ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ কমাতে বিশেষ এক্সিট সুবিধা শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে কোনো ঋণগ্রহীতা এক্সিট সুবিধা নিলে আর খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হবেন না। তবে ঋণগ্রহীতাকে ত্রৈমাসিক কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ করতে হবে এবং বার্ষিক পরিশোধের পরিমাণ বকেয়া ঋণের ২০ শতাংশের নিচে হতে পারবে না।
আগে এক্সিট সুবিধা নিলেও পুরো বকেয়া ঋণ পরিশোধ না করা পর্যন্ত ঋণগ্রহীতা খেলাপি হিসেবেই চিহ্নিত থাকতেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, বিশেষ এক্সিট সুবিধা পাওয়া ঋণকে (এসএমএ) মানে দেখাতে হবে। সেই অনুযায়ী ঋণের বিপরীতে যথানিয়মে সাধারণ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে। আবার প্রকৃত আদায় ছাড়া এক্সিট সুবিধা পাওয়া ঋণের বিপরীতে আগে সংরক্ষিত ‘স্পেসিফিক প্রভিশন’ ব্যাংকের আয় খাতে স্থানান্তর করা যাবে না।
তবে তার একটি অংশ সাধারণ প্রভিশন সংরক্ষণের জন্য স্থানান্তর করা যাবে। উল্লেখ্য, পুরো ঋণ পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত এ সুবিধাপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে বিদ্যমান ঋণ সুবিধা ছাড়া কোনো নতুন ঋণ সুবিধা দেওয়া যাবে না।
এতে আরও বলা হয়েছে, বিশেষ এক্সিট সুবিধা পাওয়া ঋণের কিস্তি ব্যাংকার–গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে। পরিশোধসূচি অনুযায়ী মাসিক বা ত্রৈমাসিক কিস্তিতে আদায় করতে হবে। কিস্তি পরিশোধে ঋণগ্রহীতা ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট ঋণ হিসাব যথানিয়মে শ্রেণিকরণ ও প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত ঋণগ্রহীতাদের ব্যবসা পুনর্গঠনের জন্য খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিলের সময়সীমা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ধরনের ঋণ পুনঃতফসিল সুবিধা নেওয়ার জন্য ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে, যা আগে ছিল ৩০ জুন।
এর আওতায় মাত্র ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ১০ বছরের জন্য ঋণ পুনর্গঠন করতে পারবেন ঋণগ্রহীতারা।

