রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার ইকরচালি ইউনিয়নের দোহাজারী গ্রামের দিনমজুর সবুজ মিয়া ও তার স্ত্রী রিতু মনি দম্পতির ঘরে একসঙ্গে জন্ম নিয়েছে তিন কন্যা সন্তান।
সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ছোট ঘরের এক কোণে পুরোনো খাটে পাশাপাশি শুয়ে আছে তিন নবজাতক। পাশে বসা রোগা ও শীর্ণ দেহের মা রিতু মনি।
৬ সেপ্টেম্বর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জন্ম নেয় ওই তিন নবজাতক।
বর্তমানে তাদের বয়স এক মাস। একসঙ্গে তিন কন্যা সন্তান জন্ম নেয়া যে বাড়িতে থাকার কথা আনন্দ। বাবা-মা মুখে থাকার কথা হাসি কিন্তু তাদের মুখে কষ্ট আর চিন্তার ছাপ।
মা রিতু মনির দুর্বল শরীরে যথেষ্ট বুকের দুধ না থাকায় খাওয়াতে পারছে না শিশু সন্তানদের। ক্ষুধায় সারাক্ষণ কেঁদে চলেছে নবজাতক তিনটি।
বাড়তি বা বাইরের দুধ কিনে খাওয়ানোর মতো সামর্থ্যও নেই পরিবারটির।
সবুজ মিয়া বলেন, আমরা গরিব মানুষ, দিন আনি দিন খাই। তিনটা মেয়ের কান্না শুনে বুক ফেটে যায়, কিন্তু কিছুই করতে পারছি না। আমার রোজগারের উপর নির্ভর করে পরিবারের ৮ সদস্য।
তিনটি শিশুর দুধ, ওষুধ, পোশাক ও প্রয়োজনীয় যত্নের খরচ জোগানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সন্তানগুলোর কান্না সহ্য হয় না। কয়েকদিন ধার-দেনা করে বাড়তি দুধ কিনেছি। কিন্তু এখন কেউ আর টাকা ধার দিতে চায় না।
প্রতিবেশী আকমল হোসেন বলেন, তিনটা বাচ্চা আল্লাহর দান। কিন্তু তাদের কান্না শুনলে মন কেঁপে ওঠে। আমরা যতটুকু পারছি সাহায্য করছি, কিন্তু আমরা নিজেরাও গরিব মানুষ।

