হবিগঞ্জের বাহুবলে বালু দস্যুদের থাবায় ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে পাহাড়ি টিলা ও ছড়া। কয়েক মাসে ছড়া ও টিলা কেটে লক্ষাধিক ঘনফুট বালু নিয়ে গেছে বালুখেকোরা। এসব দস্যুরা সাধারণ কোনো ব্যবসায়ী বা পাচারকারী নয়। এরা রাজনৈতিক বলয়ে রাতের আঁধারে লুট করে নিচ্ছে মূল্যবান সিলিকা বালু।
এভাবে বালু লুট করায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের আমতলী প্লানটেশনের ১০ নং সেকশনের মধ্য দিয়ে চলে যাওয়া ভৈরাগী মাজারের রাস্তা।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বাহুবলে চলতি অর্থ বছরে কোন মহাল সরকারিভাবে লিজ দেয়নি কর্তৃপক্ষ। অথচ রাতের আঁধারে পাহাড়ি এ রাস্তার বালু লুটে নিচ্ছে বালু দস্যুরা। এর ফলে এটি পরিণত হয়েছে খালে। এতে ধসে পড়ছে টিলা। রাজনৈতিক পরিচয়ধারী চিহ্নিত বালুখেকো চক্রটি মিরপুরে বসে মুছাই পাহাড়ের সিলিকা বালু লুটের যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে পরিবেশের ভারসাম্য।
এমতাবস্থায় আমতলী বাগান কর্তৃপক্ষ তাদের নিজস্ব লোকবলের মাধ্যমে বালু পাচার রুখতে জোরদার করেছে নৈশকালীন টহল। বালু খেকোদের পাকড়াও করতে একাধিক অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। সুন্দ্রাটিকি ছড়া ও মুছাই পাহাড়ে এমনকি আমতলীর গহিন অরণ্যেও চালানো হয় অভিযান। এরপরও থামছে না বালু পাচার।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মাহবুবুল ইসলাম জানান, বালু পাচার ও মাটি কর্তন রুখতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। জেল জরিমানা করা হচ্ছে। প্রশাসনের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

