সুনামগঞ্জ- ৩ (শান্তিগঞ্জ-জগন্নাথপুর) আসনে এবি পার্টির তালহা আলমের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নেতারা। রোববার বিকেল ৩টায় জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে এ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন, কেন্দ্রীয় জমিয়তের সদস্য ও শান্তিগঞ্জ উপজেলা জমিয়তের সভাপতি হাফিজ হোসেন আহমেদ, জগন্নাথপুর উপজেলা জমিয়তের সভাপতি হাফিজ সৈয়দ ওযায়রুল হকের নেতৃত্বে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়।
এরআগে তালহা আলম মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের হাতে ফরমপূরণ করে জমিয়ত ছেড়ে এবি পার্টিতে যোগ দেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, জমিয়ত নেতৃবৃন্দের অনুমতিতেই তালহা এবি পার্টিতে যোগ দেন। তিনি জমিয়তের মুফতি ওয়াক্কাস গ্রুপের প্রচার সম্পাদক ছিলেন। সব মিলিয়ে, এবি পার্টির প্রার্থী হিসেবে সৈয়দ তালহা আলমের পাশে সাবেক জমিয়ত নেতাদের দৃঢ় অবস্থান তার নির্বাচনী লড়াইকে আরও শক্তিশালী করবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।
মনোনয়নপত্র সংগ্রহে যুক্ত জমিয়ত নেতা কেন্দ্রীয় সদস্য এবং জেলা জমিয়তের সহ-সভাপতি মাওলানা হোসেন আহমেদ জানান, তারা আসন্ন নির্বাচনে সৈয়দ তালহা আলমের পক্ষে মাঠে কাজ করবেন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী তার নির্বাচনি কমিটিতে দায়িত্ব পালন করবেন। দলীয় পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে তারা ভোটার সংযোগ, সাংগঠনিক সমন্বয় ও প্রচারণায় সক্রিয় ভূমিকা রাখবেন। আজকেও তারা কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এবং জেলা জমিয়তের সভাপতি মাওলানা আব্দুস শহীদ জামলাবাদী সাহেবের নির্দেশে এসেছেন।
মনোনয়ন পত্র সংগ্রহে এসে সুনামগঞ্জ জেলা জমিয়তের সহ-সভাপতি এবং জগন্নাথপুর উপজেলা জমিয়তের সভাপতি হাফিজ সৈয়দ ওযায়রুল হক বলেন, সৈয়দ তালহা আলম আমাদের কাছে একজন রাজনৈতিক সহযোদ্ধা নন তিনি আমাদের ভাই। দল পরিবর্তন হতে পারে কিন্তু আমাদের সম্পর্ক ও বিশ্বাস অটুট। আন্দোলন সংগ্রাম থেকে ৫ আগস্টের পর আমরা মিলেমিশে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছি আগামীতেও করবো।
এবি পার্টির জগন্নাথপুর উপজেলার নেতা আলী আসগর ইমন বলেন, আমরা আগামী নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। জনতার চেয়ারম্যান তালহা আলমের সাথে তার বর্তমান দল এবি পার্টি। সাবেক দল জমিয়ত এবং দলমতের ঊর্ধে হাজার কর্মী নির্বাচনে ঝাঁপিয়ে পড়তে প্রস্তুত।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ভিন্ন দলের নেতাদের এ ধরনের ঐক্য ও সমর্থন সৈয়দ তালহা আলমের ব্যক্তিগত গ্রহণযোগ্যতা, নেতৃত্বগুণ ও তৃণমূল ভিত্তির শক্তি স্পষ্টভাবে তুলে ধরে। এটি তার নির্বাচনি প্রচারণায় নতুন গতি আনবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সৈয়দ তালহা আলম এ বিষয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, রাজনীতি হওয়া উচিত মানুষের কল্যাণের জন্য। জমিয়তের আমার ভাইয়েরা যে বিশ্বাস ও সমর্থন দেখিয়েছেন। তা নিয়ে আমরা একসঙ্গে এলাকার উন্নয়নে কাজ করে যাব। আমি দেশ এবং দশের স্বার্থে জেলা সভাপতির অনুমতিক্রমে ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে দেশপ্রেমিক দল এবি পার্টিতে যোগদান করেছি। জাতীয় নির্বাচন স্বতন্ত্র করা অনেক কষ্টসাধ্য বিষয়। এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু ও দলের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ আন্দোলন সংগ্রামের আদর্শ নেতা এবং জাতীয় রাজনীতিতে তাদের অবদান অনস্বীকার্য। জাতীয় নির্বাচনে আমাদের আঞ্চলিক অবস্থান এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের সহযোগিতা আগামী নির্বাচনে জনগণকে নিয়ে আমরা এগিয়ে যাবো।
আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

