ইকবাল পরিবারের অর্থপাচার

স্টাফ রিপোর্টার

বেসরকারি প্রিমিয়ার ব্যাংক প্রায় দুই যুগ ধরে এইচ বি এম ইকবালের নিয়ন্ত্রণে ছিল। তার আমলে ব্যাংকে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো—ইকবাল ও তার পরিবারের চার সদস্যের ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে বিদেশে সম্পদ ক্রয়। এ ঘটনায় বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মোট ৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা জরিমানা করেছে।
বুধবার ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর পাঠানো চিঠিতে বিএফআইইউ এই জরিমানার বিষয়টি জানায়। আগামী রোববারের মধ্যে এই অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় ব্যাংকের হিসাব থেকে অর্থ কেটে নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, ‘অর্থপাচার প্রতিরোধ আইন’ লঙ্ঘন করে রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট (আরএফসিডি) হিসাব খোলা, ওই হিসাবগুলোতে নিয়মবহির্ভূতভাবে অর্থ জমা, ঘোষিত ফরম সংরক্ষণ না করা এবং ক্রেডিট কার্ডে এনডোর্সমেন্টসহ অন্যান্য বিধি যথাযথভাবে পালন না করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা পাচারে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণের কারণে ব্যাংকের বিরুদ্ধে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা জরিমানা আরোপ করা হলো।
এছাড়া ৫টি আরএফসিডি হিসাব ও ১৮টি ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে সন্দেহজনক লেনদেন হলেও তা বিএফআইইউকে জানানো হয়নি। পাশাপাশি ব্যাংকের অন্য এক গ্রাহক প্রতিষ্ঠানের রপ্তানিকারকের রিটেনশন কোটা (ইআরকিউ) হিসাব থেকে ১ লাখ মার্কিন ডলার এইচ বি এম ইকবাল ও তার ছেলে মইন ইকবালের হিসাবে স্থানান্তর করা হয়। এটিকে ‘চুরি’ আখ্যা দিয়ে ব্যাংকটিকে আরো ১ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনের আওতায় দায়ী কর্মকর্তাদেরও পৃথকভাবে জরিমানা করা হয়েছে। প্রিমিয়ার ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম রিয়াজুল করিমকে ৩০ লাখ টাকা, বর্তমান অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) সৈয়দ নওশের আলীকে ৩০ লাখ টাকা এবং ঢাকার বনানী শাখার তৎকালীন অপারেশন ম্যানেজার মনিরুল করিম লিটনকে ২২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ব্যাংকের কার্ড বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী প্রত্যেক কর্মকর্তাকে ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এ সময়ে দুজন কর্মকর্তা ওই পদে দায়িত্বে ছিলেন। পাশাপাশি ২২ বার নিয়ম লঙ্ঘন করে ক্রেডিট কার্ডের সীমা বাড়ানোর অভিযোগে জাকির হোসেন জিতুকে ২২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আরোপিত জরিমানার অর্থ তাদের কাছ থেকে আদায়যোগ্য হবে বলে জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ইকবাল ও তার পরিবারের চার সদস্যের এসব অনিয়ম সম্পর্কে বিএফআইইউ প্রিমিয়ার ব্যাংককে লিখিতভাবে জানিয়েছিল এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছিল। ইকবাল ছাড়াও যাদের বিষয়ে অনিয়ম পাওয়া গেছে তারা হলেন—ইকবালের তিন সন্তান মোহাম্মদ ইমরান ইকবাল, মইন ইকবাল ও নওরীন ইকবাল এবং মইন ইকবালের স্ত্রী ইয়াসনা পূজা ইকবাল।
বিএফআইইউর তদন্তে উঠে এসেছে, ইকবালসহ পাঁচজনের নামে প্রিমিয়ার ব্যাংকের ১৮টি আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড এবং ৪টি প্রিপেইড কার্ড রয়েছে। এসব কার্ডের মাধ্যমে তারা ২০২২ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে মোট ৩২ লাখ ৫০ হাজার ৩১১ মার্কিন ডলার খরচ করেছেন। এ ক্ষেত্রে তারা বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের নির্ধারিত সীমার চেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করেছেন।

বেসরকারি প্রিমিয়ার ব্যাংক প্রায় দুই যুগ ধরে এইচ বি এম ইকবালের নিয়ন্ত্রণে ছিল। তার আমলে ব্যাংকে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো—ইকবাল ও তার পরিবারের চার সদস্যের ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে বিদেশে সম্পদ ক্রয়। এ ঘটনায় বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মোট ৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা জরিমানা করেছে।
বুধবার ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর পাঠানো চিঠিতে বিএফআইইউ এই জরিমানার বিষয়টি জানায়। আগামী রোববারের মধ্যে এই অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় ব্যাংকের হিসাব থেকে অর্থ কেটে নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, ‘অর্থপাচার প্রতিরোধ আইন’ লঙ্ঘন করে রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট (আরএফসিডি) হিসাব খোলা, ওই হিসাবগুলোতে নিয়মবহির্ভূতভাবে অর্থ জমা, ঘোষিত ফরম সংরক্ষণ না করা এবং ক্রেডিট কার্ডে এনডোর্সমেন্টসহ অন্যান্য বিধি যথাযথভাবে পালন না করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা পাচারে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণের কারণে ব্যাংকের বিরুদ্ধে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা জরিমানা আরোপ করা হলো।
এছাড়া ৫টি আরএফসিডি হিসাব ও ১৮টি ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে সন্দেহজনক লেনদেন হলেও তা বিএফআইইউকে জানানো হয়নি। পাশাপাশি ব্যাংকের অন্য এক গ্রাহক প্রতিষ্ঠানের রপ্তানিকারকের রিটেনশন কোটা (ইআরকিউ) হিসাব থেকে ১ লাখ মার্কিন ডলার এইচ বি এম ইকবাল ও তার ছেলে মইন ইকবালের হিসাবে স্থানান্তর করা হয়। এটিকে ‘চুরি’ আখ্যা দিয়ে ব্যাংকটিকে আরো ১ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনের আওতায় দায়ী কর্মকর্তাদেরও পৃথকভাবে জরিমানা করা হয়েছে। প্রিমিয়ার ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম রিয়াজুল করিমকে ৩০ লাখ টাকা, বর্তমান অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) সৈয়দ নওশের আলীকে ৩০ লাখ টাকা এবং ঢাকার বনানী শাখার তৎকালীন অপারেশন ম্যানেজার মনিরুল করিম লিটনকে ২২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ব্যাংকের কার্ড বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী প্রত্যেক কর্মকর্তাকে ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এ সময়ে দুজন কর্মকর্তা ওই পদে দায়িত্বে ছিলেন। পাশাপাশি ২২ বার নিয়ম লঙ্ঘন করে ক্রেডিট কার্ডের সীমা বাড়ানোর অভিযোগে জাকির হোসেন জিতুকে ২২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আরোপিত জরিমানার অর্থ তাদের কাছ থেকে আদায়যোগ্য হবে বলে জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ইকবাল ও তার পরিবারের চার সদস্যের এসব অনিয়ম সম্পর্কে বিএফআইইউ প্রিমিয়ার ব্যাংককে লিখিতভাবে জানিয়েছিল এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছিল। ইকবাল ছাড়াও যাদের বিষয়ে অনিয়ম পাওয়া গেছে তারা হলেন—ইকবালের তিন সন্তান মোহাম্মদ ইমরান ইকবাল, মইন ইকবাল ও নওরীন ইকবাল এবং মইন ইকবালের স্ত্রী ইয়াসনা পূজা ইকবাল।
বিএফআইইউর তদন্তে উঠে এসেছে, ইকবালসহ পাঁচজনের নামে প্রিমিয়ার ব্যাংকের ১৮টি আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড এবং ৪টি প্রিপেইড কার্ড রয়েছে। এসব কার্ডের মাধ্যমে তারা ২০২২ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে মোট ৩২ লাখ ৫০ হাজার ৩১১ মার্কিন ডলার খরচ করেছেন। এ ক্ষেত্রে তারা বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের নির্ধারিত সীমার চেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করেছেন।

শুল্কমুক্ত সুবিধায় বিদেশ থেকে আমদানি করা বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সদস্যদের (এমপি) ৩১টি বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে বিক্রি না হওয়ায় সেগুলো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
৩ মিনিট আগে
কৃষি প্রক্রিয়াজাত শিল্প দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ একটি খাত। তবে এ শিল্পের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হলে একাধিক সরকারি ও আন্তর্জাতিক লাইসেন্স, অনুমোদন এবং সার্টিফিকেট থাকতে হয়। একই কাগজপত্র একাধিক সংস্থায় বারবার জমা দিতে হচ্ছে। সাত সংস্থা থেকেই ব্যবসায়ীদের প্রায় ২১টি সনদ নিতে হয়। এসব সনদের বেড়াজ
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের বাজারে ফের বাড়ল সোনার দাম। এবার নতুন করে প্রতি ভরিতে ভালো মানের সোনার (২২ ক্যারেট) দাম বেড়েছে চার হাজার ১৮৮ টাকা। এখন থেকে দেশের বাজারে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের সোনা বিক্রি হবে দুই লাখ আট হাজার ৪৭১ টাকায়।
১৬ ঘণ্টা আগে
দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৩১ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
১৭ ঘণ্টা আগে