পঞ্চগড় প্রেসক্লাবে ১৪৪ ধারা জারি

জেলা প্রতিনিধি, পঞ্চগড়
প্রকাশ : ২৯ মে ২০২৫, ১৭: ৫৯
আপডেট : ২৯ মে ২০২৫, ১৮: ০৩

সাংবাদিকদের সংগঠন পঞ্চগড় প্রেসক্লাবে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। বুধবার রাতে একটি রাজনৈতিক দলের কয়েকজন প্রেসক্লাবে তালা দেয় এবং বৃহস্পতিবার বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা তালা ভেঙে প্রেসক্লাবে অবস্থান শুরু করলে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধের জন্য এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, বুধবার রাতে একদল দুর্বৃত্ত প্রেসক্লাবে অবস্থানকারী সাংবাদিকদের বের করে দিয়ে তালা দেন। রাতেই পেশাদার সাংবাদিকরা ক্লাবের তালা খুলে দেওয়ার দাবিতে পঞ্চগড় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে অবস্থান নেয়। পরে সদর থানা পুলিশ এবং জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ মজিদ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কয়েক ঘণ্টা অবস্থানের পর জনভোগান্তির কথা বিবেচনা করে অবস্থান তুলে নেন বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা।

এসময় বৃহস্পতিবার সকাল দশটার মধ্যে প্রেসক্লাব খুলে দিয়ে সাংবাদিকদের হাতে চাবি ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। তা না হলে বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা নিজেরাই প্রেসক্লাবের তালা ভেঙে ভেতরে অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দেন। আলটিমেটাম অনুযায়ী সকাল সাড়ে দশটায় তালা ভেঙে প্রেসক্লাবে অবস্থান নেন বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা।

এদিকে প্রেসক্লাবের অন্য একটি পক্ষও দুপুর বারোটায় প্রেসক্লাবে অবস্থান নিলে উভয় পক্ষের মধ্যে বাক বিতণ্ডা শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা সেখানে উপস্থিত হন এবং অপ্রতিকর ঘটনার আশঙ্কায় জেলা প্রশাসক প্রেসক্লাবে ১৪৪ ধারা জারি করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লা হিল জামানের উপস্থিতিতে প্রেসক্লাব সিলগালা করা হয়। জানা গেছে, জুলাই বিপ্লবের পর ১৭ বছর সদস্য বঞ্চিত সাংবাদিকেরা প্রেসক্লাবে অবস্থান নিলে পূর্বের নেতৃবৃন্দ পালিয়ে যায়। এসময় একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়। পরে সংঘাত এড়াতে জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। আহ্বায়ক কমিটির নেতৃত্বে প্রেসক্লাব পরিচালিত হয়ে আসছে।

এদিকে পঞ্চগড় প্রেসক্লাবে তালা দেওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আহমেদ আবু জাফর। রাতেই তিনি তার ফেসবুকে আইডিতে লেখেন, 'পঞ্চগড় প্রেসক্লাবে তালা লাগিয়েছেন কারা।' তালা দেওয়ার পর থেকেই ফেসবুক লাইভে এসে প্রতিবাদ জানিয়েছেন বেশ কিছু সাংবাদিক।

জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী জানান, দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত এবং অপ্রতিকর ঘটনা এড়াতে ১৪৪ ধারা জারির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দুই পক্ষকে ডেকে সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টা চলছে।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত