উপজেলা প্রতিনিধি শাল্লা (সুনামগঞ্জ)
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার ৪নং শাল্লা ইউনিয়নের ভেড়ামোহনা নদীর পাড়ে অবস্থিত মুজিবনগর আশ্রয়ণ প্রকল্পে সরকারি ঘর বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। ২০২০ সালে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় নির্মিত ১০৬টি ঘরের মধ্যে অন্তত ২১টি ঘর বিক্রি হয়েছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় স্থানীয় হতদরিদ্রদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
২০২০ সালে ঘর বরাদ্দ নিয়ে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল-মোক্তাদির এবং ট্যাগ অফিসার, মৎস্য কর্মকর্তা আল-মামুনের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। সেই সময় তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে ইউএনও আল-মোক্তাদিরকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করা হয় এবং মৎস্য কর্মকর্তা আল-মামুনকে শাস্তিমূলকভাবে বান্দরবানে বদলি করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে অনেক বিত্তশালী এবং যারা এলাকায় থাকেন না, তাদের নামে এই ঘরগুলো বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। সরকারি খাস জমিতে ঘর নির্মাণের নীতিমালা থাকলেও প্রায় ৪০০ ঘর রেকর্ডীয় জায়গায় তৈরি করা হয়।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো টেকসইভাবে নির্মাণ না হওয়ায় নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পরপরই অনেক ঘরে ফাটল দেখা দেয় এবং কিছু ঘর ভেঙেও যায়। এর মধ্যে মুজিবনগরে দেখা যায় এক ভিন্ন চিত্র। ১০৬টি ঘরের মধ্যে প্রায় ৫০টি পরিবার ঘর তালাবদ্ধ রেখে ঢাকায় বা অন্য শহরে চলে যান। এরপরই শুরু হয় ঘর বিক্রির কার্যক্রম।
সরেজমিনে জানা গেছে, রিপন মিয়া তার ঘরটি ১ লক্ষ ৩ হাজার টাকায় বিক্রি করেন রুবেল মিয়ার কাছে। মুজিবুর মিয়া তার ঘর ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকায় ইলিয়াস মিয়ার কাছে বিক্রি করে দেন। এছাড়াও, খোকন মিয়া ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায় মোশারফ মিয়ার কাছে এবং শাহেদনূর মিয়া ১ লক্ষ টাকায় আব্দুল করিমের কাছে ঘর বিক্রি করেছেন। এভাবেই এই আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২১টি ঘর বিক্রির তথ্য পাওয়া গেছে।
স্থানীয় যুবক তারেক মিয়া এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, “সরকারের এই উদ্যোগটি একটি ‘লস প্রজেক্ট’-এ পরিণত হয়েছে। কোটি কোটি টাকা খরচ হলেও প্রকৃত হতদরিদ্রদের কোনো উপকার হয়নি। অনেক ঘর দুর্বল নির্মাণের কারণে ভেঙে গেছে, আর যারা স্বাবলম্বী হয়েও ঘর পেয়েছে, তারা সেগুলোর প্রয়োজন না থাকায় বিক্রি করে দিচ্ছে।”
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিয়াস চন্দ্র দাস জানান, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রকৃত সুবিধাভোগীরা যাতে এসব ঘর থেকে বঞ্চিত না হন, সেদিকে নজর রাখা এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার ৪নং শাল্লা ইউনিয়নের ভেড়ামোহনা নদীর পাড়ে অবস্থিত মুজিবনগর আশ্রয়ণ প্রকল্পে সরকারি ঘর বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। ২০২০ সালে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় নির্মিত ১০৬টি ঘরের মধ্যে অন্তত ২১টি ঘর বিক্রি হয়েছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় স্থানীয় হতদরিদ্রদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
২০২০ সালে ঘর বরাদ্দ নিয়ে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল-মোক্তাদির এবং ট্যাগ অফিসার, মৎস্য কর্মকর্তা আল-মামুনের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। সেই সময় তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে ইউএনও আল-মোক্তাদিরকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করা হয় এবং মৎস্য কর্মকর্তা আল-মামুনকে শাস্তিমূলকভাবে বান্দরবানে বদলি করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে অনেক বিত্তশালী এবং যারা এলাকায় থাকেন না, তাদের নামে এই ঘরগুলো বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। সরকারি খাস জমিতে ঘর নির্মাণের নীতিমালা থাকলেও প্রায় ৪০০ ঘর রেকর্ডীয় জায়গায় তৈরি করা হয়।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো টেকসইভাবে নির্মাণ না হওয়ায় নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পরপরই অনেক ঘরে ফাটল দেখা দেয় এবং কিছু ঘর ভেঙেও যায়। এর মধ্যে মুজিবনগরে দেখা যায় এক ভিন্ন চিত্র। ১০৬টি ঘরের মধ্যে প্রায় ৫০টি পরিবার ঘর তালাবদ্ধ রেখে ঢাকায় বা অন্য শহরে চলে যান। এরপরই শুরু হয় ঘর বিক্রির কার্যক্রম।
সরেজমিনে জানা গেছে, রিপন মিয়া তার ঘরটি ১ লক্ষ ৩ হাজার টাকায় বিক্রি করেন রুবেল মিয়ার কাছে। মুজিবুর মিয়া তার ঘর ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকায় ইলিয়াস মিয়ার কাছে বিক্রি করে দেন। এছাড়াও, খোকন মিয়া ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায় মোশারফ মিয়ার কাছে এবং শাহেদনূর মিয়া ১ লক্ষ টাকায় আব্দুল করিমের কাছে ঘর বিক্রি করেছেন। এভাবেই এই আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২১টি ঘর বিক্রির তথ্য পাওয়া গেছে।
স্থানীয় যুবক তারেক মিয়া এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, “সরকারের এই উদ্যোগটি একটি ‘লস প্রজেক্ট’-এ পরিণত হয়েছে। কোটি কোটি টাকা খরচ হলেও প্রকৃত হতদরিদ্রদের কোনো উপকার হয়নি। অনেক ঘর দুর্বল নির্মাণের কারণে ভেঙে গেছে, আর যারা স্বাবলম্বী হয়েও ঘর পেয়েছে, তারা সেগুলোর প্রয়োজন না থাকায় বিক্রি করে দিচ্ছে।”
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিয়াস চন্দ্র দাস জানান, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রকৃত সুবিধাভোগীরা যাতে এসব ঘর থেকে বঞ্চিত না হন, সেদিকে নজর রাখা এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
এ সময় অসাবধানতাবশত তার শরীরে সার্ভিস তার স্পর্শ করলে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা দ্রুত তাকে কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
৮ মিনিট আগেবুধবার ভোর রাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে ২৩০ পিস ইয়াবাসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার সাইফুল ইসলাম সাঘাটা উপজেলার কামালেরপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক। তিনি ওই এলাকার বারকোনা গ্রামের চান মিয়ার ছেলে।
২০ মিনিট আগেমঙ্গলবার রাতে ১২টার দিকে তিনটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার সময় স্থানীয় বাসিন্দারা ধাওয়া করে। এসময় চালসহ একটি অটোরিকশা জব্দ করলেও বাকি দুটি রিকশা দ্রুত গতিতে পালিয়ে যায়।
২৭ মিনিট আগেবিএনপি নেতা সামছুল ইসলাম জেলার সদর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক। ছাড়া পাওয়া দুই আসামি হলেন, সদর উপজেলার লস্করপুর ইউনিয়ন যুবলীগ সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান ওরফে রানা (৪০) ও একই কমিটির সদস্য মামুন আহমেদ (৩৮)।
৩৮ মিনিট আগে