চিঠির জেরে শেয়ারবাজারে ছন্দপতন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
দীর্ঘ মন্দার পর দেশের শেয়ারবাজারে গতি ফিরতে শুরু করেছিল। তীব্র তারল্য সংকট থেকেও ঘটছিল উত্তরণ। বাজার থেকে যারা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল তারাও ধীরে ধীরে সক্রিয় হচ্ছিল লেনদেনে। স্বাভাবিক গতির একটা লক্ষণ ফুটে উঠেছিল দেশের শেয়ারবাজারে। কিন্তু কয়েকদিন ধরেই বাজারে সূচকের পাশাপাশি লেনদেনের পরিমাণও কমছে।
শেয়ারবাজারে বড় ধরনের ছন্দপতনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআরের) একটি চিঠিকে কারণ হিসেবে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। গত আগস্ট মাসে এনবিআরের পক্ষ থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে শেয়ারবাজার থেকে ৫০ লাখ বা তার চেয়ে বেশি মূলধনী মুনাফা আয় করেছে এমন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের তথ্য চেয়ে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) চিঠি পাঠানো হয়।
সে চিঠির সূত্র ধরে বিএসইসির পক্ষ থেকে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে মূলধনী আয়ের তথ্য পাঠানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়। তারই আলোকে স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে ব্রোকারেজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকের কাছে বিনিয়োগকারীদের তথ্য চাওয়া হয়। আর এ খবরে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেওয়ায় বাজারে পতন ঘটছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়. মাত্র ১০ কার্যদিবসের ব্যবধানে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন কমেছে ৫০ শতাংশের বেশি। গত ৭ সেপ্টেম্বর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল প্রায় ১ হাজার ৪৪২ কোটি টাকা। গতকাল রোববার লেনদেন হয়েছে ৬২১ কোটি টাকা। অন্যদিকে একই সময়ে ডিএসই প্রধান সূচক ডিএসইএক্সের পতন হয়েছে ২৫৫ পয়েন্টের। এ সময় ডিএসই সূচকটি ৫ হাজার ৬৩৬ পয়েন্ট থেকে কমে ৫ হাজার ৩৮১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এ ব্যাপারে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সাবেক প্রেসিডেন্ট আহমেদ রশীদ লালী আমার দেশকে বলেন, শেয়ারবাজারে গত কয়েকদিন মুনাফা তুলে নেওয়ার একটা স্বাভাবিক প্রবণতা ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই ৫০ লাখ বা তার বেশি মূলধনী আয়ের তথ্য চেয়ে এনবিআরের চিঠির কারণে বাজারে একটা অযাচিত হস্তক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার এখনো সময় শেষ হয়নি। সময় শেষ হওয়ার আগেই মূলধনী আয়ের মতো একটি সংবেদনশীল বিষয়ে তথ্য চাওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। কিন্তু এনবিআরের পক্ষ থেকে এ ধরনের তথ্য চাওয়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে বলে লালী মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় শেষ হওয়ার পর সেটি খতিয়ে দেখতে পারত। কিন্তু তার আগে এ ধরনের চিঠি দেওয়ার পর বিএসইসির উচিত ছিল এটি নিয়ে এনবিআরের সঙ্গে আলোচনা করার।
এদিকে ডিএসইর পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে এনবিআরের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে শেয়ারবাজারে ৫০ লাখ টাকার কম মূলধনী আয়ের জন্য কোনো ধরনের ট্যাক্স দিতে হয় না। কিন্তু ৫০ লাখ বা তার চেয়ে বেশি আয়ের জন্য ১৫ শতাংশ হারে গেইন টেক্স প্রযোজ্য।
এদিকে গতকালের বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, লেনদেন শুরুর প্রথম ১৫ মিনিট সূচকের উর্ধ্বমুখী প্রবণতা থাকলেও এরপর ক্রমাগত পতন ঘটে। দিনশেষে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দর কমে যাওয়ায় ডিএসইএক্স সূচকের পতন হয়েছে ৬৮ পয়েন্টের। শতকরা হিসাবে সূচক পতনের এ হার প্রায় ১ দশমিক ২৫ শতাংশ।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬টি ইস্যুর মধ্যে দর কমেছে ৩০৭টির, বেড়েছে ৩৯টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৫০টির দর। দরবৃদ্ধির শীর্ষে থাকা ৫টি ইস্যুর মধ্যে ছিল ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, ফারইস্ট নিটিং, আইসিবিএএমসিএল দ্বিতীয় মিউচুয়াল ফান্ড, আরগন ডেনিমস ও টাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড।
দীর্ঘ মন্দার পর দেশের শেয়ারবাজারে গতি ফিরতে শুরু করেছিল। তীব্র তারল্য সংকট থেকেও ঘটছিল উত্তরণ। বাজার থেকে যারা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল তারাও ধীরে ধীরে সক্রিয় হচ্ছিল লেনদেনে। স্বাভাবিক গতির একটা লক্ষণ ফুটে উঠেছিল দেশের শেয়ারবাজারে। কিন্তু কয়েকদিন ধরেই বাজারে সূচকের পাশাপাশি লেনদেনের পরিমাণও কমছে।
