সাক্ষাৎকারে ডিএসইর সাবেক প্রেসিডেন্ট শাকিল রিজভী
কাওসার আলম
তারল্য সংকট, দুর্বল কোম্পানির আধিক্য, ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্ত না হওয়া শেয়ারবাজার সংকটের কারণগুলোর অন্যতম। গত দেড় দশকে দেশের আর্থিক খাতে যে অনিয়ম হয়েছে, তারও প্রভাব পড়েছে দেশের শেয়ারবাজারে। এছাড়া পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থায় যারা বিগত ১৫ বছর দায়িত্বে ছিলেন, তারা মার্কেট রেগুলেশনের নামে স্বেচ্ছাচারিতা করেছেন।
তারা কোনো ধরনের আইনের তোয়াক্কা না করে ইচ্ছামাফিক ২ সিসি ধারা ব্যবহার করেছেন। তবে বর্তমানে দেশের আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফিরে আসার পাশাপাশি নিয়ন্ত্রক সংস্থার নানামুখী উদ্যোগের কারণে শেয়ারবাজার পরিস্থিতির ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। আগামীতে আরো উন্নতি হবে। দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান পরিচালক শাকিল রিজভী গতকাল আমার দেশকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন।
বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজারের প্রাণ উল্লেখ করে শাকিল রিজভী বলেন, বিনিয়োগকারী ছাড়া শেয়ারবাজার চলে না। বিভিন্ন সময়ে বিনিয়োগকারীরা এসেছিলেন কিন্তু আমরা তাদের ধরে রাখতে পারিনি। যখনই বিনিয়োগকারীরা বাজারে এসেছেন, তখনই দুর্বল, পচা কিংবা বন্ধ হয়ে যাওয়া অনেক কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ফলে বিনিয়োগকারীরা এসব কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বাজার ছেড়ে চলে গেছেন। এটা ১৯৯৬ সালে যেমন হয়েছে, ২০০৯-১০ সালেও হয়েছে।
গত দেড় দশক দেশের শেয়ারবাজার একটা গার্বেজ রেগুলেশনে ছিল উল্লেখ করে শাকিল রিজভী বলেন, তারা কোনো নিয়ম-নীতি অনুসরণ করেনি। তারা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ১৯৬৯-এর ২ সিসি ধারার অপব্যবহার করে দুর্বল কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত করেছে, বিভিন্ন কোম্পানিকে ওয়েভার দিয়েছে, স্টক এক্সচেঞ্জকে নানা ধরনের নির্দেশনা দিয়েছে। এর ফলে নিয়ন্ত্রক সংস্থায় একটা স্বেচ্ছাচারিতা তৈরি হয়েছিল।
শুধু তা-ই নয়, নিয়ন্ত্রক সংস্থার পৃষ্ঠপোষকতায় অনেক কারসাজি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এ কারণে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং বাজার ছেড়ে চলে গেছেন।
সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হলেও সাবেক চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেনসহ কমিশনের যেসব সদস্য ছিলেন, তারা কীভাবে মুক্ত রয়েছেন—এমন প্রশ্নে ডিএসইর পরিচালক বলেন, এদের বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত হওয়া উচিত।
বিএসইসির আইন অনুযায়ী একজন ব্যক্তি দুই দফায় সর্বোচ্চ ছয় বছর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করার কথা। কিন্তু খায়রুল হোসেন ৯ বছর কীভাবে চেয়ারম্যান ছিলেন? এমন প্রশ্নে শাকিল রিজভী বলেন, এটা আইনের একটি ব্যত্যয়। তবে জনমনে ধারণা রয়েছে নিশ্চয়ই তিনি কাউকে অনৈতিক সুবিধা দিয়েছিলেন এবং তার পুরস্কার হিসেবে তাকে বাড়তি আরো তিন বছর চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের শেয়ারবাজারে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন হবে বলে অনেকে আশাবাদী ছিলেন; কিন্তু বাজারে তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, দেশের আর্থিক পরিস্থিতি বিবেচনা না করেই শেখ হাসিনার আমলে জোর করে ব্যাংকের সুদহার ৬-৯ করা হয়েছিল। আর ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছিল। অন্তর্বর্তী সরকার ৬-৯ সুদহার উঠিয়ে দেয় এবং আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়। এরফলে দেশের শেয়ারবাজারেও তার ধাক্কা লেগেছে। তবে ধীরে ধীরে দেশের আর্থিক খাতেও শৃঙ্খলা ফিরে আসতে শুরু করেছে। রেমিট্যান্স বাড়ছে, রিজার্ভ পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে, ট্রাম্পের শুল্ক নিয়ে যে শংকা ছিল সেটা কেটে গেছে এবং ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্কের কারণে বাংলাদেশের রপ্তানি আগামী দিনে আরও বাড়বে বলে মনে করি।
এখন ব্যাংকের সুদের হার কমতে শুরু করেছে, আগামীতে আরও কমবে। এছাড়া বর্তমানে শেয়ারবাজারে কারসাজিও হচ্ছে না। ফলে ধীরে ধীরে শেয়ারবাজার পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। কিন্তু যদি আবারো দুর্বল কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়, নিয়ন্ত্রক সংস্থা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করে তাহলে বাজার পরিস্থিতির উন্নতি হবে না। বাজারে ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্তির কোন বিকল্প নেই উল্লেখ করে ডিএসইর সাবেক প্রেসিডেন্ট বলেন, ব্যাংক থেকে খুব সহজেই টাকা পাওয়া যায় বলে কোম্পানিগুলো শেয়ারবাজারে আসতে আগ্রহী হচ্ছে না। দীর্ঘ মেয়াদি অর্থায়নে শেয়ারবাজারের কোন বিকল্প নেই।
