আলোচনা সভায় বক্তারা
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সমালোচনা করে অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, কোনো দুর্বল এবং অসমন্বিত সরকারের যদি রাজনৈতিক বৈধতা না থাকে, তাহলে তাদের সফলভাবে দর কষাকষি করার নজির বিরল।
তিনি বলেছেন, দেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো ‘নন-ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট’ (এনডিএ) সই হতে দেখলেন। যার ফলে এটি এখন একটি বাধ্যবাধকতায় পরিণত হয়েছে। এখন যদি বাংলাদেশ কোনো লবিস্ট নিয়োগ করে, তার কাছেও এই তথ্য প্রকাশ করা যাবে না।’
গতকাল রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে একটি দৈনিক পত্রিকার আয়োজিত ‘ইউএস রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ: কোন পথে বাংলাদেশ’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ [পারস্পরিক শুল্ক] বিষয়ে সরকারের অবস্থান নিয়ে খানিকটা ব্যঙ্গাত্মক সুরে দেবপ্রিয় বলেন, ‘কর্দমাক্ত জায়গায় নিষ্পাপ সরকার নিয়ে এগুচ্ছি। এমন নির্দোষ আর নিষ্পাপ সরকার আমি আগে দেখিনি।’
তবে দেবপ্রিয় এও মনে করেন, ট্রাম্প প্রশাসনের এই নতুন শুল্কনীতি দীর্ঘমেয়াদে কার্যকর হবে না। তা সত্ত্বেও এই উদ্যোগকে তিনি বাংলাদেশের জন্য একটি ‘ওয়েক আপ কল’ হিসেবে দেখছেন।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পাল্টা শুল্ক নিয়ে সরকার ভেবেছিল, আলাপ-আলোচনা করে সমাধান করে ফেলবে। এ নিয়ে সরকারের এক ধরনের কৃতিত্ব নেওয়ার মানসিকতা ছিল। দর কষাকষির সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিরা ভেবেছিলেন, পাল্টা শুল্ককে ১০ শতাংশ বা শূন্য শতাংশে নামিয়ে আনতে পারবেন। সরকারি পর্যায়ে এমন আত্মবিশ্বাস ও অতি আত্মবিশ্বাসের খেসারত দিচ্ছি।
৪০ বছরের ব্যবসায়িক জীবনে রপ্তানি খাতে এমন সংকট কখনো দেখেননি বলে মন্তব্য করেছেন হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ কে আজাদ। তিনি বলেন, ‘আমরা ব্যবসায়ীরা এই খাতকে সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে এসেছি। কিন্তু এখন হতাশ ও ক্ষুব্ধ।’
সম্প্রতি এক ব্র্যান্ড অংশীদারের সঙ্গে বৈঠকের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে এ কে আজাদ বলেন, ‘আমার এক বড় ব্র্যান্ড হেড অফিসে ডেকে জানায়, তারা নিজ দেশের সরকারের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান বোঝার চেষ্টা করেছে। তাদের ভাষ্য ছিল— ‘তোমাদের অবস্থান দুর্বল, ভালো ফল আশা করা যাচ্ছে না।’ এটা শুনে তিনি হতাশ হয়ে পড়েন।
পাল্টা শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দর কষাকষির প্রক্রিয়া নিয়ে সরকারের সমালোচনা করে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, ‘শুল্ক নিয়ে আলোচনা ও দর কষাকষির ক্ষেত্রে সরকার যদি মনে করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দর কষাকষির মাধ্যমে তারা ভারত, ভিয়েতনাম বা কম্বোডিয়ার চেয়ে ভালো সুবিধা আনতে পারবে; ব্যবসায়ীদের সম্পৃক্ত করার দরকার নেই, এজন্য আমলাতন্ত্রই যথেষ্ট; দর কষাকষির জন্য যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য প্রতিনিধি (ইউএসটিআর) একমাত্র জায়গাÑ তাহলে বলব, আমরা সমস্যা নিজেরাই ডেকে নিয়ে আসছি।’
আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, ‘সরকারের প্রথম যে জিনিসটা প্রয়োজন, সেটি হলো মনোভাবের পরিবর্তন। এ পরিবর্তন অত্যন্ত জরুরি। কারণ, আমরা আসলে কী চাই, তা পরিষ্কার করে জানানো। রপ্তানি খাতটি শুধু বৈদেশিক মুদ্রা আয়েরই মাধ্যম নয়, একই সঙ্গে বৈদেশিক বিনিয়োগ ও বিপুল কর্মসংস্থানও জড়িত। এ বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাল্টা শুল্কসহ বাণিজ্য আলোচনায় বাংলাদেশে পিছিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর। যদিও তিনি মনে করেন, আলোচনা ও দর কষাকষির জায়গা এখনো শেষ হয়ে যায়নি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সমালোচনা করে অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, কোনো দুর্বল এবং অসমন্বিত সরকারের যদি রাজনৈতিক বৈধতা না থাকে, তাহলে তাদের সফলভাবে দর কষাকষি করার নজির বিরল।
তিনি বলেছেন, দেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো ‘নন-ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট’ (এনডিএ) সই হতে দেখলেন। যার ফলে এটি এখন একটি বাধ্যবাধকতায় পরিণত হয়েছে। এখন যদি বাংলাদেশ কোনো লবিস্ট নিয়োগ করে, তার কাছেও এই তথ্য প্রকাশ করা যাবে না।’
গতকাল রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে একটি দৈনিক পত্রিকার আয়োজিত ‘ইউএস রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ: কোন পথে বাংলাদেশ’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ [পারস্পরিক শুল্ক] বিষয়ে সরকারের অবস্থান নিয়ে খানিকটা ব্যঙ্গাত্মক সুরে দেবপ্রিয় বলেন, ‘কর্দমাক্ত জায়গায় নিষ্পাপ সরকার নিয়ে এগুচ্ছি। এমন নির্দোষ আর নিষ্পাপ সরকার আমি আগে দেখিনি।’
তবে দেবপ্রিয় এও মনে করেন, ট্রাম্প প্রশাসনের এই নতুন শুল্কনীতি দীর্ঘমেয়াদে কার্যকর হবে না। তা সত্ত্বেও এই উদ্যোগকে তিনি বাংলাদেশের জন্য একটি ‘ওয়েক আপ কল’ হিসেবে দেখছেন।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পাল্টা শুল্ক নিয়ে সরকার ভেবেছিল, আলাপ-আলোচনা করে সমাধান করে ফেলবে। এ নিয়ে সরকারের এক ধরনের কৃতিত্ব নেওয়ার মানসিকতা ছিল। দর কষাকষির সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিরা ভেবেছিলেন, পাল্টা শুল্ককে ১০ শতাংশ বা শূন্য শতাংশে নামিয়ে আনতে পারবেন। সরকারি পর্যায়ে এমন আত্মবিশ্বাস ও অতি আত্মবিশ্বাসের খেসারত দিচ্ছি।
৪০ বছরের ব্যবসায়িক জীবনে রপ্তানি খাতে এমন সংকট কখনো দেখেননি বলে মন্তব্য করেছেন হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ কে আজাদ। তিনি বলেন, ‘আমরা ব্যবসায়ীরা এই খাতকে সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে এসেছি। কিন্তু এখন হতাশ ও ক্ষুব্ধ।’
সম্প্রতি এক ব্র্যান্ড অংশীদারের সঙ্গে বৈঠকের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে এ কে আজাদ বলেন, ‘আমার এক বড় ব্র্যান্ড হেড অফিসে ডেকে জানায়, তারা নিজ দেশের সরকারের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান বোঝার চেষ্টা করেছে। তাদের ভাষ্য ছিল— ‘তোমাদের অবস্থান দুর্বল, ভালো ফল আশা করা যাচ্ছে না।’ এটা শুনে তিনি হতাশ হয়ে পড়েন।
পাল্টা শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দর কষাকষির প্রক্রিয়া নিয়ে সরকারের সমালোচনা করে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, ‘শুল্ক নিয়ে আলোচনা ও দর কষাকষির ক্ষেত্রে সরকার যদি মনে করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দর কষাকষির মাধ্যমে তারা ভারত, ভিয়েতনাম বা কম্বোডিয়ার চেয়ে ভালো সুবিধা আনতে পারবে; ব্যবসায়ীদের সম্পৃক্ত করার দরকার নেই, এজন্য আমলাতন্ত্রই যথেষ্ট; দর কষাকষির জন্য যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য প্রতিনিধি (ইউএসটিআর) একমাত্র জায়গাÑ তাহলে বলব, আমরা সমস্যা নিজেরাই ডেকে নিয়ে আসছি।’
আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, ‘সরকারের প্রথম যে জিনিসটা প্রয়োজন, সেটি হলো মনোভাবের পরিবর্তন। এ পরিবর্তন অত্যন্ত জরুরি। কারণ, আমরা আসলে কী চাই, তা পরিষ্কার করে জানানো। রপ্তানি খাতটি শুধু বৈদেশিক মুদ্রা আয়েরই মাধ্যম নয়, একই সঙ্গে বৈদেশিক বিনিয়োগ ও বিপুল কর্মসংস্থানও জড়িত। এ বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাল্টা শুল্কসহ বাণিজ্য আলোচনায় বাংলাদেশে পিছিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর। যদিও তিনি মনে করেন, আলোচনা ও দর কষাকষির জায়গা এখনো শেষ হয়ে যায়নি।
দাবা বিশ্বকাপে বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিনিধিত্বকারী মনন রেজা নীড়ের বিশ্বজয়ের যাত্রার অংশীদার হতে পেরে গর্বিত বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি ছয়টি ব্যাংক থেকে প্রতি ডলার ১২১ টাকা ৮০ পয়সা দরে ৩৮ মিলিয়ন ডলার কিনেছে। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ব্যাংকগুলো থেকে মোট ২ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
২ ঘণ্টা আগেএই তদন্তের ফলে হোয়াইট হাউস যেকোনো আমদানি পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, এতে আবারও শুরু হতে পারে বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধ—যা কয়েকদিন আগেই কিছুটা প্রশমিত হয়েছিল।
২ ঘণ্টা আগেআজ, বুধবার, বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর ব্যবস্থাপনায় ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ উদ্যোগ কার্যক্রম সম্প্রসারণ ক্যাম্পেইন’ উপলক্ষ্যে চট্টগ্রামে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য রোডশো, সেমিনার এবং স্টল প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে