গঙ্গাচড়ায় তিস্তার ভাঙনে বিলীন ফসলি জমি

উপজেলা প্রতিনিধি, গঙ্গাচড়া (রংপুর)
প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০২৫, ১৮: ৪৯

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তার ভাঙনে আবারও দিশেহারা হয়ে পড়েছে অর্ধশতাধিক পরিবার। উজানের পাহাড়ি ঢল নামার পর পানি কমতেই নতুন ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহে কোলকোন্দ ইউনিয়নের বিনবিনা এলাকায় প্রায় ১০ একর ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের আতঙ্কে রয়েছে অর্ধশতাধিক পরিবার।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, নদীর তীরে দাঁড়িয়ে কৃষকরা উৎকণ্ঠায় ভাঙন দৃশ্য দেখছেন। ধানক্ষেত তিস্তার স্রোতে একে একে তলিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় কৃষক মোস্তফা বলেন, বন্যার পানি কমতেই ভাঙন শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে আমাদের প্রায় ১০ একর আমন ধান একেবারে নদীতে চলে গেছে।

আইয়ুব আলী জানান, অর্ধশতাধিক পরিবার হুমকির মুখে আছে। ভাঙন রোধ করা না গেলে আমাদের ঘরবাড়িও নদীতে হারিয়ে যাবে।

অতুল চন্দ্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা বছরে একবারই ধান আবাদ করি। এবার সেই ধানও ভাঙনে গেছে। এখন এক বছর কী খেয়ে বাঁচব তার কোনো উপায় নেই।

একই সুরে রঘুনাথ চন্দ্র, আমজাদ হোসেন, শাহিনুর, জুয়েল, আলম ও মকবুলসহ অনেকে বলেন, সরকারি সহায়তা ছাড়া আমাদের সামনে পথে বসা ছাড়া কোনো উপায় নেই।

কোলকোন্দ ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম দীর্ঘদিনের দাবির কথা তুলে ধরে বলেন, বিনবিনা থেকে চর শংকরদহ পর্যন্ত বাঁধ নির্মাণের দাবি আমরা বহুবার জানিয়েছি। পানি উন্নয়ন বোর্ড শুধু আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছে, কোনো বাস্তবায়ন নেই। বাঁধ হলে কোলকোন্দ ও লক্ষীটারী ইউনিয়নের বহু পরিবার ভাঙন থেকে রক্ষা পেত।

গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, তিস্তার ভাঙন এলাকা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন বন্যা ও ভাঙন মোকাবিলায় তৎপর রয়েছে।

স্থানীয়দের দাবি, কথার ফুলঝুরি নয়, এবার যেন দ্রুত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়, তাহলেই ভাঙনের স্থায়ী সমাধান মিলবে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত