
এখলাছুর রহমান, জকিগঞ্জ (সিলেট)

সিলেটের জকিগঞ্জ সুরমা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে নদীতে বিলীন হওয়ার পথে শত শত বাড়িঘর, ফসলি জমি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও বাজার। ভিটেমাটি ও জমি হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে শতশত পরিবার। ভাঙন রোধে নেওয়া হচ্ছে না কোনো উদ্যোগ।
জানা গেছে, ইতোমধ্যে বারইগ্রাম এলাকাকার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশকিছু বাড়িঘর নদীতে চলে গেছে। স্থানীয় জনসাধারণ আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, ‘অতি দ্রুত মেরামত কাজ সম্পন্ন না হলে অচিরেই পাঁচটি গ্রাম নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। এ নিয়ে বারাকুলি, চককোনাগ্রাম, পরচক ও বারইগ্রাম এলাকার মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সরেজমিন পরিদর্শনে গেলে দেখা যায়, প্রায় ৫০০ মিটার এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। নদীর তীরবর্তী বহু ঘরবাড়ি এখন ভাঙনের মুখে। বিশাল বিশাল ভাঙনে আশপাশের ফসলি জমিও নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে। গ্রামের অসংখ্য পরিবার বাড়িঘর হারিয়ে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। আবার অনেকে রাস্তার পাশে বা উঁচু জায়গায় তাঁবু টানিয়ে অস্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।
বারাকুলি গ্রামের বাসিন্দা মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমাদের ফসলি জমি ও গাছপালা রাক্ষুসে সুরমা গিলে খেয়েছে। এখন থাকার জায়গাটুকু নিয়েও শঙ্কায় আছি। দিনরাত নদীর গর্জনে ঘুমাতে পারি না। একই গ্রামের তাজুল ইসলাম জানান, অনেক মন্ত্রী-এমপি এসে ভাঙন রোধের আশ্বাস দিলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেননি। আমরা এখন দিশেহারা।’ এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তি জমির আলী বলেন, ‘সুরমার ভাঙন মোকাবিলায় কার্যকর উদ্যোগ না নিলে জকিগঞ্জের এ ঐতিহ্যবাহী জনপদ ধীরে ধীরে মানচিত্র থেকেই হারিয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, অবিলম্বে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এ এলাকার বিপন্ন জনগোষ্ঠীকে চিন্তামুক্ত করার ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
স্থানীয়দের দাবি, জরুরি ভিত্তিতে ব্লক ফেলে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু না করলে পুরো গ্রাম বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে ফসলি জমি নদীতে তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। নদী তীরবর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আর মসজিদও এখন হুমকির মুখে রয়েছে।
ভয়াবহ এ ভাঙনের বিষয়ে বারহাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘তড়িৎ ব্যবস্থা না নিলে বারাকুলি, চক ও পরচক এলাকার হাজার হাজার মানুষ সর্বস্বান্ত হয়ে পড়বে। ভাঙন এখন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।’ স্থানীয় ইউপি সদস্য মিফতা আহমেদ বলেন, ‘জেগে জেগে রাতদিন পার করছি । ঘরবাড়ি হারানোর ভয়ে চোখে ঘুম নেই।’
জানতে চাইলে সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমি এলাকা পরিদর্শন করেছি। এলাকাটির অবস্থা সত্যিই ভয়াবহ। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।

সিলেটের জকিগঞ্জ সুরমা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে নদীতে বিলীন হওয়ার পথে শত শত বাড়িঘর, ফসলি জমি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও বাজার। ভিটেমাটি ও জমি হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে শতশত পরিবার। ভাঙন রোধে নেওয়া হচ্ছে না কোনো উদ্যোগ।
