• facebook
  • fb_group
  • twitter
  • tiktok
  • whatsapp
  • pinterest
  • youtube
  • linkedin
  • instagram
  • google
বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
বাণিজ্য
সারা দেশ
বিশ্ব
খেলা
আইন-আদালত
ধর্ম ও ইসলাম
বিনোদন
ফিচার
আমার দেশ পরিবার
ইপেপার
আমার দেশযোগাযোগশর্তাবলি ও নীতিমালাগোপনীয়তা নীতিডিএমসিএ
facebookfb_grouptwittertiktokwhatsapppinterestyoutubelinkedininstagramgoogle
স্বত্ব: ©️ আমার দেশ | সম্পাদক ও প্রকাশক, মাহমুদুর রহমান 
মাহমুদুর রহমান কর্তৃক ঢাকা ট্রেড সেন্টার (৮ম ফ্লোর), ৯৯, কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫ থেকে প্রকাশিত এবং আমার দেশ পাবলিকেশন লিমিটেড প্রেস, ৪৪৬/সি ও ৪৪৬/ডি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে মুদ্রিত।
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্য বিভাগ: ঢাকা ট্রেড সেন্টার, ৯৯, কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।ফোন: ০২-৫৫০১২২৫০। ই-মেইল: info@dailyamardesh.comবার্তা: ফোন: ০৯৬৬৬-৭৪৭৪০০। ই-মেইল: news@dailyamardesh.comবিজ্ঞাপন: ফোন: +৮৮০-১৭১৫-০২৫৪৩৪ । ই-মেইল: ad@dailyamardesh.comসার্কুলেশন: ফোন: +৮৮০-০১৮১৯-৮৭৮৬৮৭ । ই-মেইল: circulation@dailyamardesh.com
ওয়েব মেইল
কনভার্টারআর্কাইভবিজ্ঞাপনসাইটম্যাপ
> বাণিজ্য

কৃষকের ঘরে উঠছে নতুন পেঁয়াজ, আমদানি হলে আর্থিক ক্ষতির শঙ্কা

সরদার আনিছ
প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ১০: ০৯
logo
কৃষকের ঘরে উঠছে নতুন পেঁয়াজ, আমদানি হলে আর্থিক ক্ষতির শঙ্কা

সরদার আনিছ

প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ১০: ০৯

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বাজদিয়া গ্রামের বাসিন্দা ইমরান হোসেন এবার আগাম জাতের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের চাষ করেছিলেন ২০ কাঠা জমিতে। বৃষ্টির কারণে নষ্ট হয়ে গেছে অর্ধেক ফসল। বাকি ১০ কাঠায় ফলন হয়েছে ২০ মণের মতো। নিজের ও স্বজনদের জন্য দুই মণ রেখে বাকি পেঁয়াজ সপ্তাহ দেড়েক আগেই ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে দিয়েছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহায়তায় চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া ও পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ইমরান হোসেনের মতো আরো অনেক কৃষক আগাম জাতের পেঁয়াজ চাষ করেছেন। ওইসব ক্ষেতের পেঁয়াজ এরই মধ্যে উঠতে শুরু করেছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এসব পেঁয়াজ বাজারে আসবে। এ অবস্থায় বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা।

নাশকতার ছক কষা হয় নওফেলের বাড়িতেনাশকতার ছক কষা হয় নওফেলের বাড়িতে

জীবননগর বাজদিয়া গ্রামের কৃষক আসাদ আলী আমার দেশকে বলেন, এবারো দেশে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হবে। আগামী সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে পুরোদমে নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করবে। ফলে এ সময়ে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করলে আমরা দাম পাব না। আমার মতো হাজার হাজার কৃষক পুঁজি হারিয়ে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বেন। তাই সরকারের প্রতি আহ্বান, যেন এ মুহূর্তে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি না দেওয়া হয়। তার মতো আহ্বান প্রায় সব পেঁয়াজচাষির।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (মনিটরিং ও বাস্তবায়ন) ড. জামাল উদ্দীন আমার দেশকে বলেন, এ মুহূর্তে দেশে পেঁয়াজের কোনো সংকট নেই। এখনো কৃষকের হাতে তিন লাখ টন পেঁয়াজ রয়েছে। বাজারেও সরবরাহ স্বাভাবিক আছে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ৮৭ হাজার টন এবং ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে আরো আড়াই লাখ টন পেঁয়াজ বাজারে আসবে। ফলে কোনো ধরনের সংকট হওয়ার কথা নয়। কিন্তু অসাধু সিন্ডিকেট চক্র কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে আমদানির পাঁয়তারা করছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তার মতে, আগাম জাতের পেঁয়াজ আসতে শুরু করায় এবং কৃষকের হাতের পেঁয়াজ বাজারে ছেড়ে দেওয়ায় এরই মধ্যে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। দু-তিনদিনের মধ্যে আরো কমে আসবে। ফলে এ মুহূর্তে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির কোনো প্রয়োজন নেই। অসাধু ব্যবসায়ীদের খপ্পরে পড়ে এ মুহূর্তে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হলে আমাদের কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। কৃষি মন্ত্রণালয়ও এমন মনোভাব পোষণ করে বলে জানান তিনি।

ড. জামাল উদ্দীন বলেন, বিগত ১৫ বছরে যারা বিভিন্নভাবে সিন্ডিকেট করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করত, তারা এখন সুবিধা করতে পারছে না। ফলে বাজার অস্থির করে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে ওই চক্রটি। তবে কারসাজি করে দাম বাড়ালে কৃষকরাই হাতের পেঁয়াজ ছেড়ে দিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারবেন বলে তিনি মনে করেন।

হাসিনার রায় ঘিরে ট্রাইব্যুনালে কড়া নিরাপত্তাহাসিনার রায় ঘিরে ট্রাইব্যুনালে কড়া নিরাপত্তা

কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, ইমপোর্ট পারমিশন (আইপি) দেওয়ার ক্ষমতা সম্পূর্ণভাবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হাতে। বাজার পরিস্থিতি, কৃষকের স্বার্থ ও উৎপাদন পর্যালোচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ বিভাগের অতিরিক্ত উপপরিচালক (আমদানি) বনি আমিন খান বলেন, পেঁয়াজ আমদানির বিষয় রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত। বাণিজ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয় অনুমতি না দিলে আইপি দেওয়া যায় না। পেঁয়াজ আমদানির জন্য দুই হাজার ৮০০-এর বেশি আবেদন পড়েছে।

গত রোববার বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, চলতি সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের দাম কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে না কমলে আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে দেশে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ। স্থানীয় উৎপাদন থেকেই চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ হচ্ছে বাজারে। তবে এখন মৌসুমের শেষে মজুত কমে আসায় বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। বছরজুড়ে স্থিতিশীল থাকলেও গত দেড় সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে দাম ৩০ টাকা বেড়ে ৭০ থেকে ৮০ টাকার পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা।

গত মঙ্গলবার বিকালে কারওয়ান বাজারের বিক্রেতা শাহীন মিয়া বলেন, সরবরাহ কমে যাওয়ায় বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। সপ্তাহ দুয়েক আগেও যে পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি; তা আজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। আমাদের আড়ত থেকেই কিনতে হচ্ছে ১০৩ থেকে ১০৭ টাকা দরে।

টিসিবির তথ্যে দেখা যায়, গত বছর এ সময়ে পেঁয়াজের দাম ছিল ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি। সে হিসেবে বর্তমানে গতবারের চেয়ে ২৫ শতাংশ কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।

আব্দুল কাদের নামে অপর ব্যবসায়ী আমার দেশকে বলেন, বাজারে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে দাম বাড়ানো হচ্ছে। সরবরাহ কমে দাম বাড়লে সাধারণত দুই থেকে চার টাকা বাড়ে; কিন্তু কদিনে কেজিতে ২০-৩০ টাকা বৃদ্ধির ঘটনা রহস্যজনক। তার মতে, ভারতে এখন পেঁয়াজের কেজি ৩০ টাকার মতো; ফলে কম দামে আমদানি করে ব্যবসায়ীরা লাভবান হতেই এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে।

চট্টগ্রামের আন্ডারওয়ার্ল্ড নিয়ন্ত্রণে প্রবাসী মাফিয়াচট্টগ্রামের আন্ডারওয়ার্ল্ড নিয়ন্ত্রণে প্রবাসী মাফিয়া

শ্যামবাজারের এক আড়তদার বলেন, দেশি পেঁয়াজের পর্যাপ্ত মজুত থাকার পরও আমদানিকারকরা ভারত থেকে কম দামে পেঁয়াজ আনার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তারাই সিন্ডিকেট করে দেশের বাজারে কৃত্রিমভাবে দাম বাড়িয়ে আমদানির সুযোগ তৈরির চেষ্টা করছেন। বছরের শেষ সময়ে এসে প্রতিবছরই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করে বাজার থেকে হাজার কোটি টাকা লুটে নেয় কারসাজিচক্র।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এসএম নাজের হোসাইন আমার দেশকে বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম বাড়ার পেছনে ব্যবসায়ীদের কারসাজি আছে। দেশে ভালো উৎপাদন হলেও কৃত্রিম সংকট তৈরি করে আমদানির পাঁয়তারা করা হচ্ছে। এ কাজটি তারা প্রতিবছরই করে থাকে। ফলে এ বিষয়ে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মাহমুদুর রহমান কর্তৃক প্রকাশিত এবং আল-ফালাহ প্রিন্টিং প্রেস, ৪২৩, এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭ থেকে এবং অস্থায়ীভাবে মিডিয়া প্রিন্টার্স লি. ৪৪৬/এইচ, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্য বিভাগ : ঢাকা ট্রেড সেন্টার, ৯৯, কাজী নজরুল ইসলাম এভিণিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫। পিএবিএক্স : ০২-৫৫০১২২৫০। ই-মেইল : info@dailyamardesh.com

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বাজদিয়া গ্রামের বাসিন্দা ইমরান হোসেন এবার আগাম জাতের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের চাষ করেছিলেন ২০ কাঠা জমিতে। বৃষ্টির কারণে নষ্ট হয়ে গেছে অর্ধেক ফসল। বাকি ১০ কাঠায় ফলন হয়েছে ২০ মণের মতো। নিজের ও স্বজনদের জন্য দুই মণ রেখে বাকি পেঁয়াজ সপ্তাহ দেড়েক আগেই ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে দিয়েছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহায়তায় চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া ও পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ইমরান হোসেনের মতো আরো অনেক কৃষক আগাম জাতের পেঁয়াজ চাষ করেছেন। ওইসব ক্ষেতের পেঁয়াজ এরই মধ্যে উঠতে শুরু করেছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এসব পেঁয়াজ বাজারে আসবে। এ অবস্থায় বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা।

বিজ্ঞাপন

নাশকতার ছক কষা হয় নওফেলের বাড়িতেনাশকতার ছক কষা হয় নওফেলের বাড়িতে

জীবননগর বাজদিয়া গ্রামের কৃষক আসাদ আলী আমার দেশকে বলেন, এবারো দেশে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হবে। আগামী সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে পুরোদমে নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করবে। ফলে এ সময়ে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করলে আমরা দাম পাব না। আমার মতো হাজার হাজার কৃষক পুঁজি হারিয়ে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বেন। তাই সরকারের প্রতি আহ্বান, যেন এ মুহূর্তে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি না দেওয়া হয়। তার মতো আহ্বান প্রায় সব পেঁয়াজচাষির।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (মনিটরিং ও বাস্তবায়ন) ড. জামাল উদ্দীন আমার দেশকে বলেন, এ মুহূর্তে দেশে পেঁয়াজের কোনো সংকট নেই। এখনো কৃষকের হাতে তিন লাখ টন পেঁয়াজ রয়েছে। বাজারেও সরবরাহ স্বাভাবিক আছে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ৮৭ হাজার টন এবং ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে আরো আড়াই লাখ টন পেঁয়াজ বাজারে আসবে। ফলে কোনো ধরনের সংকট হওয়ার কথা নয়। কিন্তু অসাধু সিন্ডিকেট চক্র কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে আমদানির পাঁয়তারা করছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তার মতে, আগাম জাতের পেঁয়াজ আসতে শুরু করায় এবং কৃষকের হাতের পেঁয়াজ বাজারে ছেড়ে দেওয়ায় এরই মধ্যে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। দু-তিনদিনের মধ্যে আরো কমে আসবে। ফলে এ মুহূর্তে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির কোনো প্রয়োজন নেই। অসাধু ব্যবসায়ীদের খপ্পরে পড়ে এ মুহূর্তে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হলে আমাদের কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। কৃষি মন্ত্রণালয়ও এমন মনোভাব পোষণ করে বলে জানান তিনি।

ড. জামাল উদ্দীন বলেন, বিগত ১৫ বছরে যারা বিভিন্নভাবে সিন্ডিকেট করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করত, তারা এখন সুবিধা করতে পারছে না। ফলে বাজার অস্থির করে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে ওই চক্রটি। তবে কারসাজি করে দাম বাড়ালে কৃষকরাই হাতের পেঁয়াজ ছেড়ে দিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারবেন বলে তিনি মনে করেন।

হাসিনার রায় ঘিরে ট্রাইব্যুনালে কড়া নিরাপত্তাহাসিনার রায় ঘিরে ট্রাইব্যুনালে কড়া নিরাপত্তা

কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, ইমপোর্ট পারমিশন (আইপি) দেওয়ার ক্ষমতা সম্পূর্ণভাবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হাতে। বাজার পরিস্থিতি, কৃষকের স্বার্থ ও উৎপাদন পর্যালোচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ বিভাগের অতিরিক্ত উপপরিচালক (আমদানি) বনি আমিন খান বলেন, পেঁয়াজ আমদানির বিষয় রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত। বাণিজ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয় অনুমতি না দিলে আইপি দেওয়া যায় না। পেঁয়াজ আমদানির জন্য দুই হাজার ৮০০-এর বেশি আবেদন পড়েছে।

গত রোববার বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, চলতি সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের দাম কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে না কমলে আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে দেশে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ। স্থানীয় উৎপাদন থেকেই চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ হচ্ছে বাজারে। তবে এখন মৌসুমের শেষে মজুত কমে আসায় বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। বছরজুড়ে স্থিতিশীল থাকলেও গত দেড় সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে দাম ৩০ টাকা বেড়ে ৭০ থেকে ৮০ টাকার পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা।

গত মঙ্গলবার বিকালে কারওয়ান বাজারের বিক্রেতা শাহীন মিয়া বলেন, সরবরাহ কমে যাওয়ায় বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। সপ্তাহ দুয়েক আগেও যে পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি; তা আজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। আমাদের আড়ত থেকেই কিনতে হচ্ছে ১০৩ থেকে ১০৭ টাকা দরে।

টিসিবির তথ্যে দেখা যায়, গত বছর এ সময়ে পেঁয়াজের দাম ছিল ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি। সে হিসেবে বর্তমানে গতবারের চেয়ে ২৫ শতাংশ কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।

আব্দুল কাদের নামে অপর ব্যবসায়ী আমার দেশকে বলেন, বাজারে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে দাম বাড়ানো হচ্ছে। সরবরাহ কমে দাম বাড়লে সাধারণত দুই থেকে চার টাকা বাড়ে; কিন্তু কদিনে কেজিতে ২০-৩০ টাকা বৃদ্ধির ঘটনা রহস্যজনক। তার মতে, ভারতে এখন পেঁয়াজের কেজি ৩০ টাকার মতো; ফলে কম দামে আমদানি করে ব্যবসায়ীরা লাভবান হতেই এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে।

চট্টগ্রামের আন্ডারওয়ার্ল্ড নিয়ন্ত্রণে প্রবাসী মাফিয়াচট্টগ্রামের আন্ডারওয়ার্ল্ড নিয়ন্ত্রণে প্রবাসী মাফিয়া

শ্যামবাজারের এক আড়তদার বলেন, দেশি পেঁয়াজের পর্যাপ্ত মজুত থাকার পরও আমদানিকারকরা ভারত থেকে কম দামে পেঁয়াজ আনার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তারাই সিন্ডিকেট করে দেশের বাজারে কৃত্রিমভাবে দাম বাড়িয়ে আমদানির সুযোগ তৈরির চেষ্টা করছেন। বছরের শেষ সময়ে এসে প্রতিবছরই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করে বাজার থেকে হাজার কোটি টাকা লুটে নেয় কারসাজিচক্র।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এসএম নাজের হোসাইন আমার দেশকে বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম বাড়ার পেছনে ব্যবসায়ীদের কারসাজি আছে। দেশে ভালো উৎপাদন হলেও কৃত্রিম সংকট তৈরি করে আমদানির পাঁয়তারা করা হচ্ছে। এ কাজটি তারা প্রতিবছরই করে থাকে। ফলে এ বিষয়ে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

চুয়াডাঙ্গাআমার দেশপেঁয়াজ
সর্বশেষ
১

গোপালগঞ্জে গণপূর্ত বিভাগ ও গ্রামীণ ব্যাংকে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ

২

নিরাপত্তা শঙ্কা হাসারাঙ্গারা, তবুও পাকিস্তান না ছাড়ার নির্দেশ বোর্ডের

৩

১২ ঘণ্টায় অন্তত সাতটি যানবাহনে আগুন

৪

দেড়শ পেরিয়েছে বাংলাদেশের লিড, রান ৪৪৭

৫

ঢাকাসহ আশপাশের জেলায় ১৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত

পোশাক খাতে দুরবস্থা, রপ্তানি আয়ে ভাটা

দেশে সামগ্রিক অর্থনীতির ধীরগতির মধ্যে কিছুটা আশাব্যঞ্জক ছিল রপ্তানি প্রবৃদ্ধি। কিন্তু ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এসে ভাটা পড়েছে রপ্তানি আয়ে। চলতি অর্থবছরের আগস্ট থেকে টানা তিন মাস রপ্তানি আয় কমেছে। সর্বশেষ অক্টোবর মাসে রপ্তানি আয় কমেছে ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) জানায়, সামগ্রিক আয় কমার

৩ ঘণ্টা আগে

রমজানে বাকিতে আমদানি করা যাবে যেসব পণ্য

সার্কুলারে বলা হয়েছে, আসন্ন রমজানে পণ্যমূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা এবং সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বাকিতে এসব পণ্য আমদানির সুযোগ দেওয়া হলো। এর ফলে বিদেশি সরবরাহকারীর কাছে ওই সময় পর্যন্ত বাকিতে পণ্য আমদানি করা যাবে। এ বিষয়ে পূর্বের অন্যান্য নির্দেশনা বহাল থাকবে।

১৪ ঘণ্টা আগে

মার্কিন শাটডাউন অবসানের ইঙ্গিতে চাঙ্গা এশিয়ার বাজার

ব্রিটিশ গণমাধ্যমটি জানায়, জাপান বাদে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের শেয়ারগুলোর সূচক এমএসসিআই ০ দশমিক চার শতাংশ বেড়েছে। এমন সময়ে বাড়ছে যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ সরকারি সংস্থাগুলোর অর্থায়ন পুনর্বহাল করার বিষয়ে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে। অক্টোবরে শুরু হওয়া এই শাটডাউন দেশটির ইতিহাসে দীর্ঘতম।

১৬ ঘণ্টা আগে

ব্র্যাক ব্যাংকের দ্বিতীয় ‘এমপাওয়ারঅ্যাবিলিটি ২০২৫’, অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার

ডিসঅ্যাবিলিটি-ইনক্লুসিভ (প্রতিবন্ধিতা অন্তর্ভুক্তিমূলক) বাংলাদেশ রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিজনেস অ্যান্ড ডিসঅ্যাবিলিটি নেটওয়ার্ক (বিবিডিএন)-এর সহযোগিতায় ‘এমপাওয়ারঅ্যাবিলিটি ২০২৫: পাওয়ারিং এভরি অ্যাবিলিটি’ সম্মেলন আয়োজন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।

১৭ ঘণ্টা আগে
কৃষকের ঘরে উঠছে নতুন পেঁয়াজ, আমদানি হলে আর্থিক ক্ষতির শঙ্কা

কৃষকের ঘরে উঠছে নতুন পেঁয়াজ, আমদানি হলে আর্থিক ক্ষতির শঙ্কা

পোশাক খাতে দুরবস্থা, রপ্তানি আয়ে ভাটা

পোশাক খাতে দুরবস্থা, রপ্তানি আয়ে ভাটা

রমজানে বাকিতে আমদানি করা যাবে যেসব পণ্য

রমজানে বাকিতে আমদানি করা যাবে যেসব পণ্য

মার্কিন শাটডাউন অবসানের ইঙ্গিতে চাঙ্গা এশিয়ার বাজার

মার্কিন শাটডাউন অবসানের ইঙ্গিতে চাঙ্গা এশিয়ার বাজার