চলতি ডিসেম্বর মাসের প্রথম ১৩ দিনে দেশে মোট ১৫০ কোটি ৭৪ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। তবে দেশের ১০টি ব্যাংকে এক ডলারও রেমিট্যান্স আসেনি। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, রেমিট্যান্স না পাওয়া ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক, একটি বিশেষায়িত ব্যাংক, তিনটি বেসরকারি ব্যাংক এবং পাঁচটি বিদেশি ব্যাংক।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিসেম্বরের প্রথম ১৩ দিনে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড (বিডিবিএল), বিশেষায়িত খাতের রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) এবং বেসরকারি খাতের সিটিজেনস ব্যাংক পিএলসি, পদ্মা ব্যাংক পিএলসি ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংকে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি।
এছাড়া বিদেশি ব্যাংকগুলোর মধ্যে আল ফারাহ ব্যাংক, হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া ও উরি ব্যাংক লিমিটেডেও এ সময় কোনো রেমিট্যান্স আসেনি।
অন্যদিকে, ডিসেম্বরের প্রথম ১৩ দিনে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে দেশে এসেছে ৮ কোটি ৫৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার। বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৪ কোটি ৯৫ লাখ ৪০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১০৯ কোটি ৭০ লাখ ২০ হাজার ডলার এবং বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে মাত্র ৩২ লাখ ৯০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত এক হাজার ৩৬৭ কোটি ১০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। গত বছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স আসার পরিমাণ ছিল এক হাজার ১৭৩ কোটি ২০ লাখ ডলার। সে হিসাবে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৯৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। অর্থবছর হিসাবে রেমিট্যান্স আসার প্রবৃদ্ধি ১৬.৫ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের মাসভিত্তিক প্রবাসী আয় ছিল—জুলাইয়ে ২৪৭ কোটি ৭৮ লাখ ডলার, আগস্টে ২৪২ কোটি ১৯ লাখ ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ডলার, অক্টোবরে ২৫৬ কোটি ৩৫ লাখ ডলার এবং নভেম্বরে এসেছে ২৮৮ কোটি ৯৫ লাখ ২০ হাজার ডলার।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের মার্চে রেমিট্যান্স এসেছিল সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ডলার, যা ছিল ওই অর্থবছরের একক কোনো মাসের সর্বোচ্চ রেকর্ড। পুরো অর্থবছরে রেমিট্যান্স আসে ৩০.৩৩ বিলিয়ন ডলার, যা আগের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তুলনায় ২৬.৮ শতাংশ বেশি।


ডিসেম্বরের ১৩ দিনে এসেছে দেড় বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স
রেমিট্যান্সে ভর করে দাঁড়িয়ে আছে দেশের অর্থনীতি