অর্থনৈতিক রিপোর্টার
দেশের অর্থনীতির সবচেয়ে বড় সংকট ছিল দ্রব্যমূল্যের চড়া দাম। প্রায় তিন বছরের বেশি সময় বাংলাদেশের উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে অর্থনীতি ছিল বেসামাল। তবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ মাস জুনে এসে মূল্যস্ফীতি কমে ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এটি গত ৩৩ মাস পর সবচেয়ে কম মূল্যস্ফীতি। এর আগে ২০২২ সালের অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৯১ শতাংশ।
সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বিবিএসের ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) তথ্য বলছে, জুনে মূল্যস্ফীতি কমে ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মে মাসেও মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশে ছিল। জুন মাসে মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশের অর্থ হলো ২০২৪ সালের জুনে যে পণ্য ১০০ টাকায় কিনতে হয়েছিল ২০২৫ সালের জুনে তা কিনতে হয়েছে ১০৮ টাকা ৪৮ পয়সায়।
এর আগে ২০২২ সালের অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৯১ শতাংশ। এরপর বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরেই ছিল। ৩৩ মাস পর মূল্যস্ফীতি কমে সাড়ে ৮ শতাংশের নিচে নামলো। তবে অর্থবছরের গড় মূল্যস্ফীতির হিসেবে ১৫ বছরের ব্যবধানে সবচেয়ে বেশি মূল্যস্ফীতি ছিল সদ্য শেষ হওয়া ২০২৪-২৫ অর্থবছরে। এ অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। এর আগে ২০১০-১১ অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৯২ শতাংশ।
জুন মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতিও নিয়ন্ত্রণে এসেছে। জুনে খাদ্য মূল্যস্ফীতি নেমে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৩৯ শতাংশে, মে মাসেও তা ৮ দশমিক শূন্য ৫৯ শতাংশ ছিল। এমন সময় বিবিএস খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমার কথা বলছে, যখন দেশে চাল ও মাছসহ বেশকিছু খাদ্যপণ্যের দাম বাড়তির দিকে। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতিও জুনে কমে ৯ দশমিক ৩৭ শতাংশে নেমেছে।
মূল্যস্ফীতি এক ধরনের করের মতো। ধরুন, আপনার প্রতি মাসে আয়ের পুরোটাই সংসার চালাতে খরচ হয়ে যায়। কিন্তু হঠাৎ জিনিসপত্রের দাম বাড়লে এবং সে অনুযায়ী আপনার আয় না বাড়লে আপনাকে ধারদেনা করে সংসার চালাতে হবে কিংবা খাবার, কাপড়চোপড়, যাতায়াতসহ বিভিন্ন খাতে কাটছাঁট করতে হবে। মূল্যস্ফীতির চেয়ে মজুরি বৃদ্ধি বা আয় বৃদ্ধি কম হলে সাধারণ মানুষের কষ্ট বাড়ে। প্রকৃত আয় কমে যায়।
মূল্যস্ফীতির সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না মজুরির বৃদ্ধির হার। বিবিএসের হিসাবে, গত জুন মাসে জাতীয় মজুরির হার হয়েছে ৮ দশমিক ১৮ শতাংশ; অন্যদিকে, মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এর মানে হলো, মজুরি যত বেড়েছে, তার চেয়ে বেশি বেড়েছে জিনিসপত্রের দাম। গত এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে জাতীয় মজুরির হার কিছুটা বেড়েছে। তবে মূল্যস্ফীতির কারণে সাধারণ মানুষের প্রকৃত আয় কমেছে।
মজুরিনির্ভর বিশাল জনগোষ্ঠীর ওপর মূল্যস্ফীতির চাপ বেশি পড়ে। গ্রাম–শহরনির্বিশেষে ১৪৫টি নিম্ন দক্ষতার পেশার মজুরির ওপর এই হিসাব করে থাকে বিবিএস।
দেশের অর্থনীতির সবচেয়ে বড় সংকট ছিল দ্রব্যমূল্যের চড়া দাম। প্রায় তিন বছরের বেশি সময় বাংলাদেশের উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে অর্থনীতি ছিল বেসামাল। তবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ মাস জুনে এসে মূল্যস্ফীতি কমে ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এটি গত ৩৩ মাস পর সবচেয়ে কম মূল্যস্ফীতি। এর আগে ২০২২ সালের অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৯১ শতাংশ।
সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বিবিএসের ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) তথ্য বলছে, জুনে মূল্যস্ফীতি কমে ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মে মাসেও মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশে ছিল। জুন মাসে মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশের অর্থ হলো ২০২৪ সালের জুনে যে পণ্য ১০০ টাকায় কিনতে হয়েছিল ২০২৫ সালের জুনে তা কিনতে হয়েছে ১০৮ টাকা ৪৮ পয়সায়।
এর আগে ২০২২ সালের অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৯১ শতাংশ। এরপর বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরেই ছিল। ৩৩ মাস পর মূল্যস্ফীতি কমে সাড়ে ৮ শতাংশের নিচে নামলো। তবে অর্থবছরের গড় মূল্যস্ফীতির হিসেবে ১৫ বছরের ব্যবধানে সবচেয়ে বেশি মূল্যস্ফীতি ছিল সদ্য শেষ হওয়া ২০২৪-২৫ অর্থবছরে। এ অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। এর আগে ২০১০-১১ অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৯২ শতাংশ।
জুন মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতিও নিয়ন্ত্রণে এসেছে। জুনে খাদ্য মূল্যস্ফীতি নেমে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৩৯ শতাংশে, মে মাসেও তা ৮ দশমিক শূন্য ৫৯ শতাংশ ছিল। এমন সময় বিবিএস খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমার কথা বলছে, যখন দেশে চাল ও মাছসহ বেশকিছু খাদ্যপণ্যের দাম বাড়তির দিকে। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতিও জুনে কমে ৯ দশমিক ৩৭ শতাংশে নেমেছে।
মূল্যস্ফীতি এক ধরনের করের মতো। ধরুন, আপনার প্রতি মাসে আয়ের পুরোটাই সংসার চালাতে খরচ হয়ে যায়। কিন্তু হঠাৎ জিনিসপত্রের দাম বাড়লে এবং সে অনুযায়ী আপনার আয় না বাড়লে আপনাকে ধারদেনা করে সংসার চালাতে হবে কিংবা খাবার, কাপড়চোপড়, যাতায়াতসহ বিভিন্ন খাতে কাটছাঁট করতে হবে। মূল্যস্ফীতির চেয়ে মজুরি বৃদ্ধি বা আয় বৃদ্ধি কম হলে সাধারণ মানুষের কষ্ট বাড়ে। প্রকৃত আয় কমে যায়।
মূল্যস্ফীতির সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না মজুরির বৃদ্ধির হার। বিবিএসের হিসাবে, গত জুন মাসে জাতীয় মজুরির হার হয়েছে ৮ দশমিক ১৮ শতাংশ; অন্যদিকে, মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এর মানে হলো, মজুরি যত বেড়েছে, তার চেয়ে বেশি বেড়েছে জিনিসপত্রের দাম। গত এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে জাতীয় মজুরির হার কিছুটা বেড়েছে। তবে মূল্যস্ফীতির কারণে সাধারণ মানুষের প্রকৃত আয় কমেছে।
মজুরিনির্ভর বিশাল জনগোষ্ঠীর ওপর মূল্যস্ফীতির চাপ বেশি পড়ে। গ্রাম–শহরনির্বিশেষে ১৪৫টি নিম্ন দক্ষতার পেশার মজুরির ওপর এই হিসাব করে থাকে বিবিএস।
দাবা বিশ্বকাপে বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিনিধিত্বকারী মনন রেজা নীড়ের বিশ্বজয়ের যাত্রার অংশীদার হতে পেরে গর্বিত বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি ছয়টি ব্যাংক থেকে প্রতি ডলার ১২১ টাকা ৮০ পয়সা দরে ৩৮ মিলিয়ন ডলার কিনেছে। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ব্যাংকগুলো থেকে মোট ২ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
২ ঘণ্টা আগেএই তদন্তের ফলে হোয়াইট হাউস যেকোনো আমদানি পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, এতে আবারও শুরু হতে পারে বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধ—যা কয়েকদিন আগেই কিছুটা প্রশমিত হয়েছিল।
২ ঘণ্টা আগেআজ, বুধবার, বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর ব্যবস্থাপনায় ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ উদ্যোগ কার্যক্রম সম্প্রসারণ ক্যাম্পেইন’ উপলক্ষ্যে চট্টগ্রামে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য রোডশো, সেমিনার এবং স্টল প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে