অর্থনৈতিক রিপোর্টার
মে মাসে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ফলে এ মাসে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশেরও উন্নতি হয়েছে। বাংলাদেশ পারচেজিং ম্যানেজার্স ইনডেক্স (পিএমআই) সূচকে এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে ৬ পয়েন্ট উন্নতি হয়েছে। কিছুটা হলেও কমেছে মূল্যস্ফিতি। এ সময় কৃষি, উৎপাদন খাত ও সেবা খাতের উন্নতি হলেও নির্মাণ খাত কিছুটা পিছিয়েছে।
মেট্রোপলিটন চেম্বার (এমসিসিআই) ও পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ (পিইবি) যৌথভাবে পিএমআই সূচক প্রকাশ করে থাকে। পিএমআই রিপোর্টটি রোববার প্রকাশ করেছে এমসিসিআই।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ পারচেজিং ম্যানেজার্স ইনডেক্স (পিএমআই) মে মাসের ফলাফল আগের মাসের তুলনায় ৬ পয়েন্ট বেড়ে ৫৮ দশমিক ৯-এ পৌঁছেছে। এ ৬ পয়েন্ট বেড়ে যাওয়া মূলত ব্যবসা খাতে দ্রুত সম্প্রসারণ হার নির্দেশ করে। প্রতিবেদনে এ বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, কৃষি, উৎপাদন ও সেবা খাতের দ্রুত সম্প্রসারণের কারণে পিএমআই সূচক বেড়েছে। যদিও নির্মাণ খাতে কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি।
বাংলাদেশে টানা ৩ বছরের বেশি সময় উচ্চ মূল্যস্ফীতি থাকায় সব দিকেই খরচ বেড়েছিল। মে মাসের মূল্যস্ফীতিও ২৭ মাসের মধ্যে কিছুটা কমে ৯ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশে নেমেছে। মূল্যস্ফীতি কমায় দেশের শিল্পখাতের খরচও নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে। ফলে বেশিরভাগ সূচকই নিয়ন্ত্রণে। এ সময় রাজনৈতিক অস্থিরতাও কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার প্রভাব পড়ে অর্থনীতিতে।
পিএমআই সূচকটি মূলত চারটি খাতকে নিয়ে করা হয়: কৃষি, সেবা, উৎপাদন ও নির্মাণ খাত। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার সঠিক ও সময়োচিত বিশ্লেষণ দেওয়া হয় এ প্রতিবেদনে। এ প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী এবং নীতি নির্ধারকরা তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এটি এমসিসিআই ও পিইবির যৌথ উদ্যোগ, যেখানে যুক্তরাজ্য সরকারের সহায়তা এবং সিঙ্গাপুর ইনস্টিটিউট অব পারচেজিং অ্যান্ড ম্যাটেরিয়ালস ম্যানেজমেন্টের (এসআইপিএমএম) কারিগরি সহায়তা রয়েছে।
মে মাসের পিএমআই সূচকে কৃষি খাত টানা ৮ম মাসের মতো বেড়েছে। এ খাতের সম্প্রসারণ খুব গতিতে হয়েছে বলে উঠে এসেছে প্রতিবেদনটিতে। এই খাতে নতুন ব্যবসা, ব্যবসায়িক কার্যক্রম, কর্মসংস্থান, ইনপুট খরচ সূচকে দ্রুত সম্প্রসারণ দেখা গেছে এবং অর্ডার ব্যাকলগ সূচক আবার সম্প্রসারণে ফিরে এসেছে।
কৃষি খাতের পাশাপাশি গত মাসে উৎপাদনের গতিও বেড়েছে। উৎপাদন খাত টানা নবম মাসে সম্প্রসারণ করেছে, এটি বেড়েছে আগের চেয়ে দ্রুত গতিতে। তবে উৎপাদন খাতের বেশিরভাগ সূচকে সম্প্রসারণ হলেও, অর্ডার ব্যাকলগ সূচক টানা ১০ মাস ধরে সংকোচনের মধ্যেই আছে, যদিও এ মাসে তা তুলনামূলকভাবে ধীর হয়েছে।
নির্মাণ খাত টানা ৬ষ্ঠ মাসে সম্প্রসারণে ছিল, তবে গত মাসের তুলনায় কোনো পরিবর্তন হয়নি। নির্মাণ কার্যক্রম সূচক দ্রুত সম্প্রসারণ দেখালেও ইনপুট খরচ সূচক ধীর সম্প্রসারণে ছিল। নতুন ব্যবসা এবং কর্মসংস্থান সূচক আবার সংকোচনে ফিরে গেছে, তবে অর্ডার ব্যাকলগ সূচক সম্প্রসারণে ফিরে এসেছে।
সেবা খাতের ব্যবসাও মে মাসে বেড়েছে। সেবা খাত টানা অষ্টম মাসে দ্রুত গতিতে সম্প্রসারণ দেখিয়েছে। এ খাতে নতুন ব্যবসা ও ইনপুট খরচ সূচক দ্রুত সম্প্রসারণে ছিল, কিন্তু কর্মসংস্থান সূচকে ধীর সম্প্রসারণ দেখা গেছে। ব্যবসায়িক কার্যক্রম এবং অর্ডার ব্যাকলগ সূচক আবার সম্প্রসারণে ফিরেছে।
পিএমআই প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ভবিষ্যৎ ব্যবসা সূচক অনুযায়ী, উৎপাদন, নির্মাণ ও সেবা খাতে ধীর সম্প্রসারণ দেখা গেছে, তবে কৃষি খাতে দ্রুত সম্প্রসারণ হয়েছে।
পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ও সিইও মাসরুর রিয়াজ বলেন, ‘সর্বশেষ পিএমআই রিডিং ইঙ্গিত দেয়, রপ্তানি-নির্ভর উৎপাদন খাতের গতিশীলতা এবং ঈদ উৎসবকে কেন্দ্র করে কৃষি ও এর সরবরাহ চেইনের অগ্রগতির ফলে বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনীতি দ্রুত সম্প্রসারণে রয়েছে। তবে নির্মাণ খাতই একমাত্র খাত যেখানে সম্প্রসারণে কোনো অগ্রগতি হয়নি।’
মে মাসে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ফলে এ মাসে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশেরও উন্নতি হয়েছে। বাংলাদেশ পারচেজিং ম্যানেজার্স ইনডেক্স (পিএমআই) সূচকে এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে ৬ পয়েন্ট উন্নতি হয়েছে। কিছুটা হলেও কমেছে মূল্যস্ফিতি। এ সময় কৃষি, উৎপাদন খাত ও সেবা খাতের উন্নতি হলেও নির্মাণ খাত কিছুটা পিছিয়েছে।
মেট্রোপলিটন চেম্বার (এমসিসিআই) ও পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ (পিইবি) যৌথভাবে পিএমআই সূচক প্রকাশ করে থাকে। পিএমআই রিপোর্টটি রোববার প্রকাশ করেছে এমসিসিআই।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ পারচেজিং ম্যানেজার্স ইনডেক্স (পিএমআই) মে মাসের ফলাফল আগের মাসের তুলনায় ৬ পয়েন্ট বেড়ে ৫৮ দশমিক ৯-এ পৌঁছেছে। এ ৬ পয়েন্ট বেড়ে যাওয়া মূলত ব্যবসা খাতে দ্রুত সম্প্রসারণ হার নির্দেশ করে। প্রতিবেদনে এ বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, কৃষি, উৎপাদন ও সেবা খাতের দ্রুত সম্প্রসারণের কারণে পিএমআই সূচক বেড়েছে। যদিও নির্মাণ খাতে কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি।
বাংলাদেশে টানা ৩ বছরের বেশি সময় উচ্চ মূল্যস্ফীতি থাকায় সব দিকেই খরচ বেড়েছিল। মে মাসের মূল্যস্ফীতিও ২৭ মাসের মধ্যে কিছুটা কমে ৯ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশে নেমেছে। মূল্যস্ফীতি কমায় দেশের শিল্পখাতের খরচও নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে। ফলে বেশিরভাগ সূচকই নিয়ন্ত্রণে। এ সময় রাজনৈতিক অস্থিরতাও কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার প্রভাব পড়ে অর্থনীতিতে।
পিএমআই সূচকটি মূলত চারটি খাতকে নিয়ে করা হয়: কৃষি, সেবা, উৎপাদন ও নির্মাণ খাত। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার সঠিক ও সময়োচিত বিশ্লেষণ দেওয়া হয় এ প্রতিবেদনে। এ প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী এবং নীতি নির্ধারকরা তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এটি এমসিসিআই ও পিইবির যৌথ উদ্যোগ, যেখানে যুক্তরাজ্য সরকারের সহায়তা এবং সিঙ্গাপুর ইনস্টিটিউট অব পারচেজিং অ্যান্ড ম্যাটেরিয়ালস ম্যানেজমেন্টের (এসআইপিএমএম) কারিগরি সহায়তা রয়েছে।
মে মাসের পিএমআই সূচকে কৃষি খাত টানা ৮ম মাসের মতো বেড়েছে। এ খাতের সম্প্রসারণ খুব গতিতে হয়েছে বলে উঠে এসেছে প্রতিবেদনটিতে। এই খাতে নতুন ব্যবসা, ব্যবসায়িক কার্যক্রম, কর্মসংস্থান, ইনপুট খরচ সূচকে দ্রুত সম্প্রসারণ দেখা গেছে এবং অর্ডার ব্যাকলগ সূচক আবার সম্প্রসারণে ফিরে এসেছে।
কৃষি খাতের পাশাপাশি গত মাসে উৎপাদনের গতিও বেড়েছে। উৎপাদন খাত টানা নবম মাসে সম্প্রসারণ করেছে, এটি বেড়েছে আগের চেয়ে দ্রুত গতিতে। তবে উৎপাদন খাতের বেশিরভাগ সূচকে সম্প্রসারণ হলেও, অর্ডার ব্যাকলগ সূচক টানা ১০ মাস ধরে সংকোচনের মধ্যেই আছে, যদিও এ মাসে তা তুলনামূলকভাবে ধীর হয়েছে।
নির্মাণ খাত টানা ৬ষ্ঠ মাসে সম্প্রসারণে ছিল, তবে গত মাসের তুলনায় কোনো পরিবর্তন হয়নি। নির্মাণ কার্যক্রম সূচক দ্রুত সম্প্রসারণ দেখালেও ইনপুট খরচ সূচক ধীর সম্প্রসারণে ছিল। নতুন ব্যবসা এবং কর্মসংস্থান সূচক আবার সংকোচনে ফিরে গেছে, তবে অর্ডার ব্যাকলগ সূচক সম্প্রসারণে ফিরে এসেছে।
সেবা খাতের ব্যবসাও মে মাসে বেড়েছে। সেবা খাত টানা অষ্টম মাসে দ্রুত গতিতে সম্প্রসারণ দেখিয়েছে। এ খাতে নতুন ব্যবসা ও ইনপুট খরচ সূচক দ্রুত সম্প্রসারণে ছিল, কিন্তু কর্মসংস্থান সূচকে ধীর সম্প্রসারণ দেখা গেছে। ব্যবসায়িক কার্যক্রম এবং অর্ডার ব্যাকলগ সূচক আবার সম্প্রসারণে ফিরেছে।
পিএমআই প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ভবিষ্যৎ ব্যবসা সূচক অনুযায়ী, উৎপাদন, নির্মাণ ও সেবা খাতে ধীর সম্প্রসারণ দেখা গেছে, তবে কৃষি খাতে দ্রুত সম্প্রসারণ হয়েছে।
পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ও সিইও মাসরুর রিয়াজ বলেন, ‘সর্বশেষ পিএমআই রিডিং ইঙ্গিত দেয়, রপ্তানি-নির্ভর উৎপাদন খাতের গতিশীলতা এবং ঈদ উৎসবকে কেন্দ্র করে কৃষি ও এর সরবরাহ চেইনের অগ্রগতির ফলে বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনীতি দ্রুত সম্প্রসারণে রয়েছে। তবে নির্মাণ খাতই একমাত্র খাত যেখানে সম্প্রসারণে কোনো অগ্রগতি হয়নি।’
সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে সরকার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় সাড়ে ২৬ হাজার কোটি টাকা কম ব্যাংকঋণ নিয়েছে। গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সরকারের ব্যাংকঋণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯৯ হাজার কোটি টাকা। এ সময় সরকার ঋণ নিয়েছে ৭২ হাজার ৩৭২ কোটি টাকা। তবে অর্থবছরের শুরুতে সরকারের ঋণ চাহিদা কম থাকলেও শেষদিকে এসে তা বেড়েছে।
১ ঘণ্টা আগেগ্রাহক হিসাবের পূর্বনির্ধারিত মেয়াদের পূর্বেই হজ সম্পাদনে আগ্রহী হন তাহলে তিনি তার মুদারাবা হজ সঞ্চয় হিসাবে জমাকৃত অর্থের সঙ্গে ওই বছর নির্ধারিত হজের টাকার অবশিষ্টাংশ জমা করে হজ পালন করতে পারবেন।
১২ ঘণ্টা আগেস্টার্ট-আপ খাতের উদ্যোক্তাদের ৪ শতাংশে ঋণ নেওয়ার পাশাপাশি এখন থেকে ইক্যুইটি বিনিয়োগ সুবিধা দিতে পারবে ব্যাংক। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক একটি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি গঠন করবে। ব্যাংকগুলোর বার্ষিক নিট মুনাফার এক শতাংশ অর্থ দিয়ে এ কোম্পানি করা হবে।
১৫ ঘণ্টা আগেদীর্ঘমেয়াদী বা মধ্যমেয়াদী নয় মৌলিক সংস্কারের উপর অন্তর্বর্তী সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, আমরা আর ৭-৮ মাস আছি। এ সময়ের মধ্যে মৌলিক সংস্কারে যে কয়টা ধরেছি, চেষ্টা করবো সে কয়টা বাস্তবায়নের।
২১ ঘণ্টা আগে