ইউএনওর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার, প্রতিবাদে রাস্তায় সহস্রাধিক মানুষ

উপজেলা প্রতিনিধি, ছাতক (সুনামগঞ্জ)
প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫: ৩০

সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রচার হওয়ায় রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন সহস্রাধিক মানুষ। শনিবার দুপুরে উপজেলার সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কের গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টে উপজেলাবাসীর ব্যানারে এ মানববন্ধন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি নুর ইসলাম বলেন, আমরা জনবান্ধব একজন কর্মকর্তা পেয়েছি। সম্প্রতি তার মাদক, বালু খেকো, টেন্ডারবাজ, নদী পথে চাঁদাবাজি এবং অসাধু ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ছিলেন। এজন্য তিনি সবার চক্ষুশূলে পরিণত হয়ে পড়েন। ফলে এসব সিন্ডিকেট কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করিয়েছে। আমরা এসব ফ্যাসিস্টের দোসরদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাই।

সিএনজি অটোরিকশা চালক ইউনিয়ন শ্রমিক নেতা সাহাব আলী বলেন, আমরা ছাতক উপজেলাকে লুটেপুটে খেতে দিবো না। এর পিছনে যারা ইনভেস্ট করতেছে তারা ফ্যাসিস্ট। এর প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। এরকম জনবান্ধব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানাই।

ছাত্রনেতা সাদেক আহমদ বলেন, ফাটাকেস্টের গল্প আমরা টেলিভিশনে দেখেছি। কিন্তু আমাদের সুভাগ্য এখন বাস্তবে আমাদের ইউএনওর কর্মকাণ্ডে সেই ফাটাকেস্টের চরিত্র দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু কিছু ফ্যাসিস্টের দোসর চাচ্ছে আমাদের উপজেলাকে লুটেপুটে খেতে। আমরা তা হতে দিবো না।

এছাড়াও, ছাত্রনেতা মতিউরের পরিচানায় বক্তব্য রাখেন মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি সেক্রেটারি শাহজাহান মিয়া, হিউম্যান হিলার সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসবর আলী, ছাত্রনেতা রুহুল আমিন, জাকির হোসেন, তাজুল ইসলাম, সমাজসেবী আজিম উদ্দিনসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও উপজেলার সাধারণ মানুষ।

জানা যায়, গত বছরের ১১ নভেম্বর ছাতক উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন তরিকুল ইসলাম। তার দায়িত্বগ্রহণের মাত্র ২০০ কার্যদিবসেই তিনি দায়ের করেছেন ২৪০টি মামলা। যা উপজেলার অতীতের ১৬ বছ‌রের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। মাদক, ইজারা বহির্ভূত বালু উত্তোলন, পরিবেশ আইন, ভোক্তা অধিকার ও সড়ক পরিবহন আইন ভঙ্গের বিরুদ্ধে প্রতিদিনই পরিচালিত হচ্ছে মোবাইল কোর্ট অভিযান।

ইউএনওর দুঃসাহসী নেতৃত্বে গত কয়েক মাসেই দায়ের হয়েছে ৭২টি মাদক মামলা। আদালতের মাধ্যমে সাজা ভোগ করেছে সমসংখ্যক অপরাধী। এতে মাদক সিন্ডিকেট বালু পাথর লুটপাটকারীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এছাড়াও ইজারা বহির্ভূত নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে চলছে নিয়মিত অভিযান। এ পর্যন্ত দায়ের হয়েছে ১৫টি মামলা। জব্দ করে‌ছেন প্রায় ৫ কোটি টাকা মূল্যের ড্রেজার, বাল্কহেড, স্টিল নৌকা ও ৫০ হাজার ঘনফুট বালু।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত