পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সূর্যের দেখা মিললেও রোদের প্রখরতা নেই। গোট জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। সকালে সূর্যের মুখ দেখা গেলেও আকাশে ঘন কুয়াশার কারণে ছিল না প্রখরতা ছিলো না। হিমেল বাতাস আর কনকে হাঁড় কাঁপানো শীত ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষের দুর্ভোগ । বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামার আগেই কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে ।
স্থানীয়রা বলছেন, এ বছর বর্ষা মৌসুমে আশানুরুপ বৃষ্টি না হবার কারণে শীতের প্রকোপ অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেকটা বেশি অনুভূত হচ্ছে। বাজারে অনেক স্থানে শীত নিবারণে খড় কুটরা জ্বালিয়ে আগুনের তাপ নিতে দেখা গেছে। এছাড়া অনেক বাড়িতে খড়ের বা পোয়ালের ছোট পুঁজি (পোড়) দিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে।
এদিকে শীতের কারণে মহানন্দা নদীর পাথর শ্রমিকদের পাথর কুয়ারি ও বালু উত্তোলনে বেশ দুর্ভোগ বেড়েছে। শ্রমিকরা জানান, ভোরে ঠান্ডার কারণে নদীতে নামা যায় না। কিন্তু নিয়মিত ধরা বাধা ২-৩ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে আমাদের কাজের সুযোগ থাকে। তবু কষ্ট করে নদীতে নামছি কিন্তু নদীর জল থেকে উঠার পর ঠান্ডায় শরীর হেম হয়ে যাচ্ছে এবং হাঁটু ও জয়েন্টে ব্যথা অনুভূত হয়। এছাড়া অনেক শ্রমিক ঠান্ডায় সর্দি কাশি ও জ্বরে ভুগেন। এভাবেই মহানন্দা নদীর পাথর ও বালু কুয়ারি করে তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করতে হয়।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জীদেন্দ্র নাথ রায় জানান, আজ সোমবার সকালে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস দেশের সর্ব নিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সপ্তাহ জুড়ে এ অঞ্চলে তাপ মাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রির মধ্যে উঠানামা করছে এবং মৃদ্যু শৈতপ্রবাহ জেলার উপর দিয়ে বহমান আছে। তবে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে। এ মাসের শেষ সপ্তাহে শীতের তীব্রতা আরও বাড়ার সাথে সাথে শৈতপ্রবাহ বাড়তে পারে।

