রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তার ভাঙনে আবারও দিশেহারা হয়ে পড়েছে অর্ধশতাধিক পরিবার। উজানের পাহাড়ি ঢল নামার পর পানি কমতেই নতুন ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহে কোলকোন্দ ইউনিয়নের বিনবিনা এলাকায় প্রায় ১০ একর ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের আতঙ্কে রয়েছে অর্ধশতাধিক পরিবার।
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার মহিপুরে তিস্তার দ্বিতীয় সংযোগ সেতুর পশ্চিম পাশের ৯০০ মিটার বাঁধের প্রায় ৬০ মিটার ব্লক ধসে প্রায় ৭০ ফুট গভীর গর্ত হয়েছে। এতে ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে লালমনিরহাট–রংপুর আঞ্চলিক সড়কসহ আশপাশের তিন গ্রামের প্রায় ১২০০ পরিবার।
আটকদের গঙ্গাচড়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কৃষ্ণ কমল রায়ের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় রিমান্ডের আবেদন থাকলেও শুনানি না হওয়ায় নিউজ লেখা পর্যন্ত কোনো আদেশ আসেনি।
গুজবের আগুন থেকে একটি এলাকা কীভাবে প্রশাসনের সঠিক পদক্ষেপে রক্ষা পেতে পারে, গঙ্গাচড়ার সাম্প্রতিক ঘটনাই তার বাস্তব উদাহরণ। স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার ফলেই ফের ফিরে এসেছে পারস্পরিক বিশ্বাস, সহমর্মিতা এবং সম্প্রীতির পরিবেশ।