কামরুল হাসান, হবিগঞ্জ
দখল, দূষণ ও অপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনার কারণে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে হবিগঞ্জ জেলার নদ-নদী। একসময়ের খরস্রোতা নদীগুলো এখন পানিশূন্য সরু খালে পরিণত হয়েছে। কোথাও কোথাও নদীর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। জেলাজুড়ে অনেকগুলো নদ-নদী রয়েছে; যার মধ্যে কালনী-কুশিয়ারা (ভেড়ামোহনা), মরা কুশিয়ারা, মরা বিবিয়ানা, হাওয়াই, সুটকী, ঝিংড়ী, ঘরদাইর, রত্না, শাখাবরাক, করাঙ্গী, বিজনা, সুতাং, সোনাই, বছিরা ও হাঙ্গরভাঙা অন্যতম।
নদী গবেষক ও পরিবেশকর্মীরা বলছেন, নদীগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে ড্রেজিং না করা, অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন, দুই পাড় দখল করে অবকাঠামো নির্মাণ এবং কল-কারখানার বর্জ্য ফেলার কারণে নদীগুলোর স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে। এর ফলে হুমকির মুখে পড়েছে পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ও কৃষিজ জীবনধারা।
বিশেষভাবে সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে খোয়াই, সুতাং ও পুরাতন খোয়াই নদী। ভারত থেকে আগত খোয়াইয়ের প্রবাহ সীমিত হয়ে পড়ায় নদীটি বর্তমানে ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে সুতাং নদী দূষণের কারণে হয়ে উঠেছে কালো পানির এক বিষাক্ত জলাধারে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার অলিপুর এলাকায় গড়ে ওঠা বিভিন্ন শিল্প-কারখানা, যেমনÑপ্রাণ-আরএফএল, স্কয়ার ডেনিম, তাফহিদ কটন মিলস, সিপি বাংলাদেশ, আরএকে পেইন্ট প্রভৃতি তাদের বর্জ্য ফেলে দিচ্ছে সুতাং নদীতে। একসময় যে নদীতে নৌকা চলত, যেখানকার পানি ব্যবহার হতো কৃষিকাজ ও মাছ চাষে, এখন সেই নদী পানযোগ্য তো দূরের কথা, ছোঁয়াও যায় না।
অন্যদিকে জেলা শহরের খোয়াই নদীর দুই পাড় এবং মূল প্রবাহ দখল করে তৈরি করা হয়েছে ঘরবাড়ি ও দোকানপাট। বাঁশ ও কাঠের মাচা তৈরি করে নদীতে মাছ চাষের ক্ষেত্র গড়ে তোলা হয়েছে। এতে পানিপ্রবাহ মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক ও খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার তোফাজ্জল সোহেল বলেন, অপরিকল্পিত বালু উত্তোলন বন্ধ করতে হবে এবং সময়মতো নদী খননের মাধ্যমে স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে হবে। এখনকার নদীগুলো আর নদী নেই, এগুলো প্রায় বিলীন হয়ে গেছে। বিশেষ করে খোয়াই, সুতাং, সোনাই, শাখা বরাক ও পুরাতন নদীর ওপর ভয়াবহ অত্যাচার চলছে।
পরিবেশবিদদের মতে, নদী বাঁচাতে না পারলে হবিগঞ্জের হাওর ও কৃষিনির্ভর জনজীবন ভয়াবহ সংকটে পড়বে। এখনই সময় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের; নইলে অদূর ভবিষ্যতে মানচিত্র থেকে মুছে যেতে পারে এ অঞ্চলের নদ-নদী।
দখল, দূষণ ও অপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনার কারণে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে হবিগঞ্জ জেলার নদ-নদী। একসময়ের খরস্রোতা নদীগুলো এখন পানিশূন্য সরু খালে পরিণত হয়েছে। কোথাও কোথাও নদীর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। জেলাজুড়ে অনেকগুলো নদ-নদী রয়েছে; যার মধ্যে কালনী-কুশিয়ারা (ভেড়ামোহনা), মরা কুশিয়ারা, মরা বিবিয়ানা, হাওয়াই, সুটকী, ঝিংড়ী, ঘরদাইর, রত্না, শাখাবরাক, করাঙ্গী, বিজনা, সুতাং, সোনাই, বছিরা ও হাঙ্গরভাঙা অন্যতম।
নদী গবেষক ও পরিবেশকর্মীরা বলছেন, নদীগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে ড্রেজিং না করা, অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন, দুই পাড় দখল করে অবকাঠামো নির্মাণ এবং কল-কারখানার বর্জ্য ফেলার কারণে নদীগুলোর স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে। এর ফলে হুমকির মুখে পড়েছে পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ও কৃষিজ জীবনধারা।
বিশেষভাবে সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে খোয়াই, সুতাং ও পুরাতন খোয়াই নদী। ভারত থেকে আগত খোয়াইয়ের প্রবাহ সীমিত হয়ে পড়ায় নদীটি বর্তমানে ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে সুতাং নদী দূষণের কারণে হয়ে উঠেছে কালো পানির এক বিষাক্ত জলাধারে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার অলিপুর এলাকায় গড়ে ওঠা বিভিন্ন শিল্প-কারখানা, যেমনÑপ্রাণ-আরএফএল, স্কয়ার ডেনিম, তাফহিদ কটন মিলস, সিপি বাংলাদেশ, আরএকে পেইন্ট প্রভৃতি তাদের বর্জ্য ফেলে দিচ্ছে সুতাং নদীতে। একসময় যে নদীতে নৌকা চলত, যেখানকার পানি ব্যবহার হতো কৃষিকাজ ও মাছ চাষে, এখন সেই নদী পানযোগ্য তো দূরের কথা, ছোঁয়াও যায় না।
অন্যদিকে জেলা শহরের খোয়াই নদীর দুই পাড় এবং মূল প্রবাহ দখল করে তৈরি করা হয়েছে ঘরবাড়ি ও দোকানপাট। বাঁশ ও কাঠের মাচা তৈরি করে নদীতে মাছ চাষের ক্ষেত্র গড়ে তোলা হয়েছে। এতে পানিপ্রবাহ মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক ও খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার তোফাজ্জল সোহেল বলেন, অপরিকল্পিত বালু উত্তোলন বন্ধ করতে হবে এবং সময়মতো নদী খননের মাধ্যমে স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে হবে। এখনকার নদীগুলো আর নদী নেই, এগুলো প্রায় বিলীন হয়ে গেছে। বিশেষ করে খোয়াই, সুতাং, সোনাই, শাখা বরাক ও পুরাতন নদীর ওপর ভয়াবহ অত্যাচার চলছে।
পরিবেশবিদদের মতে, নদী বাঁচাতে না পারলে হবিগঞ্জের হাওর ও কৃষিনির্ভর জনজীবন ভয়াবহ সংকটে পড়বে। এখনই সময় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের; নইলে অদূর ভবিষ্যতে মানচিত্র থেকে মুছে যেতে পারে এ অঞ্চলের নদ-নদী।
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে জহিরুল ইসলাম মিঠু হত্যা মামলায় পলাতক দুই ভাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
৩৭ মিনিট আগেপরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে, ১১ বছর বয়সে ১৯৩৫ সালে শামসুদ্দিন ব্রিটিশ-ইন্ডিয়ান আর্মিতে যোগ দিয়েছিলেন। তার সৈনিক নম্বর ছিল ৬৪১৪৬০। ১৯৩৯ থেকে শুরু করে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত পুরো ছয় বছর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ময়দানে ছিলেন এ যোদ্ধা।
৪৪ মিনিট আগেচট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার ভেতরে পুলিশের ওপর চড়াও হয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের এক সাবেক নেতা। ঘটনার পর তাকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আটক মো. রায়হান হাটহাজারি কলেজ শিবিরের সাবেক সভাপতি।
১ ঘণ্টা আগেসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় ভারতীয় জেলেরা ইলিশ মাছ ধরতে আসে তা জানার পরই সাথে সাথে কোস্টগার্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এবং ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমরা চাই দেশের মানুষ ইলিশ খাবে সাগরে যেন কেউ চুরি করে মাছ ধরতে না পারে সেজন্য সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে