ইমদাদ হোসাইন
অর্থনীতির সংকট কাটিয়ে অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশের শিল্প উৎপাদন বেড়েছে ১১ শতাংশ। তবে এ সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ কমেছে ১০ শতাংশ, সাধারণ উৎপাদনও বেড়েছে ৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ। সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি, মূল্যস্ফীতি কমে যাওয়া, ডলারের দাম স্থিতিশীল থাকা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক থাকায় দেশের শিল্প খাতের উৎপাদন বেড়েছে বলে মনে করেন শিল্প উদ্যোক্তারা।
এর আগে প্রায় দুই বছরের বেশি সময় দেশের অর্থনীতির সংকট থাকায় শিল্প উৎপাদনে বড় ধাক্কা এসেছিল। আওয়ামী লীগের শেষ কয়েক বছর বিভিন্ন শিল্প খাতে উৎপাদন কমে যাওয়ার পেছনে একাধিক কারণ ছিল। এর মধ্যে প্রকট ছিল জ্বালানি সংকট, গ্যাস ও বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ ছিল না কল-কারখানায়। পাশাপাশি ডলারের মূল্যবৃদ্ধি এবং কাঁচামাল আমদানিতে নিয়ন্ত্রণের কারণে বিনিয়োগে স্থবিরতা দেখা দেয়। বেসরকারি ও বিদেশি বিনিয়োগ কমে এক অঙ্কের ঘরে নামে, যেটি এখনো বহাল আছে। ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদহার এবং খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির কারণেও শিল্প খাতের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছিল।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মাসিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল সূচকের তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশের শিল্প উৎপাদন সূচক বেড়ে দাঁড়ায় ২২০ দশমিক ৯১ পয়েন্টে। এ খাতের উৎপাদন আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৯৯ শতাংশ বেড়েছে।
মাইনিং বা খনিজ পদার্থ (যেমন কয়লা, ধাতু বা পাথর) ভূ-পৃষ্ঠ থেকে উত্তোলন করার প্রক্রিয়া এ মাসে কিছুটা কমেছে। বিবিএসের তথ্য বলছে, জুলাইয়ে মাইনিংয়ের প্রবৃদ্ধি কমেছে ৩ দশমিক ১৮ শতাংশ। এ সময় বিদ্যুৎ উৎপাদনেও ঘাটতি দেখা দিয়েছে। জুলাই মাসে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমেছে ১০ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। তবে সাধারণ অন্য শিল্প খাতের উৎপাদন এ সময় ৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ বেড়েছে।
বড়, মাঝারি ও ছোট শিল্পের উৎপাদন হিসাব করলে দেখা যায়, অর্থবছরের শুরুর মাসে বড় শিল্পের উৎপাদন বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। সংস্থাটির তথ্য বলছে, জুলাই মাসে বড় শিল্প খাতের উৎপাদন বেড়েছে ১৫ দশমিক ৫১ শতাংশ, এসএমই খাতের উৎপাদন বেড়েছে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ আর কটেজ শিল্পের উৎপাদন বেড়েছে ৪ দশমিক ৯৪ শতাংশ। সব খাতের উৎপাদন বেড়েছে গড়ে ১০ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
বিবিএসের অর্থনৈতিক শুমারি-২০২৪-এর প্রাথমিক ফলাফল অনুযায়ী, ২০১২-১৩ অর্থবছরে দেশে উৎপাদন খাতে মোট উৎপাদনের পরিমাণ ছিল প্রায় ১ দশমিক ৯৭ লাখ কোটি টাকা, যা ১১ বছরে বেড়ে প্রায় ১১ দশমিক ৩২ লাখ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ এই সময়ের মধ্যে উৎপাদন খাতের মোট উৎপাদনমূল্য প্রায় ৫ দশমিক ৭৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
যদিও মোট উৎপাদন বেড়েছে, কিছু প্রতিবেদন বলছে যে, শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি গত কয়েক বছর বিশেষ করে আওয়ামী লীগের শেষ সময়ে ধারাবাহিকভাবে কমে আসছে। উদাহরণস্বরূপ, ২০২০-২১ অর্থবছরে শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি ছিল ১০ দশমিক ২৯ শতাংশ, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সাময়িক হিসাবে ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশে নেমে এসেছিল।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, জুলাই-আগস্ট অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ৮ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এটি আগের বছরের একই সময়ের ৭ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় ১০ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। তৈরি পোশাক খাত ৯ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে, যেখানে আরএমজি-বহির্ভূত পণ্য ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রথম দুই মাসে যুক্তরাষ্ট্র বৃহত্তম বাজার হিসেবে রয়ে গেছে, দেশটিতে মোট রপ্তানির ১৯ শতাংশ হয়। এই সময়ে দেশটিতে রপ্তানি বেড়েছে ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ।
পিআরআই আরো বলছে, অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে বাংলাদেশের আমদানি ৯ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। জুলাই-আগস্ট মাসে আমদানি এলসি নিষ্পত্তি সামগ্রিকভাবে সামান্য বেড়েছে, ভোগ্যপণ্যের (+৭.৯%) এবং শিল্প কাঁচামালের (+৩.০%) প্রবৃদ্ধির সঙ্গে। তবে, মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি ১১.৯% হ্রাস পেয়েছে, যা দুর্বল বিনিয়োগ মনোভাব এবং ভবিষ্যতের শিল্প প্রবৃদ্ধির ওপর সম্ভাব্য চাপের ইঙ্গিত দেয়।
অর্থনীতির সংকট কাটিয়ে অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশের শিল্প উৎপাদন বেড়েছে ১১ শতাংশ। তবে এ সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ কমেছে ১০ শতাংশ, সাধারণ উৎপাদনও বেড়েছে ৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ। সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি, মূল্যস্ফীতি কমে যাওয়া, ডলারের দাম স্থিতিশীল থাকা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক থাকায় দেশের শিল্প খাতের উৎপাদন বেড়েছে বলে মনে করেন শিল্প উদ্যোক্তারা।
এর আগে প্রায় দুই বছরের বেশি সময় দেশের অর্থনীতির সংকট থাকায় শিল্প উৎপাদনে বড় ধাক্কা এসেছিল। আওয়ামী লীগের শেষ কয়েক বছর বিভিন্ন শিল্প খাতে উৎপাদন কমে যাওয়ার পেছনে একাধিক কারণ ছিল। এর মধ্যে প্রকট ছিল জ্বালানি সংকট, গ্যাস ও বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ ছিল না কল-কারখানায়। পাশাপাশি ডলারের মূল্যবৃদ্ধি এবং কাঁচামাল আমদানিতে নিয়ন্ত্রণের কারণে বিনিয়োগে স্থবিরতা দেখা দেয়। বেসরকারি ও বিদেশি বিনিয়োগ কমে এক অঙ্কের ঘরে নামে, যেটি এখনো বহাল আছে। ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদহার এবং খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির কারণেও শিল্প খাতের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছিল।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মাসিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল সূচকের তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশের শিল্প উৎপাদন সূচক বেড়ে দাঁড়ায় ২২০ দশমিক ৯১ পয়েন্টে। এ খাতের উৎপাদন আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৯৯ শতাংশ বেড়েছে।
মাইনিং বা খনিজ পদার্থ (যেমন কয়লা, ধাতু বা পাথর) ভূ-পৃষ্ঠ থেকে উত্তোলন করার প্রক্রিয়া এ মাসে কিছুটা কমেছে। বিবিএসের তথ্য বলছে, জুলাইয়ে মাইনিংয়ের প্রবৃদ্ধি কমেছে ৩ দশমিক ১৮ শতাংশ। এ সময় বিদ্যুৎ উৎপাদনেও ঘাটতি দেখা দিয়েছে। জুলাই মাসে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমেছে ১০ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। তবে সাধারণ অন্য শিল্প খাতের উৎপাদন এ সময় ৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ বেড়েছে।
বড়, মাঝারি ও ছোট শিল্পের উৎপাদন হিসাব করলে দেখা যায়, অর্থবছরের শুরুর মাসে বড় শিল্পের উৎপাদন বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। সংস্থাটির তথ্য বলছে, জুলাই মাসে বড় শিল্প খাতের উৎপাদন বেড়েছে ১৫ দশমিক ৫১ শতাংশ, এসএমই খাতের উৎপাদন বেড়েছে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ আর কটেজ শিল্পের উৎপাদন বেড়েছে ৪ দশমিক ৯৪ শতাংশ। সব খাতের উৎপাদন বেড়েছে গড়ে ১০ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
বিবিএসের অর্থনৈতিক শুমারি-২০২৪-এর প্রাথমিক ফলাফল অনুযায়ী, ২০১২-১৩ অর্থবছরে দেশে উৎপাদন খাতে মোট উৎপাদনের পরিমাণ ছিল প্রায় ১ দশমিক ৯৭ লাখ কোটি টাকা, যা ১১ বছরে বেড়ে প্রায় ১১ দশমিক ৩২ লাখ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ এই সময়ের মধ্যে উৎপাদন খাতের মোট উৎপাদনমূল্য প্রায় ৫ দশমিক ৭৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
যদিও মোট উৎপাদন বেড়েছে, কিছু প্রতিবেদন বলছে যে, শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি গত কয়েক বছর বিশেষ করে আওয়ামী লীগের শেষ সময়ে ধারাবাহিকভাবে কমে আসছে। উদাহরণস্বরূপ, ২০২০-২১ অর্থবছরে শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি ছিল ১০ দশমিক ২৯ শতাংশ, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সাময়িক হিসাবে ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশে নেমে এসেছিল।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, জুলাই-আগস্ট অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ৮ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এটি আগের বছরের একই সময়ের ৭ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় ১০ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। তৈরি পোশাক খাত ৯ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে, যেখানে আরএমজি-বহির্ভূত পণ্য ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রথম দুই মাসে যুক্তরাষ্ট্র বৃহত্তম বাজার হিসেবে রয়ে গেছে, দেশটিতে মোট রপ্তানির ১৯ শতাংশ হয়। এই সময়ে দেশটিতে রপ্তানি বেড়েছে ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ।
পিআরআই আরো বলছে, অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে বাংলাদেশের আমদানি ৯ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। জুলাই-আগস্ট মাসে আমদানি এলসি নিষ্পত্তি সামগ্রিকভাবে সামান্য বেড়েছে, ভোগ্যপণ্যের (+৭.৯%) এবং শিল্প কাঁচামালের (+৩.০%) প্রবৃদ্ধির সঙ্গে। তবে, মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি ১১.৯% হ্রাস পেয়েছে, যা দুর্বল বিনিয়োগ মনোভাব এবং ভবিষ্যতের শিল্প প্রবৃদ্ধির ওপর সম্ভাব্য চাপের ইঙ্গিত দেয়।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে বহুল আলোচিত সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান এলআর গ্লোবালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিয়াজ ইসলামকেও অনুরূপ শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে বিনিয়োগের সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগাতে দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।
১৮ ঘণ্টা আগেব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, অডিট টিমের তদন্ত শেষে অনিয়মের পূর্ণাঙ্গ চিত্র ও দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একইসঙ্গে ব্যাংকের পক্ষ থেকে দুর্নীতি দমন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে যাতে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনী শাস্তিমুলক ব্যবস্হার মুখোমুখি করা যায়।
১ দিন আগেবাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ) সরকারি ক্রয় বিষয়ে মন্ত্রণালয় পর্যায়ে সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং উচ্চ-পদস্থ নীতি নির্ধারণী কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছে।
২ দিন আগে