দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজের ঘরে ঘুমিয়ে পড়া এক ব্যক্তির পরদিন সকালে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার আরাজি চৌপুকুরিয়া জিন্দাপীর মেলা সংলগ্ন এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত দানিউল ইসলাম (৫৫) উপজেলার সাতোর ইউনিয়নের আরাজি চৌপুকুরিয়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলামের ছেলে।
সরেজমিনে জানা যায়, দানিউল ইসলামের স্ত্রী, মা ও ছেলে সামিউল ইসলাম দিনাজপুরের বাড়িতে এবং মেয়ে দৃষ্টি স্বামীর বাড়িতে অবস্থান করছিল। দানিউল গ্রামের বাড়িতে এসে সপ্তাহে দুয়েক দিন রাত্রিযাপন ও জমাজমি দেখভাল করতেন। বাড়ির কাজের লোক ধর্ম জামাই রফিকুল ইসলাম ও নুর জাহান বেগম বাড়ি এবং নিহত দানিউল ইসলামের দেখাশোনার কাজ করত। শনিবার বেলা ১১টার দিকে রফিকুল ইসলাম বাড়িতে এসে তার শয়ন কক্ষে বিছানায় রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে চিৎকার করে। প্রতিবেশীরা এবং উৎসুক জনতা জানায় ২০০৩ সালে ডিসেম্বর মাসে ১৬ তারিখে নিহতের চাচা ইউপি চেয়ারম্যান মহসিন আলী রাঙা একইভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। বিভিন্ন সূত্র বলছে পূর্বপরিকল্পিত এই রহস্য জনক হত্যাকাণ্ডের পেছনে তার স্ত্রীর পরকীয়া প্রেম কিংবা বিপুল সম্পদের কারণ থাকতে পারে।
সাতোর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন রাজা এবং নিহতের চাচাতো ভাই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শামীম ও সেলিম গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন অনাকাঙ্ক্ষিত হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
এ বিষয়ে অফিসার ইনচার্জ বীরগঞ্জ থানা জানান অবিলম্বে দুষ্কৃতকারীদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। পুলিশ তৎপর আছে।লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হবে। রহস্য উদঘাটনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বীরগঞ্জ সার্কেল শাওন কুমার, থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাইফুল ইসলামসহ বিপুলসংখ্যক পুলিশ অফিসার, পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ কাজ করছেন।

