হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় নিষিদ্ধ এক ছাত্রলীগ নেতার সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলাম ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুব আলমের ছবি সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। গত ৯ সেপ্টেম্বর উপজেলার ২নং আহম্মদাবাদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ জুনায়েদ আহমেদ উপজেলা প্রশাসনের শীর্ষ দুই কর্মকর্তার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করেন। এই ছবিটি ফেসবুকে দেখে স্থানীয়রা সমালোচনা করতে শুরু করেছেন।
সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলাম শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালিন ছাত্রলীগ নেতা ছিলেন এবং সহকারী কমিশনার মাহবুব আলম আওয়ামী সরকারের আমলে তৎকালীন দুই মন্ত্রীর সুপারিশে প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি হয়। গত ৩০ জুলাই সরকার তাকে বদলি করলেও এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন।
অভিযোগ রয়েছে, সহকারী কমিশনার মাহবুব আলমের এক বন্ধু শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা চুনারুঘাটের সীমান্ত এলাকার একটি চা বাগানে ম্যানেজার থাকার সুবাদে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাবার পর আ.লীগ ও ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মীদের নিরাপদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে পার করেছেন এবং অনেক নেতাকর্মীকে চা বাগানের বাংলোতে দীর্ঘদিন আশ্রয় দিয়েছেন।
এ বিষয়ে আহম্মদাবাদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ জুনায়েদ আহম্মদ ফেসবুকে ছবি আপলোডের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এ্যাসিল্যান্ডের সাথে মতবিনিময় কিংবা গোপন বৈঠক হয়নি।
স্থানীয় জামায়াত মোস্তুফা হোসেন মস্তু বলেন, অন্তবর্তীকালিন সরকার একটি বিল্পবী সরকার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে ঠিকই কিন্তু এখনো ফ্যাসিস্ট হাসিনার লোকজন সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে বসে নীলনকশা তৈরিতে লিপ্ত। এরই প্রমাণ হিসেবে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার সাথে ইউএনও এবং এসিল্যান্টের ছবি ফেসবুকে প্রচার হচ্ছে। আমি বর্তমান সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতি বিষয়টি নজর দেওয়ার দাবি রাখছি।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর সিরাজ বলেন, উপজেলা প্রশাসনের শীর্ষ দুই কর্মকর্তা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার সাথে ছবি উঠানো আবার ফেসবুকে প্রচার করা নিঃসন্দেহে সরকার বিরোধী কাজ। আমি মনে করি এটি অন্তবর্তীকালিন সরকারের চেতনার পরিপন্থী।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিশিয়াল নাম্বারে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

