
উপজেলা প্রতিনিধি, মাধবপুর (হবিগঞ্জ)

দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার সুরমা চা বাগানে প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত একটি ব্রিজ এখন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দুই বছর ধরে ব্রিজটির দুইপাশের মাটি ভেঙে পড়ে থাকায় প্রায় দশ হাজার বাসিন্দা ও চা শ্রমিক চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন। প্রতিদিন শত শত চা শ্রমিক ও স্কুল শিক্ষার্থী ঝুঁকি নিয়ে ছড়া নদী পারাপার করে কর্মস্থল ও বিদ্যালয়ে যাতায়াত করছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুব আলীর সময়ে সুরমা চা বাগানের ছড়া নদীর ওপর প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রিজটি নির্মিত হয়। নির্মাণের অল্প কিছু দিন পরই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি ও নিম্নমানের কাজের কারণে ব্রিজটির দু’পাশের সংযোগ মাটি বৃষ্টির পানিতে সরে যায়। এরপর চলাচল অনুপযোগী হয়ে যায় সেতুটি। বর্তমানে সেতুটির পাশে ছড়া নদীর তলদেশে পানি জমে যাওয়ায় পারাপার আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।
বাগানের ২০ নম্বর সেকশন এলাকায় বসবাসরত চা শ্রমিকরা জানান, ব্রিজটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে বর্ষার সময় ছড়ায় পানি বৃদ্ধি পেলে কেউ এই পথে চলাচল করতে পারেন না। বাধ্য হয়ে শ্রমিকরা বিকল্প ঝুঁকিপূর্ণ পথ ব্যবহার করছেন।
শ্রমিক নির্মলা দেবী বলেন, “দুই বছর ধরে এই ভাঙা ব্রিজের কারণে আমরা প্রচণ্ড কষ্টে আছি। বৃষ্টি নামলে ছড়া পার হতে ভয় লাগে, অনেক সময় পিছলে পড়ে যাই।”
শ্রমিক সুনিতা তেপা বলেন, “এত টাকা খরচ করে ব্রিজটা বানানো হলো, কিন্তু এখন সেটি মৃত্যুর ফাঁদ হয়ে আছে। কেউ এসে দেখেও যায় না।”
বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক কমল সরকার বলেন, “ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে আমরা উপজেলা প্রশাসন ও এলজিইডি দপ্তরে একাধিকবার লিখিতভাবে জানিয়েছি। কিন্তু এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। শ্রমিকরা প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে, এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।”
স্থানীয় শিক্ষক নয়ন চৌধুরী বলেন, “স্কুলের শিশুরা এই ব্রিজ পার হয়ে আসে। একটু অসতর্ক হলেই বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ব্রিজটি দ্রুত মেরামত না করলে যেকোনো সময় প্রাণহানি ঘটতে পারে।”
মাধবপুর উপজেলা প্রকৌশলী রেজাউল নবী বলেন, “আমি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই সেতুটির বেহাল অবস্থা লক্ষ করেছি। দু’পাশের মাটি সরে যাওয়ায় এটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে গেছে। সংস্কারের জন্য নতুন বাজেট প্রয়োজন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, কোটি টাকার এই প্রকল্পটি নির্মাণের পরপরই ধসে পড়লেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। দীর্ঘদিন অবহেলিত অবস্থায় পড়ে থাকায় ব্রিজটি এখন সম্পূর্ণ ভেঙে যাওয়ার পথে। ফলে বাগানের শ্রমিক ও বাসিন্দাদের পণ্য পরিবহন, স্কুলগামী শিক্ষার্থী ও রোগী পরিবহনে মারাত্মক সমস্যা তৈরি হয়েছে।
তারা বলেন, সরকারের অর্থে নির্মিত অবকাঠামো যদি জনগণের কাজে না আসে, তবে তা শুধু অপচয় নয়, জনগণের সঙ্গে প্রতারণা। স্থানীয়রা দ্রুত ব্রিজটি সংস্কারের দাবি জানিয়ে বলেন, এটি সংস্কার হলে বাগানের শ্রমিক ও বাসিন্দাদের যাতায়াত সহজ হবে। দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমে আসবে।

দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার সুরমা চা বাগানে প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত একটি ব্রিজ এখন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দুই বছর ধরে ব্রিজটির দুইপাশের মাটি ভেঙে পড়ে থাকায় প্রায় দশ হাজার বাসিন্দা ও চা শ্রমিক চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন। প্রতিদিন শত শত চা শ্রমিক ও স্কুল শিক্ষার্থী ঝুঁকি নিয়ে ছড়া নদী পারাপার করে কর্মস্থল ও বিদ্যালয়ে যাতায়াত করছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুব আলীর সময়ে সুরমা চা বাগানের ছড়া নদীর ওপর প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রিজটি নির্মিত হয়। নির্মাণের অল্প কিছু দিন পরই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি ও নিম্নমানের কাজের কারণে ব্রিজটির দু’পাশের সংযোগ মাটি বৃষ্টির পানিতে সরে যায়। এরপর চলাচল অনুপযোগী হয়ে যায় সেতুটি। বর্তমানে সেতুটির পাশে ছড়া নদীর তলদেশে পানি জমে যাওয়ায় পারাপার আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।
বাগানের ২০ নম্বর সেকশন এলাকায় বসবাসরত চা শ্রমিকরা জানান, ব্রিজটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে বর্ষার সময় ছড়ায় পানি বৃদ্ধি পেলে কেউ এই পথে চলাচল করতে পারেন না। বাধ্য হয়ে শ্রমিকরা বিকল্প ঝুঁকিপূর্ণ পথ ব্যবহার করছেন।
শ্রমিক নির্মলা দেবী বলেন, “দুই বছর ধরে এই ভাঙা ব্রিজের কারণে আমরা প্রচণ্ড কষ্টে আছি। বৃষ্টি নামলে ছড়া পার হতে ভয় লাগে, অনেক সময় পিছলে পড়ে যাই।”
শ্রমিক সুনিতা তেপা বলেন, “এত টাকা খরচ করে ব্রিজটা বানানো হলো, কিন্তু এখন সেটি মৃত্যুর ফাঁদ হয়ে আছে। কেউ এসে দেখেও যায় না।”
বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক কমল সরকার বলেন, “ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে আমরা উপজেলা প্রশাসন ও এলজিইডি দপ্তরে একাধিকবার লিখিতভাবে জানিয়েছি। কিন্তু এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। শ্রমিকরা প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে, এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।”
স্থানীয় শিক্ষক নয়ন চৌধুরী বলেন, “স্কুলের শিশুরা এই ব্রিজ পার হয়ে আসে। একটু অসতর্ক হলেই বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ব্রিজটি দ্রুত মেরামত না করলে যেকোনো সময় প্রাণহানি ঘটতে পারে।”
মাধবপুর উপজেলা প্রকৌশলী রেজাউল নবী বলেন, “আমি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই সেতুটির বেহাল অবস্থা লক্ষ করেছি। দু’পাশের মাটি সরে যাওয়ায় এটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে গেছে। সংস্কারের জন্য নতুন বাজেট প্রয়োজন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, কোটি টাকার এই প্রকল্পটি নির্মাণের পরপরই ধসে পড়লেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। দীর্ঘদিন অবহেলিত অবস্থায় পড়ে থাকায় ব্রিজটি এখন সম্পূর্ণ ভেঙে যাওয়ার পথে। ফলে বাগানের শ্রমিক ও বাসিন্দাদের পণ্য পরিবহন, স্কুলগামী শিক্ষার্থী ও রোগী পরিবহনে মারাত্মক সমস্যা তৈরি হয়েছে।
তারা বলেন, সরকারের অর্থে নির্মিত অবকাঠামো যদি জনগণের কাজে না আসে, তবে তা শুধু অপচয় নয়, জনগণের সঙ্গে প্রতারণা। স্থানীয়রা দ্রুত ব্রিজটি সংস্কারের দাবি জানিয়ে বলেন, এটি সংস্কার হলে বাগানের শ্রমিক ও বাসিন্দাদের যাতায়াত সহজ হবে। দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমে আসবে।

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীতে ধরা ২৪ কেজি ওজনের সেই বিশাল কাতল মাছটি অবশেষে বিক্রি হয়েছে ৬৭ হাজার ২০০ টাকায়। মাছটি ঢাকার এক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেছেন দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের মাছ ব্যবসায়ী মো. চান্দু মোল্লা।
৯ মিনিট আগে
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা এখনও পিছিয়ে আছে। আমরা দেখতে পাই বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনেক পিছিয়ে। যেখানে অন্যান্য দেশগুলো উন্নতির দিকে ধাবিত হচ্ছে, সেখানে আমরা সেগুলো কল্পনা করতে পারি না। আমাদের সে জায়গা থেকে বের হয়ে নতুন আঙ্গিকে এগিয়ে যেতে হবে।
১১ মিনিট আগে
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক এবং ঢাকা উত্তর মহানগর শাখার সহ-সভাপতি তিতাস উদ্দিনকে আটক করেছে যশোর ডিবি পুলিশ।
২১ মিনিট আগে
বাঁশখালীতে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্রসহ কুখ্যাত সন্ত্রাসী মনসুর বাহিনীর পাঁচ সদস্যকে আটক করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। বৃহস্পতিবার সকালে কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
২৩ মিনিট আগে