ক্রিকেট টুর্নামেন্টে সরকারি কর্মকর্তার পাশের চেয়ারে আ.লীগ নেতা

জেলা প্রতিনিধি, নীলফামারী
প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২৫, ১৬: ৫০

নীলফামারীর ডোমারে এক ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে এই অনুষ্ঠানে অতিথি মঞ্চে সরকারি কর্মকর্তার পাশাপাশি একজন আওয়ামী লীগ নেতা অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

শনিবার বিকেলে ডোমার চ্যাম্পিয়ন লীগ (ডিসিএল)-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। স্থানীয় পর্যায়ের খেলাধুলা ও যুব সমাজকে সম্পৃক্ত করতে আয়োজিত এ টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ ও ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শায়লা সাঈদ তন্বী সহ আরও কয়েকজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তবে আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসে অতিথি তালিকায় আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াস হোসেনের উপস্থিতি।

অনুষ্ঠানের একাধিক ছবিতে তাকে অতিথি মঞ্চে সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে বসে থাকতে দেখা যায়। এই বিষয়টি নিয়ে এলাকায় শুরু হয়েছে আলোচনা ও সমালোচনা।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, জুলাই আন্দোলনের যোদ্ধাদের অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে কিভাবে একজন ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের দোসর সেখানে স্থান পায়।

জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতা সোহেল রানা জানান, ইলিয়াস হোসেন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত সেটা এলাকায় কারো অজানা নয়। ইতিপূর্বে আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ প্রোগ্রাম, মিছিল মিটিংয়ে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের ছবি এখনো ফেসবুকে রয়েছে। এমন একজন ব্যক্তিকে নিয়ে প্রশাসন একই মঞ্চে প্রোগ্রাম করে বিষয়টি সত্যি অনেক প্রশ্নের জন্ম দেয়।

এ বিষয়ে জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মাহির মিলন অভিযোগ তোলে বলেন, জুলাই আন্দোলনের বিরোধী ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর কোনো অনুষ্ঠানে অতিথির চেয়ারে থাকুক সেটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এসব ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে একাধিকবার জানানো হয়েছে এরপরও তারা কেনো একই মঞ্চে তা আমার জানা নেই।

ডোমার চ্যাম্পিয়ন লীগ (ডিসিএল) টুর্নামেন্ট এর ফজলে রাব্বি নামের এক আয়োজক বিষয়টি নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করে জানান, ইলিয়াস হোসেনকে অতিথি করা হয়েছে এ ব্যাপারে আমি জানতাম না। আমরা আয়োজকরা বসে এ ব্যাপারটি নিয়ে আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

এ বিষয়ে নীলফামারী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ এর সাথে একাধিকবার তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শায়লা সাঈদ তন্বী বলেন, এটি উপজেলা প্রশাসনের কোনো প্রোগ্রাম নয়। এলাকার সাধারণ ছেলেরা এটার আয়োজন করেছে। এখানে ইউএনও হিসেবে আমার যোগদানের বেশীদিন হয়নি অনেকের ব্যাপারে তেমন জানি না, আমন্ত্রণ পেয়ে সেখানে গিয়েছি।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত