বেরিয়ে আসছে আসল চিত্র
স্টাফ রিপোর্টার
দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ আরও বেড়েছে। চলতি বছরের মার্চ শেষে এটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকায়। গত বছরের ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল তিন লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। কেবল জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকেই বেড়েছে ৭৪ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের লুকানো খেলাপি ঋণের আসল চিত্র সামনে আসায় খেলাপি বেড়েছে। রোববার প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কয়েকটি ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে কয়েকটি গ্রুপ ঋণের নামে অর্থ বের করে নিয়েছে। ছাত্র-জনতার বিপ্লবে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর তা এখন খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হতে শুরু করেছে। মূলত সমালোচিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণমুক্ত হওয়া ব্যাংকগুলো ঋণের প্রকৃত চিত্র দেখাতে শুরু করেছে।
এ ছাড়া বেক্সিমকো, বসুন্ধরা, ওরিয়ন, সিকদার গ্রুপ ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর নেওয়া ঋণও এখন খেলাপির খাতায়। গত সরকারের আমলে ঋণ শোধ না করেও তাদের নিয়মিত দেখানোর সুযোগ ছিল। তবে বর্তমান সরকার সেই সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে ব্যাংক থেকে বিতরণ করা ঋণের ২৪ দশমিক ১৩ শতাংশই বর্তমানে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে, ডিসেম্বরে যা ছিল ২০ দশমিক ২০ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের মার্চ শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ১ লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা, এটি ওই সময় পর্যন্ত বিতরণ করা মোট ঋণের ১১ দশমিক ১১ শতাংশ। সেই তুলনায় এক বছরে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৪০ কোটি টাকা। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত বিতরণ করা মোট ঋণ দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৪১ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা। তিন মাস আগে তা ছিল ১৭ লাখ ১১ হাজার ৪০২ কোটি টাকা।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকে খেলাপি ঋণের হার সবচেয়ে বেশি। মার্চ শেষে এ খাতের ব্যাংকের ঋণ স্থিতি ছিল ৩ লাখ ১৯ হাজার ৭০৮ কোটি টাকা, এর মধ্যে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা খেলাপি। বেসরকারি ব্যাংকের এই হার ২০ দশমিক ১৬ শতাংশ। এই ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা ঋণ ১৩ লাখ ১০ হাজার ৩৮৪ কোটি টাকা, যার মধ্যে ২ লাখ ৬৪ হাজার ১৯৫ কোটি টাকা খেলাপি।
এ ছাড়া বিদেশি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৩ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ। আর বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপি হয়েছে ৬ হাজার ৪৯৪ কোটি টাকা বা ১৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেয়াদি ঋণের মেয়াদোত্তীর্ণের সময় পুনর্নির্ধারণ; বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন বিভাগ বড় ঋণ বিরূপমানে শ্রেণিকৃত করা; গ্রাহকের চলতি ঋণ নবায়ন না হওয়া; পুনঃতফসিল ঋণের কিস্তি পরিশোধিত না হওয়া এবং বিদ্যমান খেলাপি ঋণ হিসাবের বিপরীতে সুদারোপের কারণে খেলাপি ঋণ বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ মোস্তফা কে মুজেরী আমার দেশকে বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং সুবিধাভোগীদের ছত্রছায়ায় ঋণখেলাপির কালচার গড়ে তুলেছে। ওই সময় ঋণ পুনঃতফসিল ও সুদ মওকুফসহ নানা সুবিধা দেওয়া হয়েছে। ফলে একটা ভঙ্গুর ব্যাংক ব্যবস্থা দেখতে পাচ্ছি। বর্তমান সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা ছিলÑ যেসব কারণে ব্যাংকগুলোর ভঙ্গুর অবস্থা তৈরি হয়েছে, তাদের জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিবে। যাতে ব্যাংকগুলো ঋণখেলাপির সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারে। কিন্তু বাস্তবে সেই ধরনের কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। বরং আগের মতোই দুর্বল ব্যাংকগুলো তারল্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এতে ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণ আদায়ে উদ্যোগ নিচ্ছে না। ফলে খেলাপি ঋণ আরও বেড়ে যাচ্ছে।’
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ যখন সরকার গঠন করে, তখন মোট খেলাপি ঋণ ছিল ২২ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা। এর পর থেকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েই চলছে। অর্থনীতিবিদেরা অনেক দিন ধরেই অভিযোগ করছেন, তৎকালীন সরকারের ছত্রচ্ছায়ায় ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ লোপাট হয়েছে, যার একটা বড় অংশই বিদেশে পাচার হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর খেলাপি ঋণের প্রকৃত চিত্র বের হতে শুরু করেছে। সাবেক সরকারের আমলে ব্যাংক থেকে প্রভাবশালীদের বড় অঙ্কের ঋণ দিতে নানা সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি খেলাপি ঋণ কাগজে-কলমে কম দেখাতে নেওয়া হয়েছিল একের পর এক নীতি। সরকার পরিবর্তনের পর সেই নীতি থেকে সরে এসেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ আরও বেড়েছে। চলতি বছরের মার্চ শেষে এটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকায়। গত বছরের ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল তিন লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। কেবল জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকেই বেড়েছে ৭৪ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের লুকানো খেলাপি ঋণের আসল চিত্র সামনে আসায় খেলাপি বেড়েছে। রোববার প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কয়েকটি ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে কয়েকটি গ্রুপ ঋণের নামে অর্থ বের করে নিয়েছে। ছাত্র-জনতার বিপ্লবে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর তা এখন খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হতে শুরু করেছে। মূলত সমালোচিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণমুক্ত হওয়া ব্যাংকগুলো ঋণের প্রকৃত চিত্র দেখাতে শুরু করেছে।
এ ছাড়া বেক্সিমকো, বসুন্ধরা, ওরিয়ন, সিকদার গ্রুপ ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর নেওয়া ঋণও এখন খেলাপির খাতায়। গত সরকারের আমলে ঋণ শোধ না করেও তাদের নিয়মিত দেখানোর সুযোগ ছিল। তবে বর্তমান সরকার সেই সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে ব্যাংক থেকে বিতরণ করা ঋণের ২৪ দশমিক ১৩ শতাংশই বর্তমানে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে, ডিসেম্বরে যা ছিল ২০ দশমিক ২০ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের মার্চ শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ১ লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা, এটি ওই সময় পর্যন্ত বিতরণ করা মোট ঋণের ১১ দশমিক ১১ শতাংশ। সেই তুলনায় এক বছরে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৪০ কোটি টাকা। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত বিতরণ করা মোট ঋণ দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৪১ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা। তিন মাস আগে তা ছিল ১৭ লাখ ১১ হাজার ৪০২ কোটি টাকা।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকে খেলাপি ঋণের হার সবচেয়ে বেশি। মার্চ শেষে এ খাতের ব্যাংকের ঋণ স্থিতি ছিল ৩ লাখ ১৯ হাজার ৭০৮ কোটি টাকা, এর মধ্যে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা খেলাপি। বেসরকারি ব্যাংকের এই হার ২০ দশমিক ১৬ শতাংশ। এই ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা ঋণ ১৩ লাখ ১০ হাজার ৩৮৪ কোটি টাকা, যার মধ্যে ২ লাখ ৬৪ হাজার ১৯৫ কোটি টাকা খেলাপি।
এ ছাড়া বিদেশি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৩ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ। আর বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপি হয়েছে ৬ হাজার ৪৯৪ কোটি টাকা বা ১৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেয়াদি ঋণের মেয়াদোত্তীর্ণের সময় পুনর্নির্ধারণ; বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন বিভাগ বড় ঋণ বিরূপমানে শ্রেণিকৃত করা; গ্রাহকের চলতি ঋণ নবায়ন না হওয়া; পুনঃতফসিল ঋণের কিস্তি পরিশোধিত না হওয়া এবং বিদ্যমান খেলাপি ঋণ হিসাবের বিপরীতে সুদারোপের কারণে খেলাপি ঋণ বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ মোস্তফা কে মুজেরী আমার দেশকে বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং সুবিধাভোগীদের ছত্রছায়ায় ঋণখেলাপির কালচার গড়ে তুলেছে। ওই সময় ঋণ পুনঃতফসিল ও সুদ মওকুফসহ নানা সুবিধা দেওয়া হয়েছে। ফলে একটা ভঙ্গুর ব্যাংক ব্যবস্থা দেখতে পাচ্ছি। বর্তমান সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা ছিলÑ যেসব কারণে ব্যাংকগুলোর ভঙ্গুর অবস্থা তৈরি হয়েছে, তাদের জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিবে। যাতে ব্যাংকগুলো ঋণখেলাপির সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারে। কিন্তু বাস্তবে সেই ধরনের কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। বরং আগের মতোই দুর্বল ব্যাংকগুলো তারল্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এতে ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণ আদায়ে উদ্যোগ নিচ্ছে না। ফলে খেলাপি ঋণ আরও বেড়ে যাচ্ছে।’
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ যখন সরকার গঠন করে, তখন মোট খেলাপি ঋণ ছিল ২২ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা। এর পর থেকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েই চলছে। অর্থনীতিবিদেরা অনেক দিন ধরেই অভিযোগ করছেন, তৎকালীন সরকারের ছত্রচ্ছায়ায় ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ লোপাট হয়েছে, যার একটা বড় অংশই বিদেশে পাচার হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর খেলাপি ঋণের প্রকৃত চিত্র বের হতে শুরু করেছে। সাবেক সরকারের আমলে ব্যাংক থেকে প্রভাবশালীদের বড় অঙ্কের ঋণ দিতে নানা সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি খেলাপি ঋণ কাগজে-কলমে কম দেখাতে নেওয়া হয়েছিল একের পর এক নীতি। সরকার পরিবর্তনের পর সেই নীতি থেকে সরে এসেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
গ্রাহক হিসাবের পূর্বনির্ধারিত মেয়াদের পূর্বেই হজ সম্পাদনে আগ্রহী হন তাহলে তিনি তার মুদারাবা হজ সঞ্চয় হিসাবে জমাকৃত অর্থের সঙ্গে ওই বছর নির্ধারিত হজের টাকার অবশিষ্টাংশ জমা করে হজ পালন করতে পারবেন।
১০ ঘণ্টা আগেস্টার্ট-আপ খাতের উদ্যোক্তাদের ৪ শতাংশে ঋণ নেওয়ার পাশাপাশি এখন থেকে ইক্যুইটি বিনিয়োগ সুবিধা দিতে পারবে ব্যাংক। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক একটি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি গঠন করবে। ব্যাংকগুলোর বার্ষিক নিট মুনাফার এক শতাংশ অর্থ দিয়ে এ কোম্পানি করা হবে।
১৪ ঘণ্টা আগেদীর্ঘমেয়াদী বা মধ্যমেয়াদী নয় মৌলিক সংস্কারের উপর অন্তর্বর্তী সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, আমরা আর ৭-৮ মাস আছি। এ সময়ের মধ্যে মৌলিক সংস্কারে যে কয়টা ধরেছি, চেষ্টা করবো সে কয়টা বাস্তবায়নের।
২০ ঘণ্টা আগেতৈরি পোশাক রপ্তানির আড়ালে অর্থ পাচার এবং হুন্ডির প্রমাণ পেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এক্ষেত্রে পণ্য রপ্তানিতে প্রচলিত বাজারমূল্যের চেয়ে কম মূল্য দেখানো, প্রকৃত ওজনের চেয়ে বেশি ওজন প্রদর্শন এবং শুল্ক ফাঁকি দিতে একাধিক ইনভেয়স তৈরির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবে
১ দিন আগে