চট্টগ্রাম বন্দরে চার্জ ও মূসক সহনীয় পর্যায়ে আনতে বিজিএমইএর অনুরোধ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯: ৫৯
আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০: ০১

প্রতিযোগী দেশগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বন্দর সেবার উপর আরোপিত বিভিন্ন চার্জ ও মূসক সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।

বিজিএমইএ’র প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে বিজিএমইএ’র সহায়ক কমিটির সদস্য ও বিজিএমইএ’র নেতারা রোববার চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এস.এম. মনিরুজ্জামানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ অনুরোধ করেন।

বিজ্ঞাপন

012

এ সময় তারা দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের বৃহত্তর স্বার্থে চট্টগ্রাম বন্দরে ব্যয় নিয়ন্ত্রণ এবং বন্দরকে সুরক্ষিত ও গতিশীল করার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে বিজিএমইএ।

এ’সময় উপস্থিত ছিলেন- বিজিএমইএ’র সহায়ক কমিটির সদস্য এমডি. এম. মহিউদ্দিন চৌধুরী, বিজিএমইএ’র প্রাক্তন প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম, নাসিরউদ্দিন চৌধুরী, বিজিএমইএ’র প্রাক্তন পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, সাইফ উল্লাহ মনসুর, বিজিএমইএ ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বিজিএমইএ’র বিজিএমইএ’র প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, চট্রগ্রাম বন্দর রপ্তানিমুখী তৈরী পোশাক শিল্পের পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে ব্যাপক ভূমিকা রেখে আসছে। দেশের রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ আসে (অর্থ্যাৎ ৮১ দশমিক ২৯ শতাংশ) তৈরী পোশাক পোশাক শিল্প থেকে।

তিনি পোশাক শিল্পের আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম দ্রুততার সাথে সম্পাদনে বন্দর কর্তৃপক্ষের সার্বিক সহযোগিতা চান। এ সময় শিল্পের প্রতিযোগী সক্ষমতা ধরে রাখার জন্য প্রতিযোগী দেশগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বন্দর সেবার উপর আরোপিত বিভিন্ন চার্জ ও মূসক সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনার জন্য অনুরোধ করেন।

বিজিএমইএ প্রশাসক পোশাক শিল্পের আমদানিকৃত এলসিএল পণ্য খালাস দ্রুততর-করণ, টার্মিনাল অপারেটিং সিস্টেমের এক্সেস প্রদান করার মাধ্যমে বন্দর ব্যবহারকারীদেরকে একটি আধুনিক বন্দর উপহার দেয়ার উপরও জোর দেন।

আনোয়ার হোসেন বন্দরে বিস্ফোরক ও ডাম্পিং দ্রব্য অপসারণের মাধ্যমে বন্দরের কার্যক্ষমতা ও ইমেজ বৃদ্ধি করার উপর গুরুত্বারোপ করেন এবং বন্দরে আধুনিক সরঞ্জাম ও দক্ষ জনবল দিয়ে রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্পের আমদানি-রপ্তানিতে সহায়তা করার জন্য অনুরোধ করেন।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস.এম. মনিরুজ্জামান- বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্পের অবদানের প্রশংসা করে বলেন, এ’শিল্প দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড।

তিনি বলেন, রপ্তানি প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমদানি-রপ্তানি সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম দ্রুততার সাথে সম্পাদনে সচেষ্ট রয়েছে এবং বন্দরকে আরও গতিশীল ও আধুনিক করা এবং বন্দরের সামর্থ্য বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে তিনি বিজিএমইএ’র নেতাদের আশ্বস্ত করেন।

তিনি বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নে বিজিএমইএ, সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডারসহ সর্বমহলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।

এমএস

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত