মাহমুদা ডলি
রমজানের তৃতীয় সপ্তাহে গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটে ঈদের কেনাকাটায় ভিড় জমায় নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। ছুটির দিন হলেও সকাল থেকেই বিভিন্ন মার্কেটে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়ে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।
গতকাল দিনের শুরুতে বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত নিত্যপণ্যের বাজার থেকে শুরু করে বিপণিবিতানে ক্রেতাদের ঢল নামে। পরে আবার জুমার নামাজ শেষে মার্কেটমুখী মানুষের ভিড় জমে।
রাজধানী মার্কেট, নিউমার্কেট, গাউছিয়া, নুরজাহান, বদরুদ্দৌজা, নূর ম্যানশন, চাঁদনী চক, ইস্টার্ন মল্লিকা কমপ্লেক্স, গ্রিন স্মরণিকা, সুবাস্তু, চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট, ধানমন্ডি হকার্স মার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড ও তার আশপাশের এলাকায় ঈদের কেনাকাটা করতে ক্রেতারা ভিড় জমান। ঈদকে কেন্দ্র করে এসব মার্কেটের দোকানগুলোতে উঠেছে বাহারি সব পোশাক।
নিউমার্কেট, গাউছিয়া ও চাঁদনী চকের ব্যবসায়ীরা জানান, বরাবরের মতো এবারও বিদেশি পোশাকের দিকে ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি। এ জন্য বেশির ভাগ দোকানে ভারত ও পাকিস্তানের নাম করে বাংলাদেশে তৈরি পোশাকই বিক্রি করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গাউছিয়া মার্কেটের ব্যবসায়ী বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন সব কোয়ালিটির জামাকাপড় পাওয়া যায়। আমরাই বিদেশে পোশাক তৈরি করে পাঠাই। কিন্তু ইন্ডিয়ান, পাকিস্তানি বললে কাস্টমার আগ্রহী হয়, তাই ওইসব বইলা বেচতে হয়।’
তবে বেচাকেনা নিয়ে সন্তুষ্ট নন ব্যবসায়ীরা। তাদের অভিযোগ, ক্রেতারা পোশাক দেখছেন বেশি, কিনছেন কম। দরদাম করে চলে যাচ্ছেন বেশির ভাগ লোক। চাঁদনী চকের থ্রিপিস বিক্রেতা মোল্লা হালিম বলেন, ‘আজ ছুটির দিন। বেলা ৩টা বাজল, এখনো বেচাকেনা শুরু করতে পারলাম না। কাস্টমার দামদর কইরা চলে যায়।’
নিউমার্কেটে চুড়ি কিনতে আসা ইডেন কলেজ ছাত্রী কাকন মেহের বলেন, ‘পরিবারের সবার জন্য শাড়ি, পাঞ্জাবি, শার্ট, থ্রিপিস আরো আগেই কেনা শেষ। টেইলার্সে আছে কিছু। ছোটখাটো কিছু জিনিস কেনা শুধু বাকি। সেগুলোও দু-এক দিনে শেষ করে ফেলব।’
রাজধানী মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানালেন, গত কয়েকটি ঈদের মতো এবারও মেয়েদের পোশাকে সারারা, গারারা ও গাউনের চাহিদা বেশি। ঈদের সময় বেশ গরম থাকায় নরম, সুতির আরামদায়ক কাপড় কিনছেন ক্রেতারা। যারা থান কাপড় কিনে পোশাক বানান, তারা বেশি আগ্রহী অরগাঞ্জা, পাকিস্তানি সেহেলি কটন ও বারিশ থান কাপড়ে।
রাজধানী মার্কেটে মুগদা থেকে মেয়ে ও দুই ছেলের জন্য কেনাকাটা করতে এসেছিলেন পান্না। তিনি বলেন, ‘কষ্ট করে রাজধানী মার্কেটে এসেছি। কারণ, এখানে জামা কাপড়ের দাম কম। কিন্তু এ বছরে রাজধানী মাকের্টেও দাম বেশি। গরিবদের কেনাকাটায় স্বস্তি নেই কোথাও।’
রাজধানীজুড়ে যানজট
গতকাল রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে টিকাটুলি রাজধানী মার্কেট ছাড়িয়ে গুলিস্তান পর্যন্ত যানজটে ছিল স্থবির। সরেজমিনে দেখা যায়, ধানমন্ডি, আসাদগেট, সায়েন্সল্যাব, নিউ মার্কেট, গ্রিন রোড, পান্থপথ, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর, শাহবাগ, মংস্য ভবন সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে রামপুরা চৌধুরীপাড়া থেকে শুরু করে শাহজাদপুর নতুন বাজার পর্যন্ত তীব্র যানজট হয়।
এ ছাড়া সড়কে যানবাহনের চাপ দেখা গেছে বিজয় সরণি, সাত রাস্তা ও মহাখালীর দিকেও। সড়কে যানবাহনের চাপ থাকায় ঘরে ফেরা মানুষের পথে দীর্ঘ সময় কেটে যাচ্ছে। ইফতারের আগে বাসায় পৌঁছাতে সড়কের ভোগান্তি এড়াতে অনেকে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে গন্তব্যে রওনা হন।
এদিকে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট এলাকায় যানজট নিরসনে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ। গত সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঈদুল ফিতরের কেনাকাটার জন্য রাজধানীর মার্কেট এলাকায় বিপুল জনসমাগম ঘটবে, তাই যানচলাচল সহজ করতে নিচের ক্রসিংগুলোর দিকে ডাইভারশন দেওয়া হবে-
সোনারগাঁও ক্রসিং থেকে পান্থপথ (বীর উত্তম কাজী নুরুজ্জামান সড়ক) হয়ে পান্থপথ, নিউমার্কেট, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, ঝিগাতলা, মিরপুরগামী যানবাহনগুলোকে ফার্মগেট বা শাহবাগের দিকে ডাইভারশন দেওয়া হবে। পান্থপথ গ্রিন রোড ক্রসিং থেকে সোনারগাঁও ক্রসিংগামী যানবাহনগুলোকে গ্রিন রোডে/রাসেল স্কয়ার বা ফার্মগেটের দিকে ডাইভারশন দেওয়া হবে। মিরপুর রোড ও ধানমন্ডি থেকে সায়েন্সল্যাব ইন্টারসেকশন হয়ে নিউমার্কেটগামী যানবাহনগুলোকে সায়েন্সল্যাব ক্রসিং থেকে বামে মোড় নিয়ে এলিফ্যান্ট রোড বা কাঁটাবন রোড অথবা পলাশী ক্রসিং দিয়ে চলাচল করতে বলা হবে।
রমজানের তৃতীয় সপ্তাহে গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটে ঈদের কেনাকাটায় ভিড় জমায় নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। ছুটির দিন হলেও সকাল থেকেই বিভিন্ন মার্কেটে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়ে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।
গতকাল দিনের শুরুতে বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত নিত্যপণ্যের বাজার থেকে শুরু করে বিপণিবিতানে ক্রেতাদের ঢল নামে। পরে আবার জুমার নামাজ শেষে মার্কেটমুখী মানুষের ভিড় জমে।
রাজধানী মার্কেট, নিউমার্কেট, গাউছিয়া, নুরজাহান, বদরুদ্দৌজা, নূর ম্যানশন, চাঁদনী চক, ইস্টার্ন মল্লিকা কমপ্লেক্স, গ্রিন স্মরণিকা, সুবাস্তু, চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট, ধানমন্ডি হকার্স মার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড ও তার আশপাশের এলাকায় ঈদের কেনাকাটা করতে ক্রেতারা ভিড় জমান। ঈদকে কেন্দ্র করে এসব মার্কেটের দোকানগুলোতে উঠেছে বাহারি সব পোশাক।
নিউমার্কেট, গাউছিয়া ও চাঁদনী চকের ব্যবসায়ীরা জানান, বরাবরের মতো এবারও বিদেশি পোশাকের দিকে ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি। এ জন্য বেশির ভাগ দোকানে ভারত ও পাকিস্তানের নাম করে বাংলাদেশে তৈরি পোশাকই বিক্রি করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গাউছিয়া মার্কেটের ব্যবসায়ী বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন সব কোয়ালিটির জামাকাপড় পাওয়া যায়। আমরাই বিদেশে পোশাক তৈরি করে পাঠাই। কিন্তু ইন্ডিয়ান, পাকিস্তানি বললে কাস্টমার আগ্রহী হয়, তাই ওইসব বইলা বেচতে হয়।’
তবে বেচাকেনা নিয়ে সন্তুষ্ট নন ব্যবসায়ীরা। তাদের অভিযোগ, ক্রেতারা পোশাক দেখছেন বেশি, কিনছেন কম। দরদাম করে চলে যাচ্ছেন বেশির ভাগ লোক। চাঁদনী চকের থ্রিপিস বিক্রেতা মোল্লা হালিম বলেন, ‘আজ ছুটির দিন। বেলা ৩টা বাজল, এখনো বেচাকেনা শুরু করতে পারলাম না। কাস্টমার দামদর কইরা চলে যায়।’
নিউমার্কেটে চুড়ি কিনতে আসা ইডেন কলেজ ছাত্রী কাকন মেহের বলেন, ‘পরিবারের সবার জন্য শাড়ি, পাঞ্জাবি, শার্ট, থ্রিপিস আরো আগেই কেনা শেষ। টেইলার্সে আছে কিছু। ছোটখাটো কিছু জিনিস কেনা শুধু বাকি। সেগুলোও দু-এক দিনে শেষ করে ফেলব।’
রাজধানী মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানালেন, গত কয়েকটি ঈদের মতো এবারও মেয়েদের পোশাকে সারারা, গারারা ও গাউনের চাহিদা বেশি। ঈদের সময় বেশ গরম থাকায় নরম, সুতির আরামদায়ক কাপড় কিনছেন ক্রেতারা। যারা থান কাপড় কিনে পোশাক বানান, তারা বেশি আগ্রহী অরগাঞ্জা, পাকিস্তানি সেহেলি কটন ও বারিশ থান কাপড়ে।
রাজধানী মার্কেটে মুগদা থেকে মেয়ে ও দুই ছেলের জন্য কেনাকাটা করতে এসেছিলেন পান্না। তিনি বলেন, ‘কষ্ট করে রাজধানী মার্কেটে এসেছি। কারণ, এখানে জামা কাপড়ের দাম কম। কিন্তু এ বছরে রাজধানী মাকের্টেও দাম বেশি। গরিবদের কেনাকাটায় স্বস্তি নেই কোথাও।’
রাজধানীজুড়ে যানজট
গতকাল রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে টিকাটুলি রাজধানী মার্কেট ছাড়িয়ে গুলিস্তান পর্যন্ত যানজটে ছিল স্থবির। সরেজমিনে দেখা যায়, ধানমন্ডি, আসাদগেট, সায়েন্সল্যাব, নিউ মার্কেট, গ্রিন রোড, পান্থপথ, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর, শাহবাগ, মংস্য ভবন সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে রামপুরা চৌধুরীপাড়া থেকে শুরু করে শাহজাদপুর নতুন বাজার পর্যন্ত তীব্র যানজট হয়।
এ ছাড়া সড়কে যানবাহনের চাপ দেখা গেছে বিজয় সরণি, সাত রাস্তা ও মহাখালীর দিকেও। সড়কে যানবাহনের চাপ থাকায় ঘরে ফেরা মানুষের পথে দীর্ঘ সময় কেটে যাচ্ছে। ইফতারের আগে বাসায় পৌঁছাতে সড়কের ভোগান্তি এড়াতে অনেকে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে গন্তব্যে রওনা হন।
এদিকে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট এলাকায় যানজট নিরসনে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ। গত সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঈদুল ফিতরের কেনাকাটার জন্য রাজধানীর মার্কেট এলাকায় বিপুল জনসমাগম ঘটবে, তাই যানচলাচল সহজ করতে নিচের ক্রসিংগুলোর দিকে ডাইভারশন দেওয়া হবে-
সোনারগাঁও ক্রসিং থেকে পান্থপথ (বীর উত্তম কাজী নুরুজ্জামান সড়ক) হয়ে পান্থপথ, নিউমার্কেট, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, ঝিগাতলা, মিরপুরগামী যানবাহনগুলোকে ফার্মগেট বা শাহবাগের দিকে ডাইভারশন দেওয়া হবে। পান্থপথ গ্রিন রোড ক্রসিং থেকে সোনারগাঁও ক্রসিংগামী যানবাহনগুলোকে গ্রিন রোডে/রাসেল স্কয়ার বা ফার্মগেটের দিকে ডাইভারশন দেওয়া হবে। মিরপুর রোড ও ধানমন্ডি থেকে সায়েন্সল্যাব ইন্টারসেকশন হয়ে নিউমার্কেটগামী যানবাহনগুলোকে সায়েন্সল্যাব ক্রসিং থেকে বামে মোড় নিয়ে এলিফ্যান্ট রোড বা কাঁটাবন রোড অথবা পলাশী ক্রসিং দিয়ে চলাচল করতে বলা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী বর্তমান রিজার্ভের পরিমাণ ২৭ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার।
২ ঘণ্টা আগেফের বড় ধরনের তারল্য সংকটে পড়েছে দেশের শেয়ারবাজার। বুধবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হয়েছে মাত্র ৩৫৫ কোটি টাকা, যা গত চার মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে গত ২৩ জুন ডিএসইতে সর্বনিম্ন ২৭৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল।
২ ঘণ্টা আগেদাবা বিশ্বকাপে বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিনিধিত্বকারী মনন রেজা নীড়ের বিশ্বজয়ের যাত্রার অংশীদার হতে পেরে গর্বিত বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ।
৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি ছয়টি ব্যাংক থেকে প্রতি ডলার ১২১ টাকা ৮০ পয়সা দরে ৩৮ মিলিয়ন ডলার কিনেছে। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ব্যাংকগুলো থেকে মোট ২ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
৪ ঘণ্টা আগে