সবচেয়ে বেশি ঝাঁজ ছড়ানো মসলাজাতীয় পণ্য কাঁচামরিচের দাম কমে অর্ধেকে নেমেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ১৬০ থেকে ২০০ টাকার কাঁচামরিচ গতকাল বৃহস্পতিবার বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। কেজিতে আরো পাঁচ টাকা কমে পেঁয়াজ ৯৫ থেকে ১০৫ টাকা এবং গ্রীষ্মকালীন পাতাযুক্ত নতুন পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এদিকে সবজির বাজার এখনো চড়া। ক্রেতারা বলছেন, শীতের সবজির সরবরাহ বেড়ে দাম কিছুটা কমলেও এখনো বেশ বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার এ সময়ে এখনো দাম অনেক বেশি।
বিক্রেতারা বলছেন, সবজির সরবরাহ বাড়তে শুরু করেছে, কয়েক দিনের মধ্যে দাম আরো কমে আসবে। এছাড়া চাল-ডাল, তেল, মাছ-মুরগি ও ডিমসহ অন্য পণ্য আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াবাজার ও কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বেশির ভাগ সবজি চড়া দামেই বিক্রি হয়। কোনো কোনো সবজির দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছিল।
তবে গত দুই-তিন দিন থেকে সরবরাহ বেড়ে দাম কিছুটা কমে এসেছে। কয়েক দিনের মধ্যে দাম আরো কমতে পারে।
আজ শুক্রবার কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেশির ভাগ সবজির দাম কমলেও টমেটো, শিম ও বেগুন এখনো বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। শিম বিক্রি হয় ১০০ থেকে ১২০ টাকায়, করলা ৯০ থেকে ১০০ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ১২০ টাকা, টমেটো ১০০ থেকে ১৪০ টাকায়।
তবে আগের সপ্তাহের তুলনায় দাম কমে ছোট আকারের একটি ফুল ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকায়। গত সপ্তাহের চেয়ে অন্তত পাঁচ থেকে ১০ টাকা কমে বিক্রি হতে দেখা গেছে। কেজিতে ১০ টাকা কমে মুলা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। ৫০ টাকার লাউ গতকাল বিক্রি হয়েছে ৩০-৪০ টাকায়। এছাড়া বরবটি ও কাঁকরোলের কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়। ঢ্যাঁড়শ ও পটলের কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা। পুরোনো আলু কিছুটা বেড়ে ২৫ টাকায় বিক্রি হলেও নতুন আলুর দাম আকাশছোঁয়া। প্রতি কেজি নতুন আলু ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
সবজি কিছুটা বাড়তি দামে বিক্রি হলেও মাছ-মাংসের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। ডিম ও মুরগির বাজারেও স্বস্তি। গত সপ্তাহের মতো ফার্মের প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। যদিও পাড়া-মহল্লার দোকানে তা ১২৫-১৩০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
মুরগির বাজার গত সপ্তাহের মতো স্থিতিশীল। প্রতি কেজি ব্রয়লার ১৫৫ থেকে ১৭০ এবং সোনালি জাতের মুরগির কেজি ২৫০ থেকে ২৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা, খাসির মাংস ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ২৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
কিছুদিন ধরে ভোজ্য তেলের দাম স্থিতিশীল থাকলেও গতকাল খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধিরা দোকানে দোকানে গিয়ে তাদের জানিয়েছেন, কয়েক দিনের মধ্যে সয়াবিন তেল লিটারে পাঁচ-ছয় টাকা বাড়তে পারে। তবে সরবরাহে কোনো সংকট নেই বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।


অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস কমিশন গঠনের দাবি সরকারি কর্মকর্তাদের