শেয়ারবাজারে বড় ধরনের ছন্দপতনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআরের) একটি চিঠিকে কারণ হিসেবে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। গত আগস্ট মাসে এনবিআরের পক্ষ থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে শেয়ারবাজার থেকে ৫০ লাখ বা তার চেয়ে বেশি মূলধনী মুনাফা আয় করেছে এমন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের তথ্য চেয়ে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) চিঠি পাঠানো হয়।
সে চিঠির সূত্র ধরে বিএসইসির পক্ষ থেকে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে মূলধনী আয়ের তথ্য পাঠানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়। তারই আলোকে স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে ব্রোকারেজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকের কাছে বিনিয়োগকারীদের তথ্য চাওয়া হয়। আর এ খবরে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেওয়ায় বাজারে পতন ঘটছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়. মাত্র ১০ কার্যদিবসের ব্যবধানে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন কমেছে ৫০ শতাংশের বেশি। গত ৭ সেপ্টেম্বর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল প্রায় ১ হাজার ৪৪২ কোটি টাকা। গতকাল রোববার লেনদেন হয়েছে ৬২১ কোটি টাকা। অন্যদিকে একই সময়ে ডিএসই প্রধান সূচক ডিএসইএক্সের পতন হয়েছে ২৫৫ পয়েন্টের। এ সময় ডিএসই সূচকটি ৫ হাজার ৬৩৬ পয়েন্ট থেকে কমে ৫ হাজার ৩৮১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এ ব্যাপারে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সাবেক প্রেসিডেন্ট আহমেদ রশীদ লালী আমার দেশকে বলেন, শেয়ারবাজারে গত কয়েকদিন মুনাফা তুলে নেওয়ার একটা স্বাভাবিক প্রবণতা ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই ৫০ লাখ বা তার বেশি মূলধনী আয়ের তথ্য চেয়ে এনবিআরের চিঠির কারণে বাজারে একটা অযাচিত হস্তক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার এখনো সময় শেষ হয়নি। সময় শেষ হওয়ার আগেই মূলধনী আয়ের মতো একটি সংবেদনশীল বিষয়ে তথ্য চাওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। কিন্তু এনবিআরের পক্ষ থেকে এ ধরনের তথ্য চাওয়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে বলে লালী মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় শেষ হওয়ার পর সেটি খতিয়ে দেখতে পারত। কিন্তু তার আগে এ ধরনের চিঠি দেওয়ার পর বিএসইসির উচিত ছিল এটি নিয়ে এনবিআরের সঙ্গে আলোচনা করার।
এদিকে ডিএসইর পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে এনবিআরের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে শেয়ারবাজারে ৫০ লাখ টাকার কম মূলধনী আয়ের জন্য কোনো ধরনের ট্যাক্স দিতে হয় না। কিন্তু ৫০ লাখ বা তার চেয়ে বেশি আয়ের জন্য ১৫ শতাংশ হারে গেইন টেক্স প্রযোজ্য।
এদিকে গতকালের বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, লেনদেন শুরুর প্রথম ১৫ মিনিট সূচকের উর্ধ্বমুখী প্রবণতা থাকলেও এরপর ক্রমাগত পতন ঘটে। দিনশেষে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দর কমে যাওয়ায় ডিএসইএক্স সূচকের পতন হয়েছে ৬৮ পয়েন্টের। শতকরা হিসাবে সূচক পতনের এ হার প্রায় ১ দশমিক ২৫ শতাংশ।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬টি ইস্যুর মধ্যে দর কমেছে ৩০৭টির, বেড়েছে ৩৯টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৫০টির দর। দরবৃদ্ধির শীর্ষে থাকা ৫টি ইস্যুর মধ্যে ছিল ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, ফারইস্ট নিটিং, আইসিবিএএমসিএল দ্বিতীয় মিউচুয়াল ফান্ড, আরগন ডেনিমস ও টাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড।
দাবা বিশ্বকাপে বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিনিধিত্বকারী মনন রেজা নীড়ের বিশ্বজয়ের যাত্রার অংশীদার হতে পেরে গর্বিত বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি ছয়টি ব্যাংক থেকে প্রতি ডলার ১২১ টাকা ৮০ পয়সা দরে ৩৮ মিলিয়ন ডলার কিনেছে। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ব্যাংকগুলো থেকে মোট ২ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
২ ঘণ্টা আগেএই তদন্তের ফলে হোয়াইট হাউস যেকোনো আমদানি পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, এতে আবারও শুরু হতে পারে বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধ—যা কয়েকদিন আগেই কিছুটা প্রশমিত হয়েছিল।
২ ঘণ্টা আগেআজ, বুধবার, বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর ব্যবস্থাপনায় ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ উদ্যোগ কার্যক্রম সম্প্রসারণ ক্যাম্পেইন’ উপলক্ষ্যে চট্টগ্রামে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য রোডশো, সেমিনার এবং স্টল প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে