বিশ্ব অর্থনীতি ২০২৫ সালে প্রত্যাশার তুলনায় কিছুটা উন্নতি করতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থা (ওইসিডি)। তাদের সর্বশেষ ইকোনমিক আউটলুক ইন্টেরিম প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আগামী বছর বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ২ শতাংশে পৌঁছাতে পারে, যা চলতি বছরের জুনে দেওয়া পূর্বাভাস ২ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে বেশি। তবে ২০২৬ সালের প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস আগের মতোই ২ দশমিক ৯ শতাংশে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, চীনের রাজস্ব সহায়তা এবং সুদের হার হ্রাসের ফলে বিশ্ব অর্থনীতি এখনো স্থিতিশীল রয়েছে। এসব অস্থায়ী ইতিবাচক প্রভাব বিশ্ব প্রবৃদ্ধিকে সাময়িকভাবে ঠেকিয়ে রাখতে পারলেও, সামনে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি শুল্ক বৃদ্ধি এবং নীতিগত অনিশ্চয়তা বিশ্বজুড়ে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশের বিষয়ে কোনো উল্লেখ নেই, তবে বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রবাহ এবং বড় অর্থনীতিগুলোর অবস্থার কারণে বাংলাদেশও পরোক্ষভাবে এর প্রভাব পড়বে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বাজারে রপ্তানি, অভিবাসন ও প্রবাসী আয় বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায়, এসব অঞ্চলের প্রবৃদ্ধি ও বাণিজ্য নীতির পরিবর্তন বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলতে পারে।
ওইসিডি মঙ্গলবার তাদের সর্বশেষ ইন্টেরিম ইকোনমিক আউটলুকটি প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, ২০২৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধি হবে ১ দশমিক ৮ শতাংশ, যা জুনের ১ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে উন্নীত। ২০২৬ সালে প্রবৃদ্ধি কমে হবে ১ দশমিক ৫ শতাংশ, আগের পূর্বাভাসের সঙ্গে মিল রেখে।
২০২৫ সালে চীনের প্রবৃদ্ধি হবে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ, যা জুনে ৪ দশমিক ৭ শতাংশ ছিল। ২০২৬ সালে প্রবৃদ্ধি কমে হবে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ, আগের ৪ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে উন্নীত। ২০২৫ সালে ইউরো অঞ্চলের প্রবৃদ্ধি হবে ১ দশমিক ২ শতাংশ, আগের ১ শতাংশ থেকে উন্নীত। ২০২৬ সালে প্রবৃদ্ধি কমে হবে ১ শতাংশ, আগে ছিল ১ দশমিক ২ শতাংশ।
আউটলুকে তুরস্কের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালে প্রবৃদ্ধির হার সামান্য কমিয়ে ৩ দশমিক ২ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে (আগে এটি ছিল ৩ দশমিক ৩ শতাংশ)। তবে তুরস্কের অর্থনীতি স্থিতিশীলতার দিকে এগুচ্ছে বলে জানানো হয়। বলা হয়, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসায় দেশটির অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে।

