ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনের প্রার্থিতা থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের মনোনীত প্রার্থী, আমার দেশ এর আবাসিক সম্পাদক অলিউল্লাহ নোমান। তার আসন থেকে ১০ দলীয় জোটের প্রার্থী খেলাফত মজলিসের মহাসচিব অধ্যাপক ড. আহমদ আব্দুল কাদের নির্বাচন করবেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানান তিনি।
অলিউল্লাহ নোমান তার পোস্টে লেখেন, সংগঠনের সিদ্ধান্তে আমি হবিগঞ্জ-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিলাম। আমিরে জামায়াতের ফোনে আমি এ আসনে নির্বাচন করার জন্য রাজি হয়েছিলাম। দাঁড়িপাল্লা মার্কায় আমার এ আসনে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত ছিল ধূমকেতুর মতো।
তিনি আরো উল্লেখ করেছেন, নেতা না হয়ে খাদেম হওয়ার অদম্য একটা ইচ্ছা ছিল। বৃটেনের পরিচ্ছন্ন রাজনীতি দেখে যা শিখেছিলাম সেটা কাজে লাগিয়ে উদাহরণ তৈরি করার প্রতিজ্ঞা ছিল মনে মনে। আমার আচার-আচরণ ও ব্যবহারে এটা প্রমাণ করারও চেষ্ট করেছি অল্পদিনে। একেবারে ময়লা হাত দেখেও কারো সাথে করমর্দন করা থেকে বিরত থাকিনি।
তিনি বলেছেন, চার সপ্তাহের এই অভিযানে অন্তত লাখ খানেক মানুষের সাথে করমর্দন করতে সক্ষম হয়েছি। মানুষের কাছে গিয়ে দু:খ কষ্টের কথা শোনার চেষ্টা করেছি। খুবই ইচ্ছে ছিল মানুষের অধিকার গুলো নিয়ে তাদের কাছে ফিরে যাবো। কাউকে যেন আমার কাছে এসে বলতে না হয় তাদের সমস্যার কথা। সমস্যা শুনতে তাদের কাছে আমি যাবো এটাই ছিল আমার রাজনীতির প্রথম চিন্তা।
আল্লাহ পাক তকদিরে কি রেখেছেন জানি না। আমি হতাশ নই। হয়ত: আরো বড় কোন জায়গা থেকে দেশ জাতি ও এলাকার জন্য কাজ করার সুযোগ তৈরি হতে পারে, এটাও আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি। এটা আমার এক নতুন অভিজ্ঞতা। বাংলাদেশে এমন লোক আছে, যাদের এক কাপ চা খাওয়াতে হয় না, এক টাকা খরচ দিতে হয় না, অথচ, দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম কাকতালীয়ভাবে। সংগঠনের সর্বস্তরের ভাই-বোন-শুভাকাঙ্ক্ষী-ছাত্র-যুবকরা নিরলস ও নিঃস্বার্থভাবে কাজ করেছেন। সত্যিই আপনাদের ভালোবাসা ও সহযোগিতা আমি আজীবন স্মরণ রাখব।
সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ভালোবাসার ঋণ পরিশোধ করা যায় না।
আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

