বর্তমান সরকারের উদ্যোগে ৪৮ হাজার গার্মেন্টস শ্রমিক ও নেতার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহার শ্রমিক অধিকার সুরক্ষায় এটি একটি মাইলফলক বলে মন্তব্য করেছেন ক্লিন ক্লথস ক্যাম্পেইনের (সিসিসি) নেতারা।
বুধবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ক্লিন ক্লথস ক্যাম্পেইন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা এ দাবি করেন।
এ সময় নেতারা এটিকে বাংলাদেশের শ্রম আন্দোলনের ইতিহাসে একটি অন্যতম বৃহত্তম গণমামলা প্রত্যাহার আখ্যা দেন। একই সঙ্গে এটি বৈধ আন্দোলনকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করার বহু বছর ধরে চলমান প্রবণতার একটি গুরুত্বপূর্ণ সংশোধন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ক্লিন ক্লথস ক্যাম্পেইন বাংলাদেশ কোয়ালিশনের সমন্বয়কারী রাশেদুল আলম রাজু।
উপস্থিত ছিলেন জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিন, বাংলাদেশ বিপ্লবী গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি সালাউদ্দিন স্বপন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বাবুল আক্তার, একতা গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান প্রমুখ।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, ক্লিন ক্লথস ক্যাম্পেইন (সিসিসি) হলো বিশ্বব্যাপী পোশাক ও ক্রীড়া পোশাক শিল্পে কর্মপরিবেশ উন্নত করা এবং শ্রমিকদের ক্ষমতায়নের জন্য নিবেদিত একটি নেটওয়ার্ক। বর্তমানে ক্লিন ক্লথস ক্যাম্পেইন ৪৫ টিরও বেশি দেশে কর্মরত ২২০টিরও বেশি সংস্থার একটি বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্ক। ক্লিন ক্লথস ক্যাম্পেইন (সিসিসি) শিল্পে দীর্ঘমেয়াদি পরিবর্তনের জন্য জোর দেওয়ার সাথে সাথে ব্র্যান্ডগুলোকে তাদের অপব্যবহার এবং শোষণের জন্য জবাবদিহি করায়।
লিখিত বক্তব্যে আরো জানানো হয়, ২০২৩ সালের মে মাসে বাংলাদেশে ক্লিন ক্লথস ক্যাম্পেইনের (সিসিসি) সহযোগী প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য শ্রমিক সংগঠনগুলো তৈরি পোশাক (আরএমজি) সেক্টরের শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মাসিক মজুরি ২৩ হাজার টাকা নির্ধারণের আহ্বান জানিয়ে একটি ব্যাপক প্রচারণা এবং অ্যাডভোকেসি উদ্যোগ শুরু করে। তখন থেকে সিসিসির সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্বব্যাপী সরকার, ব্র্যান্ড ও ভোক্তাদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সমর্থন একত্রিত করার জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায় ধারাবাহিকভাবে নিয়োজিত রয়েছে।


শ্রমিকদের অযৌক্তিক দাবিতে পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা