খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানিতে
বিশেষ প্রতিনিধি
দেশীয় ইলেকট্রনিক্স উৎপাদন শিল্পে আশঙ্কার কালো মেঘ জমেছে সম্প্রতি স্থানীয় পর্যায়ে তৈরিকৃত ফ্রিজ ও এসির খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে। দীর্ঘ এক দশক ধরে এই খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ঘটেছে। বিকাশ ঘটেছে ইলেকট্রনিক্স পণ্য ও আনুষঙ্গিক খুচরা যন্ত্রাংশ তৈরির পূর্ণাঙ্গ উৎপাদনমুখী শিল্পের। সরকারের নতুন শুল্ক নীতিমালা এখন দেশীয় এই শিল্পখাতকে অস্তিত্ব সংকটে ফেলবে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
দেশে কয়েক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে গড়ে উঠেছে ছোট বড় রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজার ও এয়ার কন্ডিশনার কারখানা। এসব কারখানায় কাজ করছে দক্ষ কয়েক হাজার শ্রমিক। ওয়ালটন, মিনিস্টার, যমুনা ইলেকট্রনিক্সসহ একাধিক দেশীয় প্রতিষ্ঠান এখন পুরোপুরি স্থানীয় ভাবে ফ্রিজ ও এসি তৈরি করে । রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজার ও এসির খুচরা যন্ত্রাংশের সবই দেশে তৈরি হচ্ছে বহু বছর ধরে । নিজস্ব কারখানা গড়ে তুলে ফ্রিজ, এসি উৎপাদন ও রপ্তানিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো । ফলে এই খাত স্বনির্ভরতা অর্জনের পথে অনেকদূর এগিয়েছে।
তবে গত ২৪ জুন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক জারিকৃত এক সংশোধনী এস.আর.ও নং-২৭৪-আইন/২০২৫/৩১৭-মুসক অনুযায়ী দেশীয় ফ্রিজ ও এসি উৎপাদন শিল্পে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপকরণ ও খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। এসবের মধ্যে বেশ কিছু খুচরা যন্ত্রাংশ রয়েছে যেগুলো স্থানীয় ফ্রিজ ও এসি উৎপাদন প্রতিষ্ঠানগুলো এখন দেশেই তৈরি করছে। সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করায় ওইসব খুচরা যন্ত্রাংশ এখন অল্প খরচে দেশে আমদানি করা সম্ভব হচ্ছে, যা দেশীয় প্রস্তুতকারীদের জন্য একটি বড় ধাক্কা।
শিল্প সংশ্লিষ্টদের দাবি, এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশীয় শিল্পের জন্য একটি অস্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা তৈরি করবে। এতে স্থানীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে, অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে এবং হাজারো শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়তে পারেন।
একজন শিল্প উদ্যোক্তা বলেন, “আমরা কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে স্থানীয় উৎপাদন অবকাঠামো গড়ে তুলেছি। হঠাৎ করে শুল্ক প্রত্যাহার করা হলে তা বিনিয়োগকারীদের জন্য নিরুৎসাহজনক বার্তা দেয়। এতে দেশে শিল্পায়নের গতিও ব্যাহত হবে।”
শিল্প মালিকরা বলছেন, এই সিদ্ধান্তে আমদানিনির্ভরতা বাড়াবে। এতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ বাড়বে। এছাড়াও ভবিষ্যতে এ খাতে উৎপাদনমুখী শিল্পের পরিবর্তে সংযোজন শিল্প বিস্তার লাভ করবে।
এ অবস্থায় দেশীয় শিল্প রক্ষায় জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো। তারা অর্থ মন্ত্রণালয় ও এনবিআরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে শিল্পবান্ধব ও টেকসই নীতি গ্রহণ করা হয়। নচেৎ একটি সফল দেশীয় শিল্প খাত ধ্বংসের মুখে পড়বে, যা দেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
দেশীয় ইলেকট্রনিক্স উৎপাদন শিল্পে আশঙ্কার কালো মেঘ জমেছে সম্প্রতি স্থানীয় পর্যায়ে তৈরিকৃত ফ্রিজ ও এসির খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে। দীর্ঘ এক দশক ধরে এই খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ঘটেছে। বিকাশ ঘটেছে ইলেকট্রনিক্স পণ্য ও আনুষঙ্গিক খুচরা যন্ত্রাংশ তৈরির পূর্ণাঙ্গ উৎপাদনমুখী শিল্পের। সরকারের নতুন শুল্ক নীতিমালা এখন দেশীয় এই শিল্পখাতকে অস্তিত্ব সংকটে ফেলবে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
দেশে কয়েক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে গড়ে উঠেছে ছোট বড় রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজার ও এয়ার কন্ডিশনার কারখানা। এসব কারখানায় কাজ করছে দক্ষ কয়েক হাজার শ্রমিক। ওয়ালটন, মিনিস্টার, যমুনা ইলেকট্রনিক্সসহ একাধিক দেশীয় প্রতিষ্ঠান এখন পুরোপুরি স্থানীয় ভাবে ফ্রিজ ও এসি তৈরি করে । রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজার ও এসির খুচরা যন্ত্রাংশের সবই দেশে তৈরি হচ্ছে বহু বছর ধরে । নিজস্ব কারখানা গড়ে তুলে ফ্রিজ, এসি উৎপাদন ও রপ্তানিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো । ফলে এই খাত স্বনির্ভরতা অর্জনের পথে অনেকদূর এগিয়েছে।
তবে গত ২৪ জুন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক জারিকৃত এক সংশোধনী এস.আর.ও নং-২৭৪-আইন/২০২৫/৩১৭-মুসক অনুযায়ী দেশীয় ফ্রিজ ও এসি উৎপাদন শিল্পে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপকরণ ও খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। এসবের মধ্যে বেশ কিছু খুচরা যন্ত্রাংশ রয়েছে যেগুলো স্থানীয় ফ্রিজ ও এসি উৎপাদন প্রতিষ্ঠানগুলো এখন দেশেই তৈরি করছে। সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করায় ওইসব খুচরা যন্ত্রাংশ এখন অল্প খরচে দেশে আমদানি করা সম্ভব হচ্ছে, যা দেশীয় প্রস্তুতকারীদের জন্য একটি বড় ধাক্কা।
শিল্প সংশ্লিষ্টদের দাবি, এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশীয় শিল্পের জন্য একটি অস্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা তৈরি করবে। এতে স্থানীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে, অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে এবং হাজারো শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়তে পারেন।
একজন শিল্প উদ্যোক্তা বলেন, “আমরা কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে স্থানীয় উৎপাদন অবকাঠামো গড়ে তুলেছি। হঠাৎ করে শুল্ক প্রত্যাহার করা হলে তা বিনিয়োগকারীদের জন্য নিরুৎসাহজনক বার্তা দেয়। এতে দেশে শিল্পায়নের গতিও ব্যাহত হবে।”
শিল্প মালিকরা বলছেন, এই সিদ্ধান্তে আমদানিনির্ভরতা বাড়াবে। এতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ বাড়বে। এছাড়াও ভবিষ্যতে এ খাতে উৎপাদনমুখী শিল্পের পরিবর্তে সংযোজন শিল্প বিস্তার লাভ করবে।
এ অবস্থায় দেশীয় শিল্প রক্ষায় জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো। তারা অর্থ মন্ত্রণালয় ও এনবিআরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে শিল্পবান্ধব ও টেকসই নীতি গ্রহণ করা হয়। নচেৎ একটি সফল দেশীয় শিল্প খাত ধ্বংসের মুখে পড়বে, যা দেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
রাজনৈতিক মানসিকতার গুণগত পরিবর্তন না হলে ব্যাংকিং খাতের কোনো সংস্কারই কাজে আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, আমরা অনেক উদ্যোগ হাতে নিয়েছি।
৫ ঘণ্টা আগেপোশাকখাতে সুষ্ঠু আইন-শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীল শ্রম পরিস্থিতি বজায় রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) আইবিসি বহির্ভূত শ্রমিক ফেডারেশনগুলোর সহযোগিতা চেয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেঅর্থনীতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ধারায় ফিরছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৪ দশমিক ৮৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আগের প্রান্তিকে তা ৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ ছিল।
৭ ঘণ্টা আগেবিবিএসের ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) তথ্য বলছে, জুনে মূল্যস্ফীতি কমে ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মে মাসেও মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশে ছিল। জুন মাসে মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশের অর্থ হলো ২০২৪ সালের জুনে যে পণ্য ১০০ টাকায় কিনতে হয়েছিল ২০২৫ সালের জুনে তা কিনতে হয়েছে ১০৮ টাকা ৪৮ পয়সায়।
৮ ঘণ্টা আগে