অর্থনৈতিক রিপোর্টার
আ.লীগ সরকারের আমলেও আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছিল। ফলে শেখ হাসিনার আমলে দেশ থেকে প্রতি বছর ১৬ বিলিয়ন ডলার করে পাচার হওয়ার তথ্য উঠে এসেছে অন্তর্বর্তী সরকারের শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির রিপোর্টে।
গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা পালানোর পর সক্রিয় হয়ে ওঠে সংস্থাটি। আগের বিএফআইইউ প্রধান মাসুদ বিশ্বাস পদত্যাগ করার পর ডেপুটি হেড একেএম এহসানের নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন অনুসন্ধান শুরু হয়।
তদন্তে ধীরগতি আনতে এখন আবার তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। শেখ হাসিনা পরিবার এবং ১০টি ব্যবসায়ী গ্রুপের জালিয়াতি তদন্ত আটকাতে নানা তৎপরতা শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।
সরকার পরিবর্তনের পর থেকে বিএফআইইউর উপপ্রধান একেএম এহসানের নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বড় গ্রুপগুলোর পাচারের অর্থ ফেরত আনতে বিভিন্ন দেশে চিঠি দেওয়া হয়েছে। গত বছরের আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩৬৬টি ঘটনায় বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা জব্দ করা হয়েছে।
এর মধ্যে গত ৯ জানুয়ারি বিএফআইইউর প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বিএফআইইউর ডেপুটি হিসেবে কাজ করা এএফএম শাহিনুল ইসলামকে। বিভিন্ন কারণে তিনি বিতর্কিত।
আবার তিনি বিগত সরকারের সময়ে নিয়মিত অবসরে ছিলেন। তিনি নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে বিভিন্নভাবে তদন্ত দীর্ঘায়িত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
একই সঙ্গে একেএম এহসানকে সরিয়ে নতুন একজনকে ডেপুটি হেড নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নিচের পর্যায়েও যারা এত দিন সক্রিয় ছিল নানাভাবে তাদের কোণঠাসা করা হচ্ছে। অনেককে অন্য বিভাগে বদলি করা হচ্ছে। এ নিয়ে অভ্যন্তরে আতঙ্ক চলছে।
বিএফআইইউর কর্মকর্তারা জানান, নতুন হেড যোগদান পর থেকেই কার্যক্রম থেমে গেছে। তিনি যোগদানের পর সব কর্মকর্তাকে নিয়ে একটি বৈঠক করেছেন। সেখানে জানিয়ে দিয়েছেন, কোনো সংস্থা না চাইলে নিজ থেকে বিএফআইইউ আর কোনো কাজ করবে না।
এ ছাড়া চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে নানাভাবে গড়িমসি করছেন। এ বিষয়ে জানতে মানবসম্পদ বিভাগের দায়িত্বে থাকা ডেপুটি গভর্নর জাকির হোসেন চৌধুরী আমার দেশকে বলেন, এটা অফিসের প্রয়োজনে করা হয়েছে।
আর যেসব গ্রুপ নিয়ে কাজ চলমান তা চলবে। অন্য কোনো কারণে তাকে দায়িত্ব থেকে সরানো হয়নি। এটা রুটিন ওয়ার্ক। আর তার সময়ও বেশি নেই। তাই সরানো হয়েছে। কর্মকর্তারা জানান, এটা খোঁড়া যুক্তি ছাড়া কিছুই না। বরং চাকরির মেয়াদ শেষ দিকে থাকলে বরং যে যেখানে আছেন সেখান থেকে সরানো হয় না।
উদাহরণ হিসেবে বলেন, নির্বাহী পরিচালক সাইফুল ইসলামের চাকরি আছে মাত্র দুই মাস। তার দায়িত্বে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। এ ছাড়া মেজবাউল হক রিজার্ভ চুরিতে জড়িত থাকার দায়ে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিলেও তার দায়িত্ব অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
তারা আরো বলেন, নতুন করে যাকে উপপ্রধান নিয়োগ করা হয়েছে তার বিএফআইইউতে কাজের কোনো অভিজ্ঞতা নেই। যেখানে সদ্য বিদায় ডেপুটি হেডের আট বছর অভিজ্ঞতা ছিল। এসব কেন কার স্বার্থে করা হচ্ছে তারা বোধগম্য নন।
এদিকে মাসুদ বিশ্বাসের সহযোগী হিসেবে যারা ছিলেন তাদের বিএফআইইউতে বহাল করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সূত্র জানায়, গত ২৮ নভেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এইচআরডির দায়িত্ব পান বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. জাকির হোসেন চৌধুরী।
এরপর ৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক ট্রেনিং একাডেমি (বিবিটিএ) থেকে বিএফআইইউতে বহাল করা হয় যুগ্ম পরিচালক মো. রোকন-উজ-জামানকে। যিনি মাসুদ বিশ্বাসের সহযোগী হিসেবে পরিচিত। এরই মধ্যে বিএফআইইউ মাসুদ বিশ্বাসকে নিয়ে কাজ শুরু করেছে।
তার অন্যতম সহযোগী রোকন-উজ-জামানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং বিএফআইইউতে তাকে পদায়ন করা হয়। এক্ষেত্রে সংস্থাটির দুজন শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স কাউন্সিলের পক্ষ থেকে না বলা হলেও তাকে পদায়ন করা হয়। গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মাসুদ বিশ্বাসের সহযোগীদের আবারও বিএফআইইউতে পুনর্বহাল করা হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাকির হোসেন চৌধুরী বলেন, এটা ঠিক নয়।
আ.লীগ সরকারের আমলেও আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছিল। ফলে শেখ হাসিনার আমলে দেশ থেকে প্রতি বছর ১৬ বিলিয়ন ডলার করে পাচার হওয়ার তথ্য উঠে এসেছে অন্তর্বর্তী সরকারের শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির রিপোর্টে।
গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা পালানোর পর সক্রিয় হয়ে ওঠে সংস্থাটি। আগের বিএফআইইউ প্রধান মাসুদ বিশ্বাস পদত্যাগ করার পর ডেপুটি হেড একেএম এহসানের নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন অনুসন্ধান শুরু হয়।
তদন্তে ধীরগতি আনতে এখন আবার তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। শেখ হাসিনা পরিবার এবং ১০টি ব্যবসায়ী গ্রুপের জালিয়াতি তদন্ত আটকাতে নানা তৎপরতা শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।
সরকার পরিবর্তনের পর থেকে বিএফআইইউর উপপ্রধান একেএম এহসানের নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বড় গ্রুপগুলোর পাচারের অর্থ ফেরত আনতে বিভিন্ন দেশে চিঠি দেওয়া হয়েছে। গত বছরের আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩৬৬টি ঘটনায় বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা জব্দ করা হয়েছে।
এর মধ্যে গত ৯ জানুয়ারি বিএফআইইউর প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বিএফআইইউর ডেপুটি হিসেবে কাজ করা এএফএম শাহিনুল ইসলামকে। বিভিন্ন কারণে তিনি বিতর্কিত।
আবার তিনি বিগত সরকারের সময়ে নিয়মিত অবসরে ছিলেন। তিনি নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে বিভিন্নভাবে তদন্ত দীর্ঘায়িত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
একই সঙ্গে একেএম এহসানকে সরিয়ে নতুন একজনকে ডেপুটি হেড নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নিচের পর্যায়েও যারা এত দিন সক্রিয় ছিল নানাভাবে তাদের কোণঠাসা করা হচ্ছে। অনেককে অন্য বিভাগে বদলি করা হচ্ছে। এ নিয়ে অভ্যন্তরে আতঙ্ক চলছে।
বিএফআইইউর কর্মকর্তারা জানান, নতুন হেড যোগদান পর থেকেই কার্যক্রম থেমে গেছে। তিনি যোগদানের পর সব কর্মকর্তাকে নিয়ে একটি বৈঠক করেছেন। সেখানে জানিয়ে দিয়েছেন, কোনো সংস্থা না চাইলে নিজ থেকে বিএফআইইউ আর কোনো কাজ করবে না।
এ ছাড়া চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে নানাভাবে গড়িমসি করছেন। এ বিষয়ে জানতে মানবসম্পদ বিভাগের দায়িত্বে থাকা ডেপুটি গভর্নর জাকির হোসেন চৌধুরী আমার দেশকে বলেন, এটা অফিসের প্রয়োজনে করা হয়েছে।
আর যেসব গ্রুপ নিয়ে কাজ চলমান তা চলবে। অন্য কোনো কারণে তাকে দায়িত্ব থেকে সরানো হয়নি। এটা রুটিন ওয়ার্ক। আর তার সময়ও বেশি নেই। তাই সরানো হয়েছে। কর্মকর্তারা জানান, এটা খোঁড়া যুক্তি ছাড়া কিছুই না। বরং চাকরির মেয়াদ শেষ দিকে থাকলে বরং যে যেখানে আছেন সেখান থেকে সরানো হয় না।
উদাহরণ হিসেবে বলেন, নির্বাহী পরিচালক সাইফুল ইসলামের চাকরি আছে মাত্র দুই মাস। তার দায়িত্বে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। এ ছাড়া মেজবাউল হক রিজার্ভ চুরিতে জড়িত থাকার দায়ে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিলেও তার দায়িত্ব অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
তারা আরো বলেন, নতুন করে যাকে উপপ্রধান নিয়োগ করা হয়েছে তার বিএফআইইউতে কাজের কোনো অভিজ্ঞতা নেই। যেখানে সদ্য বিদায় ডেপুটি হেডের আট বছর অভিজ্ঞতা ছিল। এসব কেন কার স্বার্থে করা হচ্ছে তারা বোধগম্য নন।
এদিকে মাসুদ বিশ্বাসের সহযোগী হিসেবে যারা ছিলেন তাদের বিএফআইইউতে বহাল করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সূত্র জানায়, গত ২৮ নভেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এইচআরডির দায়িত্ব পান বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. জাকির হোসেন চৌধুরী।
এরপর ৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক ট্রেনিং একাডেমি (বিবিটিএ) থেকে বিএফআইইউতে বহাল করা হয় যুগ্ম পরিচালক মো. রোকন-উজ-জামানকে। যিনি মাসুদ বিশ্বাসের সহযোগী হিসেবে পরিচিত। এরই মধ্যে বিএফআইইউ মাসুদ বিশ্বাসকে নিয়ে কাজ শুরু করেছে।
তার অন্যতম সহযোগী রোকন-উজ-জামানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং বিএফআইইউতে তাকে পদায়ন করা হয়। এক্ষেত্রে সংস্থাটির দুজন শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স কাউন্সিলের পক্ষ থেকে না বলা হলেও তাকে পদায়ন করা হয়। গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মাসুদ বিশ্বাসের সহযোগীদের আবারও বিএফআইইউতে পুনর্বহাল করা হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাকির হোসেন চৌধুরী বলেন, এটা ঠিক নয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী বর্তমান রিজার্ভের পরিমাণ ২৭ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার।
১ ঘণ্টা আগেফের বড় ধরনের তারল্য সংকটে পড়েছে দেশের শেয়ারবাজার। বুধবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হয়েছে মাত্র ৩৫৫ কোটি টাকা, যা গত চার মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে গত ২৩ জুন ডিএসইতে সর্বনিম্ন ২৭৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল।
২ ঘণ্টা আগেদাবা বিশ্বকাপে বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিনিধিত্বকারী মনন রেজা নীড়ের বিশ্বজয়ের যাত্রার অংশীদার হতে পেরে গর্বিত বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ।
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি ছয়টি ব্যাংক থেকে প্রতি ডলার ১২১ টাকা ৮০ পয়সা দরে ৩৮ মিলিয়ন ডলার কিনেছে। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ব্যাংকগুলো থেকে মোট ২ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
৪ ঘণ্টা আগে