বদলে যাবে দুই জেলার ভাগ্য, একদিন পরেই খুলছে হরিপুর-চিলমারী সেতু

শামিম উল হক শাহীন, গাইবান্ধা
প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২৫, ১৯: ৩৪
আপডেট : ১৮ আগস্ট ২০২৫, ১৯: ৩৭

উত্তরের জনপদে যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে গাইবান্ধার হরিপুর-চিলমারী তিস্তা সেতু। প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুটি চলতি আগস্ট মাসের ২০ তারিখেই উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন গাইবান্ধা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল চৌধুরী।

তিনি আরও বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সেতুটি উদ্বোধন করবেন। এ সময় তার সঙ্গে এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ মিয়াও উপস্থিত থাকবেন। গত দু’মাস আগে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী এই সেতু পরিদর্শনকালে জুলাই মাসে এটি উদ্বোধনের কথা বললেও কিছু কাজ বাকি থাকায় তা পিছিয়ে যায়। সে সময় সচিব ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশীদ মিয়া, গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহম্মদ এবং উত্তরাঞ্চলের আট জেলার এলজিইডির দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীগণ।

বিজ্ঞাপন

দেশে এর আগে এত বড় প্রকল্পের বাস্তবায়নের দায়িত্ব এলজিইডি পায়নি। তাই এই সেতু চালু হলে যেমন দুই জেলার লাখো মানুষের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণ হবে, তেমনই স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) একটি ব্যতিক্রমী মাইলফলকে পা রাখবে।

এলজিইডি সূত্র জানায়, সেতুটি নির্মিত হয়েছে সৌদি সরকারের অর্থায়নে এবং চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের তত্ত্বাবধানে। ৮৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ১,৪৯০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৯.৬ মিটার প্রস্থের এই গার্ডার সেতুটি বাস্তবায়নে সরাসরি তদারকি করছে এলজিইডি। দেশের ইতিহাসে এটিই তাদের সর্ববৃহৎ প্রকল্প।

সেতুটি চালু হলে সড়কপথে ঢাকার সঙ্গে প্রায় ১৩৫ কিলোমিটার দূরত্ব কমে যাবে। সেতুটি ঘিরে তৈরি হয়েছে প্রায় ৮০ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক, যেখানে নির্মাণ করা হয়েছে ৫৮টি বক্স কালভার্ট ও ৯টি আরসিসি সেতু। এর ফলে বেলকা বাজার, পাঁচপীর, ধর্মপুর, হাট লক্ষ্মীপুর, সাদুল্যাপুর ও ধাপেরহাটসহ অন্তত ১০টি বাজার এবং মহাসড়কের সঙ্গে যুক্ত হবে পুরো সুন্দরগঞ্জ ও চিলমারী অঞ্চল।

সেতুটির নামকরণ করা হয়েছে ‘মাওলানা ভাসানী সেতু’।

স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা

দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। সংশ্লিষ্টদের মতে, সেতুটি চালু হলে শুধু দুই উপজেলার মানুষ নয়, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রামসহ উত্তরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকার অর্থনীতি ও জীবনযাত্রায় বড় পরিবর্তন আসবে।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল। নানা জটিলতায় কয়েকবার সময় পরিবর্তনের পর অবশেষে তিস্তা নদীর বুকে এই দৃঢ় সংযোগ বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে।

এর আগে গত বছরের ৩০ নভেম্বর একই সেতু পরিদর্শনে এসেছিলেন এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী গোপাল কৃষ্ণ দেবনাথ। সে সময়ে তিনি চলতি বছরের মার্চে সেতুটি উদ্বোধনের কথা জানিয়েছিলেন। তার আগে ২০১৮ সাল, ২০২১ সাল এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালে সংযোগ সড়কসহ সেতু নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল।

সাব-জেলে অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তারা, সরকারের কাছে যে আহ্বান জানালেন ব্যারিস্টার আরমান

অসদাচারণের দায়ে টঙ্গী পাইলট স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে শোকজ

জরুরি অবস্থা জারি করলেন পেরুর প্রেসিডেন্ট

গুম-খুনে জড়িত ১৫ সেনা কর্মকর্তা চাকরিচ্যুত। ট্রাইব্যুনালে হাজির। সাবজেলে প্রেরণ

এবার ১ টাকায় গরুর মাংস বিতরণের ঘোষণা সেই এমপি প্রার্থীর

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত