এসএ পরিবহনের কাণ্ড

আয়কর নথি হাতিয়ে নিয়ে ২৩৮ কোটি টাকার সম্পদ যুক্ত

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০: ০০

ঘুসের বিনিময়ে পুরোনো আয়কর নথি হস্তগত করে ২৩৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকার সম্পদ আয়কর বিবরণীতে সংযুক্ত করেন এস আলম পরিবহনের মালিক সালাহউদ্দিন আহমেদ। ঘুস প্রদানের দায়ে তার ও তার আইনজীবী ওবায়দুল হক সরকারের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআর। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে তদন্তকাজ শুরু করেছে রাজস্ব আহরণকারী সংস্থাটি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এনবিআরের সদস্য (ট্যাক্সেস লিগ্যাল অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট) মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকী বলেন, ঘুসকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং একই সঙ্গে তাদের করফাঁকির তথ্যও যাচাই করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

তদন্তের অংশ হিসেবে এসএ পরিবহনের মালিক ও তার আইনজীবীর আয়কর নথি যাচাই করছে এনবিআর।

জানা গেছে, কর অঞ্চল-৫-এর সার্কেল-৯৩-এর সহকারী কর কমিশনার জান্নাতুল ফেরদৌস মিতু ৩৮ লাখ টাকার বিনিময়ে এসএ পরিবহনের আয়কর নথির ফাইলের প্রায় পুরোটাই তার আইনজীবী ওবায়দুল হক সরকারকে দিয়ে দেন। ওই আইনজীবী সে ফাইল তার অফিসে নিয়ে যান। গোপন সংবাদে খবর পেয়ে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) একযোগে সার্কেল অফিস এবং ওই আইনজীবীর চেম্বারে অভিযান চালায়। ওই অভিযানে জান্নাতুল ফেরদৌসের মোবাইল জব্দ করে অর্থ লেনদেনের প্রমাণ পায়। জান্নাতুল ফেরদৌস অর্থ গ্রহণেরে বিষয়টি স্বীকার করেন। তখন তাকে ওই অর্থ ফেরত দেওয়ার জন্য বলা হলে তিনি বলেন, সে টাকা তিনি ইতোমধ্যে খরচ করে ফেলেছেন। ওই ঘটনার পর জান্নাতুল ফেরদৌসকে ১ সেপ্টেম্বর সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে আইনজীবী ওবায়দুল হক সরকারের চেম্বার থেকে ফাইল উদ্ধার করা হয়। আয়কর নথির সংশোধনীতে এসএ পরিবহনের মালিক ২৩৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকার সম্পদ নতুন করে যুক্ত করার প্রমাণ পান এনবিআর কর্মকর্তারা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, অফিসের ফাইল কোনো ব্যক্তিকে দিয়ে দেওয়া একটি গুরুতর অপরাধ। একজন সরকারি কর্মকর্তা যেমন এটি করতে পারেন না, অন্যদিকে একজন আইনজীবীর এ ধরনের অপরাধে যুক্ত হওয়া অমার্জনীয়।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত