আশিস রহমান, (দোয়ারাবাজার) সুনামগঞ্জ
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও ছিলেন তিনি সুবিধাভোগী। ফ্যাসিস্টদের দোসরদের সাথেই ছিলো তার সার্বক্ষণিক ওঠাবসা। কিন্তু গত বছর ৫ আগস্টের সরকার পরিবর্তনের পর থেকে তিনি এখন প্রভাবশালী বিএনপি নেতা। তার দাপটে রেহাই পাচ্ছে না অর্ধশত বছরের পুরোনো ফসলরক্ষা বাঁধ থেকে শুরু করে সরকারি গাছ।
অবৈধ ভাবে বালু পাথর ব্যবসার গডফাদার হিসেবেও তার পরিচিতি রয়েছে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব মাছিমপুর গ্রামের আলীর ছেলে মামুন মিয়ার। ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব তিনি।
তার বিরুদ্ধে উপজেলার পাণ্ডারখাল বাঁধ অবৈধভাবে দখল করে বালু পাথর ব্যবসা করার অভিযোগ উঠেছে। শুধু অবৈধ বালু পাথর ব্যবসা-ই নয়, বৈআইনি ভাবে পান্ডারখাল বাঁধের সরকারি গাছ কর্তনের অভিযোগও রয়েছে মামুন মিয়ার বিরুদ্ধে। কিন্তু তিনি স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী বিএনপি নেতা হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ প্রকাশ্যে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না। এমনকি প্রশাসনও তার বিষয়ে নিরব।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সম্প্রতি বিএনপি নেতা মামুন মিয়া ও তার লোকজন পান্ডারখাল বাঁধের সরকারি গাছ কাটলে স্থানীয়রা প্রতিবাদ জানালে তিনি গাছ কাটা বন্ধ করেন। পরে বনবিভাগের লোকজন এসে গাছ জব্দ করে নিয়ে যায়। কিন্তু এই ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত মামুন মিয়া ও তার লোকজনদের বিরুদ্ধে কোনো ধরণের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এদিকে দীর্ঘদিন ধরে পান্ডারখাল বাঁধে অবৈধভাবে বালু পাথর ডাম্পিং করে মামুন মিয়ার নেতৃত্বে স্থানীয় দখলদারেরা দেদারসে ব্যবসা করে আসছেন। এসব দখলদাররা হলেন দোহালিয়া ইউনিয়ের মজুরবাজার এলাকার জিয়াউল মেম্বার, সদর ইউনিয়নের বাজিতপুর গ্রামের আলমগীর, মান্নারগাঁও ইউনিয়নের ইদনপুর গ্রামের আক্রাবুল, মিছির আলী ও চন্ডীপুর নতুন পাড়া গ্রামের রফিক মিয়া।
স্থানীয়রা বলছেন, অবৈধ দখলদারদের আগ্রাসনে অর্ধশতবর্ষী পান্ডারখাল বাঁধের অস্তিত্ব এখন হুমকির মুখে পড়েছে। বালু পাথর ডাম্পিংয়ের কারণে বাঁধের মূল্যবান সরকারি গাছপালা মরতে বসেছে। বাঁধের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও প্রতিবেশ এখন অস্তিত্ব সংকটে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা মামুন মিয়া তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, পান্ডারখাল বাঁধে আমার কোনো বালু-পাথরের ব্যবসা নাই। তবে সরকারি রাস্তার কাজের জন্য বালু এনে এখানে মজুত রাখা হয়েছে। কিছু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আমার বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি আওয়ামী লীগের সময় কোনো সুবিধাভোগী ছিলাম না। একজন লোকাল ব্যবসায়ী হিসেবে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সবাই আমার চোখে সমান। সবার সাথেই আমার সুসম্পর্ক আছে।
গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইউএনও এবং ফরেস্টারকে অবগত করেই স্থানীয়দের নিয়ে সবাই সম্মিলিত ভাবে একটা মরা গাছ কেটে লেবারদের থাকার শেড তৈরি করেছি।
তবে দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অরুপ রতন সিংহ জানান, পান্ডারখাল বাঁধের গাছ কাটার বিষয়ে আমাদের কাছ থেকে কোনো ধরনের অনুমতি নেওয়া হয়নি। বনবিভাগকে নির্দেশ দিয়েছি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার জন্য। পান্ডারখাঁল বাঁধে নতুন করে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যাবেনা। ইট, বালু, পাথর ডাম্পিং করতে নিষেধ করে এসেছি। বাঁধের ওপর এখন যাদের বালু-পাথর ও স্থাপনা রয়েছে তারা এসব সরানোর জন্য ৭ দিনের সময় চেয়েছে। তাদেরকে সময় দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে এসব অন্যত্র না সরানো হলে পরবর্তীতে মোবাইল কোর্ট করে জব্দ করা হবে।
দোয়ারাবাজার উপজেলা বন বিভাগের বিট কর্মকর্তা আইয়ুব খান জানান, আমরা সরেজমিনে গিয়ে গাছ জব্দ করেছি। অভিযুক্ত মামুনসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও ছিলেন তিনি সুবিধাভোগী। ফ্যাসিস্টদের দোসরদের সাথেই ছিলো তার সার্বক্ষণিক ওঠাবসা। কিন্তু গত বছর ৫ আগস্টের সরকার পরিবর্তনের পর থেকে তিনি এখন প্রভাবশালী বিএনপি নেতা। তার দাপটে রেহাই পাচ্ছে না অর্ধশত বছরের পুরোনো ফসলরক্ষা বাঁধ থেকে শুরু করে সরকারি গাছ।
অবৈধ ভাবে বালু পাথর ব্যবসার গডফাদার হিসেবেও তার পরিচিতি রয়েছে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব মাছিমপুর গ্রামের আলীর ছেলে মামুন মিয়ার। ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব তিনি।
তার বিরুদ্ধে উপজেলার পাণ্ডারখাল বাঁধ অবৈধভাবে দখল করে বালু পাথর ব্যবসা করার অভিযোগ উঠেছে। শুধু অবৈধ বালু পাথর ব্যবসা-ই নয়, বৈআইনি ভাবে পান্ডারখাল বাঁধের সরকারি গাছ কর্তনের অভিযোগও রয়েছে মামুন মিয়ার বিরুদ্ধে। কিন্তু তিনি স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী বিএনপি নেতা হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ প্রকাশ্যে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না। এমনকি প্রশাসনও তার বিষয়ে নিরব।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সম্প্রতি বিএনপি নেতা মামুন মিয়া ও তার লোকজন পান্ডারখাল বাঁধের সরকারি গাছ কাটলে স্থানীয়রা প্রতিবাদ জানালে তিনি গাছ কাটা বন্ধ করেন। পরে বনবিভাগের লোকজন এসে গাছ জব্দ করে নিয়ে যায়। কিন্তু এই ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত মামুন মিয়া ও তার লোকজনদের বিরুদ্ধে কোনো ধরণের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এদিকে দীর্ঘদিন ধরে পান্ডারখাল বাঁধে অবৈধভাবে বালু পাথর ডাম্পিং করে মামুন মিয়ার নেতৃত্বে স্থানীয় দখলদারেরা দেদারসে ব্যবসা করে আসছেন। এসব দখলদাররা হলেন দোহালিয়া ইউনিয়ের মজুরবাজার এলাকার জিয়াউল মেম্বার, সদর ইউনিয়নের বাজিতপুর গ্রামের আলমগীর, মান্নারগাঁও ইউনিয়নের ইদনপুর গ্রামের আক্রাবুল, মিছির আলী ও চন্ডীপুর নতুন পাড়া গ্রামের রফিক মিয়া।
স্থানীয়রা বলছেন, অবৈধ দখলদারদের আগ্রাসনে অর্ধশতবর্ষী পান্ডারখাল বাঁধের অস্তিত্ব এখন হুমকির মুখে পড়েছে। বালু পাথর ডাম্পিংয়ের কারণে বাঁধের মূল্যবান সরকারি গাছপালা মরতে বসেছে। বাঁধের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও প্রতিবেশ এখন অস্তিত্ব সংকটে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা মামুন মিয়া তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, পান্ডারখাল বাঁধে আমার কোনো বালু-পাথরের ব্যবসা নাই। তবে সরকারি রাস্তার কাজের জন্য বালু এনে এখানে মজুত রাখা হয়েছে। কিছু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আমার বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি আওয়ামী লীগের সময় কোনো সুবিধাভোগী ছিলাম না। একজন লোকাল ব্যবসায়ী হিসেবে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সবাই আমার চোখে সমান। সবার সাথেই আমার সুসম্পর্ক আছে।
গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইউএনও এবং ফরেস্টারকে অবগত করেই স্থানীয়দের নিয়ে সবাই সম্মিলিত ভাবে একটা মরা গাছ কেটে লেবারদের থাকার শেড তৈরি করেছি।
তবে দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অরুপ রতন সিংহ জানান, পান্ডারখাল বাঁধের গাছ কাটার বিষয়ে আমাদের কাছ থেকে কোনো ধরনের অনুমতি নেওয়া হয়নি। বনবিভাগকে নির্দেশ দিয়েছি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার জন্য। পান্ডারখাঁল বাঁধে নতুন করে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যাবেনা। ইট, বালু, পাথর ডাম্পিং করতে নিষেধ করে এসেছি। বাঁধের ওপর এখন যাদের বালু-পাথর ও স্থাপনা রয়েছে তারা এসব সরানোর জন্য ৭ দিনের সময় চেয়েছে। তাদেরকে সময় দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে এসব অন্যত্র না সরানো হলে পরবর্তীতে মোবাইল কোর্ট করে জব্দ করা হবে।
দোয়ারাবাজার উপজেলা বন বিভাগের বিট কর্মকর্তা আইয়ুব খান জানান, আমরা সরেজমিনে গিয়ে গাছ জব্দ করেছি। অভিযুক্ত মামুনসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার রাতে ১২টার দিকে তিনটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার সময় স্থানীয় বাসিন্দারা ধাওয়া করে। এসময় চালসহ একটি অটোরিকশা জব্দ করলেও বাকি দুটি রিকশা দ্রুত গতিতে পালিয়ে যায়।
৭ মিনিট আগেবিএনপি নেতা সামছুল ইসলাম জেলার সদর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক। ছাড়া পাওয়া দুই আসামি হলেন, সদর উপজেলার লস্করপুর ইউনিয়ন যুবলীগ সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান ওরফে রানা (৪০) ও একই কমিটির সদস্য মামুন আহমেদ (৩৮)।
১৮ মিনিট আগেমৌলভীবাজারে শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ সড়কের জানকিছড়া এলাকায় হাঁটতে হাঁটতে বাড়ি ফেরার পথে অজ্ঞাত গাড়িচাপায় এক কমিউনিটি পেট্রোলিং গ্রুপ (সিপিজি) সদস্য নিহত হয়েছেন। বুধবার ভোরে কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেকুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে প্রবাসীর স্ত্রীকে লাঠিপেটার অভিযোগ পাওয়া গেছে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। ইউপি সদস্য বজলুর রহমান শ্রীপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি । এ ঘটনার ২ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে