হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার বাল্লা সীমান্তে নিহত জহুর আলির লাশ বাংলাদেশি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে দেশটির খোয়াই থানা পুলিশ। তবে ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে তার লাশ ফেরত দিয়েছে বাংলাদেশি পুলিশ। খোয়াই পুলিশ জানিয়েছে, জহুর আলি হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় খোয়াই ভারত ও বাংলাদেশ বাল্লা সীমান্তের দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফের উপস্থিতিতে ভারতীয় পুলিশ বাংলাদেশের পুলিশের কাছে জহুর আলির লাশ হস্তান্তর করে। এরপর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জহুর আলির লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। রাত ৮টার দিকে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে গত ৭ জানুয়ারি নিখোঁজের দুইদিন পর বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বিএসএফ বাংলাদেশ সীমান্তের ভেতর প্রবেশ করে জহুর আলিকে হত্যা করে লাশ নিয়ে যায়।
নিহত জহুর আলী (৫৫) চুনারুঘাট গাজিপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ডুলনা গ্রামের মুনছব উল্যার ছেলে। জহুর আলী পেশায় একজন নিরাপত্তা প্রহরী ছিল।
জানা গেছে, তিনি ঢাকা বসুন্ধরা এসডিএল কোম্পানি লিমিটেডে কর্মরত ছিলেন। জহুর আলি নিখোঁজের পর তার ছেলে ফেসবুকের মাধ্যমে বাবার লাশ শনাক্ত করেন। পরে তার বাবার লাশ ফেরত আনতে পুলিশ ও বিজিবির সহযোগিতা নেন তিনি।
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ছাড়াই লাশ দাফনের জন্য পরিবারের কাছে কেন দেওয়া হয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে চুনারুঘাট থানার ওসি (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, আমার সিনিয়র ওসির সাথে কথা বলুন।
আবার চুনারুঘাট থানার ওসি নুর আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভারত পুলিশ ময়নাতদন্ত করেছে। ভারতীয় ময়নাতদন্ত বাংলাদেশ পুলিশ মেনে নিয়েছে কি-না এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওরাই ময়নাতদন্ত করেছে, আমরা লাশ বুঝে নিয়েছি। তবে এ ব্যাপারে ওসি নুর আলম কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি।
এদিকে নিহতের ছেলে অলি মিয়া তার বাবার হত্যার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবি করেন।

