রংপুরে র্যাব ১৩র অভিযান চালিয়ে হত্যা মামলার পলাতক আসামিকে শনিবার ঢাকার কেরাণীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে রোববার ৭ ডিসেম্বর সংশ্লিষ্ট থানার মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
রংপুরে র্যাব ১৩র মিডিয়া জনের সহকারী পরিচালক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী জানান, অক্টোবর মাসের ৩১ তারিখে ভিকটিম খালেকুজ্জামানের দাদির কবরের মাটি সরানো নিয়ে আসামিগণের সাথে তর্কবিতর্কের শুরু হয়। এক পর্যায়ে আসামিগণ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ভিকটিমকে হত্যার উদ্দেশ্যে লাঠি ও লোহার রড দ্বারা মাথায় আঘাত করলে ভিকটিম ঘটনাস্থলেই গুরুজন আহত হয়ে পড়েন। এ সময় আত্মীয় স্বজন ও স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেলে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে আইসিইউতে প্রেরণ করেন। দীর্ঘদিন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ১ নভেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় খালেকুজ্জামান রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে রংপুরের তারাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলার দায়ের করেন।
তিনি আরো বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক ও লোমহর্ষক হত্যা হওয়ায় এলাকায় ব্যাপকভাবে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়। হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই গ্রেপ্তার এড়াতে আসামিগণ আত্মগোপনে চলে যায়। ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় আসামিদের গ্রেপ্তারের লক্ষে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি র্যাব গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করেন।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মামলার অন্যতম আসামি তারাগঞ্জ উপজেলার কিসমত মেনানগর এলাকার আব্দুল জব্বারের ছেলে লেবু মিয়াকে র্যাব ১০ এর সহায়তায় ঢাকার কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার কোনাখোলা দেয়াসুর মহুয়া নার্সারী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে রোববার ৭ ডিসেম্বর সংশ্লিষ্ট থানার মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