জানা গেছে, ইতোমধ্যে বারইগ্রাম এলাকাকার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশকিছু বাড়িঘর নদীতে চলে গেছে। স্থানীয় জনসাধারণ আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, ‘অতি দ্রুত মেরামত কাজ সম্পন্ন না হলে অচিরেই পাঁচটি গ্রাম নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। এ নিয়ে বারাকুলি, চককোনাগ্রাম, পরচক ও বারইগ্রাম এলাকার মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সরেজমিন পরিদর্শনে গেলে দেখা যায়, প্রায় ৫০০ মিটার এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। নদীর তীরবর্তী বহু ঘরবাড়ি এখন ভাঙনের মুখে। বিশাল বিশাল ভাঙনে আশপাশের ফসলি জমিও নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে। গ্রামের অসংখ্য পরিবার বাড়িঘর হারিয়ে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। আবার অনেকে রাস্তার পাশে বা উঁচু জায়গায় তাঁবু টানিয়ে অস্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।
বারাকুলি গ্রামের বাসিন্দা মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমাদের ফসলি জমি ও গাছপালা রাক্ষুসে সুরমা গিলে খেয়েছে। এখন থাকার জায়গাটুকু নিয়েও শঙ্কায় আছি। দিনরাত নদীর গর্জনে ঘুমাতে পারি না। একই গ্রামের তাজুল ইসলাম জানান, অনেক মন্ত্রী-এমপি এসে ভাঙন রোধের আশ্বাস দিলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেননি। আমরা এখন দিশেহারা।’ এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তি জমির আলী বলেন, ‘সুরমার ভাঙন মোকাবিলায় কার্যকর উদ্যোগ না নিলে জকিগঞ্জের এ ঐতিহ্যবাহী জনপদ ধীরে ধীরে মানচিত্র থেকেই হারিয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, অবিলম্বে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এ এলাকার বিপন্ন জনগোষ্ঠীকে চিন্তামুক্ত করার ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
স্থানীয়দের দাবি, জরুরি ভিত্তিতে ব্লক ফেলে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু না করলে পুরো গ্রাম বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে ফসলি জমি নদীতে তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। নদী তীরবর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আর মসজিদও এখন হুমকির মুখে রয়েছে।
ভয়াবহ এ ভাঙনের বিষয়ে বারহাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘তড়িৎ ব্যবস্থা না নিলে বারাকুলি, চক ও পরচক এলাকার হাজার হাজার মানুষ সর্বস্বান্ত হয়ে পড়বে। ভাঙন এখন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।’ স্থানীয় ইউপি সদস্য মিফতা আহমেদ বলেন, ‘জেগে জেগে রাতদিন পার করছি । ঘরবাড়ি হারানোর ভয়ে চোখে ঘুম নেই।’
জানতে চাইলে সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমি এলাকা পরিদর্শন করেছি। এলাকাটির অবস্থা সত্যিই ভয়াবহ। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে দলের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। এ সময় তিনি নোয়াখালীর ছয়টি সংসদীয় আসনের সবগুলোতেই বিএনপি প্রার্থী ঘোষণা করেছেন।
৬ মিনিট আগে
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ওভারব্রিজে উঠার চেষ্টাকালে বাসচাপায় অটোরিকশা চালকসহ ও এক যাত্রী নিহত হয়েছেন।মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উপজেলার দেওহাটা ওভারব্রিজে এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৯ মিনিট আগে
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শহিদুল আলমকে মনোনয়ন থেকে বাদ দেওয়ায় উত্তাল হয়ে উঠেছে সাতক্ষীরা-৩ (কালিগঞ্জ-আশাশুনি) আসন। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকাল থেকে নলতায় শুরু হয় অর্ধদিবস হরতাল ও সড়ক অবরোধ। রাস্তায় আগুন, বিক্ষোভ, স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে এলাকা।
২১ মিনিট আগে
পারিবারিক পুষ্টি বাগান করতে বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে প্রতিজন কৃষককে দেড় শতক জমিতে আবাদের জন্য বিনামূল্যে ফলদ গাছের চারা, সবজি বীজ ও সারসহ উপকরণ প্রদান করা হয়েছে।
৩২ মিনিট আগে