ষা মৌসুমের আগে কাজ শেষ করতে না পারলে সাঘাটার বিস্তীর্ণ এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। এতে এলাকাবাসী প্রকল্পের সুফল হতে বঞ্চিত হবে।
এ বিষয়ে কথা হলে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম জানান, কাজের ক্ষেত্রে এরকম সমস্যা মাঝে মধ্যে হয়। তবে সব কিছু জেনে জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল কবীরের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সব স্থাপনা সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে স্থাপনা না সরালে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

