গুম-খুনে জড়িত জেনারেলদের বিচার করতে হবে: আখতার হোসেন

রংপুর অফিস
প্রকাশ : ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২০: ১৬
আপডেট : ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২০: ২৪

বিগত আওয়ামী লীগ আমলে বিভিন্ন বাহিনীর যারা মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিলেন, তাদের ‘অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে’। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য দ্বারা গুম-খুন না হলে শেখ হাসিনা ফ্যাসিস্ট হতো না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

শনিবার দুপুরে রংপুরের দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

আখতার হোসেন বলেন, এই গুম এবং খুনের সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন তারা বাংলাদেশের মানুষের পক্ষে কাজ করেন নাই। তারা একটা দল বিশেষ করে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছে।

এই আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যকে সফল করতে তারা কাজ করেছেন। এই গুম এবং খুনের সঙ্গে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর ডিজিএফআই সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের অনেক সিনিয়র কর্মকর্তারা জড়িত ছিলেন।

আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনাল অপরাধ তাদের অনেকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার পরোয়ানা জারি করেছে। যেসব জেনারেল, ডিজিএফআই এর কর্মকর্তারা, র‍‍্যাব কর্মকর্তারা, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা বাংলাদেশের মানুষকে গুম করেছে, খুন করেছে, আয়না ঘরে বন্দি করেছে তাদেরকে অতিসত্বর গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানাই।

আখতার বলেন, র‍্যাব, পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনীর যেসব সদস্য জুলাই আন্দোলনে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারও দাবি করেন এনসিপির এ শীর্ষ নেতা।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য, বাংলাদেশকে জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার জন্য বাংলাদেশের সেনাবাহিনী যে প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের অংশ এই প্রতিষ্ঠানকে যারা নষ্ট করার জন্য কাজ করেছে, এই প্রতিষ্ঠান থেকে যারা হাসিনার মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে গুম করেছে তারা বাংলাদেশের শত্রু বাংলাদেশের মানুষের শত্রু, তাদের সঙ্গে আমাদের কোন আপোষের জায়গা নেই।

সেনাবাহিনীর প্রশংসা করে আখতার হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অনেক সদস্যরাই, জুনিয়র অফিসাররা জুলাই অভ্যুত্থানের সময়ে ছাত্র জনতার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন তাদেরকে আমরা ধন্যবাদ জানাই।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা এবং গোয়েন্দা বাহিনীগুলোকে জনগণের প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে হলে যারা অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। যারা বাংলাদেশের পক্ষের জেনারেল আছেন, অফিসার আছেন, এই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহ অন্যান্য আইন শৃঙ্খলার প্রতিষ্ঠান আছে তাদেরকে দায়িত্ব দিতে হবে।

ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো সদস্যরা এবং সাধারণ মানুষকে যারা বিভিন্ন বিষয়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের সমালোচনা করতেন তাদেরকে গুম করা হতো, খুন করা হতো, আয়না ঘরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করা হতো, বছরের পর বছর পরিবার থেকে দূরে রাখা হতো। তাদেরকে মৃত্যুর দিকে ধাবিত করা হয়েছিল।

আখতার বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটের বিষয়ে কোন দলের সঙ্গে এখনো বৈঠক করেনি জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপি। যদি প্রয়োজন মনে হয় তবে সময় বলে দিবে। এসময় ঐক্যমত কমিশনে জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তির দাবিতে রাজনৈতিক দলগুলো অংশগ্রহণকে স্বাগত জানিয়ে জুলাই সনদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলেও জানান আখতার হোসেন।

‎বক্তব্যে আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আগেই বিচার ও প্রয়োজনে সংস্কারের তাগিদ দেন আখতার হোসেন। এর আগে সকাল ১১ টায় সদ্য প্রয়াত বিএনপি নেতা আনিসুর রহমান লাকুর কবর জিয়ারত করেন তিনি।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত