ঘোড়াঘাটে যমজ দুই বোন মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়ায় পরিবার ও এলাকায় আনন্দের জোয়ার বইছে।
একসঙ্গে জন্ম, একসঙ্গে বেড়ে ওঠা। প্রাথমিক, মাধ্যমিক একই প্রতিষ্ঠানে ও উচ্চ মাধ্যমিকে পড়েছেন দুই প্রতিষ্ঠানে । সব ক্ষেত্রে দুজনের ফলাফলও এক। যমজ দুই বোন এবার একসঙ্গে সুযোগ পেয়েছেন মেডিকেলে পড়ার, তবে আলাদা প্রতিষ্ঠানে। মুতমাইন্না সারাহ ঢাকার মুগদা মেডিকেল কলেজে এবং মুমতাহিনা সামিহা সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার সিংড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন ও দিনাজপুর জিলা স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক তাহারিমা আকতার দম্পতির যমজ মেয়ের সাফল্যে পরিবার ও স্বজনদের মধ্যে আনন্দের জোয়ার বইছে।
চেহারা-গড়ন ও চালচলনের মতো দুই বোনের পড়াশোনার যাত্রাটাও যেন যুগল পথচলা। শিক্ষাজীবনের শুরু থেকেই অত্যন্ত মেধাবী সারাহ ও সামিহা এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় সব বিষয়ে জিপিএ-৫ অর্জন করেন। শিক্ষাজীবনে তারা দিনাজপুর গভর্নমেন্ট গার্লস হাই স্কুল ও দিনাজপুর সরকারি কলেজে পড়াশোনা করেছেন।
ধারাবাহিক সাফল্যে উচ্ছ্বসিত দুই বোন মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করায় অভিন্ন ভাষায় জানান, প্রতিটি বিষয়ের মতো পড়াশোনার বেলায় দুই বোন একই মতের ছিলেন। দিনরাত নাওয়া-খাওয়া ও ঘুম হারাম করে ১৮-২০ ঘণ্টা পড়াশোনা করার রেকর্ড তাদের নেই। তবে যতটুকু পড়েছেন, নিয়ম মেনে বুঝেশুনে পড়েছেন। কোনো দীর্ঘ ঘণ্টা পড়াশোনা করার রেকর্ড তাদের নেই। তবে যতটুকু পড়েছেন, নিয়ম মেনে বুঝেশুনে পড়েছেন। কোনোদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকেননি। শিক্ষকদের প্রতিটি কথা মনোযোগসহকারে শোনার পাশাপাশি লিখে রেখেছেন, যা বাড়িতে ফিরে পুনরায় পড়েছেন। সব মিলিয়ে নিয়মানুবর্তিতা তাদের এ সাফল্য এনে দিয়েছে।
আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