তারল্য সংকট, দুর্বল কোম্পানির আধিক্য, ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্ত না হওয়া শেয়ারবাজার সংকটের কারণগুলোর অন্যতম। গত দেড় দশকে দেশের আর্থিক খাতে যে অনিয়ম হয়েছে, তারও প্রভাব পড়েছে দেশের শেয়ারবাজারে। এছাড়া পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থায় যারা বিগত ১৫ বছর দায়িত্বে ছিলেন, তারা মার্কেট রেগুলেশনের নামে স্বেচ্ছাচারিতা করেছেন।
তারা কোনো ধরনের আইনের তোয়াক্কা না করে ইচ্ছামাফিক ২ সিসি ধারা ব্যবহার করেছেন। তবে বর্তমানে দেশের আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফিরে আসার পাশাপাশি নিয়ন্ত্রক সংস্থার নানামুখী উদ্যোগের কারণে শেয়ারবাজার পরিস্থিতির ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। আগামীতে আরো উন্নতি হবে। দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান পরিচালক শাকিল রিজভী গতকাল আমার দেশকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন।
বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজারের প্রাণ উল্লেখ করে শাকিল রিজভী বলেন, বিনিয়োগকারী ছাড়া শেয়ারবাজার চলে না। বিভিন্ন সময়ে বিনিয়োগকারীরা এসেছিলেন কিন্তু আমরা তাদের ধরে রাখতে পারিনি। যখনই বিনিয়োগকারীরা বাজারে এসেছেন, তখনই দুর্বল, পচা কিংবা বন্ধ হয়ে যাওয়া অনেক কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ফলে বিনিয়োগকারীরা এসব কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বাজার ছেড়ে চলে গেছেন। এটা ১৯৯৬ সালে যেমন হয়েছে, ২০০৯-১০ সালেও হয়েছে।
গত দেড় দশক দেশের শেয়ারবাজার একটা গার্বেজ রেগুলেশনে ছিল উল্লেখ করে শাকিল রিজভী বলেন, তারা কোনো নিয়ম-নীতি অনুসরণ করেনি। তারা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ১৯৬৯-এর ২ সিসি ধারার অপব্যবহার করে দুর্বল কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত করেছে, বিভিন্ন কোম্পানিকে ওয়েভার দিয়েছে, স্টক এক্সচেঞ্জকে নানা ধরনের নির্দেশনা দিয়েছে। এর ফলে নিয়ন্ত্রক সংস্থায় একটা স্বেচ্ছাচারিতা তৈরি হয়েছিল।
শুধু তা-ই নয়, নিয়ন্ত্রক সংস্থার পৃষ্ঠপোষকতায় অনেক কারসাজি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এ কারণে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং বাজার ছেড়ে চলে গেছেন।
সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হলেও সাবেক চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেনসহ কমিশনের যেসব সদস্য ছিলেন, তারা কীভাবে মুক্ত রয়েছেন—এমন প্রশ্নে ডিএসইর পরিচালক বলেন, এদের বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত হওয়া উচিত।
বিএসইসির আইন অনুযায়ী একজন ব্যক্তি দুই দফায় সর্বোচ্চ ছয় বছর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করার কথা। কিন্তু খায়রুল হোসেন ৯ বছর কীভাবে চেয়ারম্যান ছিলেন? এমন প্রশ্নে শাকিল রিজভী বলেন, এটা আইনের একটি ব্যত্যয়। তবে জনমনে ধারণা রয়েছে নিশ্চয়ই তিনি কাউকে অনৈতিক সুবিধা দিয়েছিলেন এবং তার পুরস্কার হিসেবে তাকে বাড়তি আরো তিন বছর চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের শেয়ারবাজারে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন হবে বলে অনেকে আশাবাদী ছিলেন; কিন্তু বাজারে তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, দেশের আর্থিক পরিস্থিতি বিবেচনা না করেই শেখ হাসিনার আমলে জোর করে ব্যাংকের সুদহার ৬-৯ করা হয়েছিল। আর ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছিল। অন্তর্বর্তী সরকার ৬-৯ সুদহার উঠিয়ে দেয় এবং আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়। এরফলে দেশের শেয়ারবাজারেও তার ধাক্কা লেগেছে। তবে ধীরে ধীরে দেশের আর্থিক খাতেও শৃঙ্খলা ফিরে আসতে শুরু করেছে। রেমিট্যান্স বাড়ছে, রিজার্ভ পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে, ট্রাম্পের শুল্ক নিয়ে যে শংকা ছিল সেটা কেটে গেছে এবং ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্কের কারণে বাংলাদেশের রপ্তানি আগামী দিনে আরও বাড়বে বলে মনে করি।
এখন ব্যাংকের সুদের হার কমতে শুরু করেছে, আগামীতে আরও কমবে। এছাড়া বর্তমানে শেয়ারবাজারে কারসাজিও হচ্ছে না। ফলে ধীরে ধীরে শেয়ারবাজার পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। কিন্তু যদি আবারো দুর্বল কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়, নিয়ন্ত্রক সংস্থা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করে তাহলে বাজার পরিস্থিতির উন্নতি হবে না। বাজারে ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্তির কোন বিকল্প নেই উল্লেখ করে ডিএসইর সাবেক প্রেসিডেন্ট বলেন, ব্যাংক থেকে খুব সহজেই টাকা পাওয়া যায় বলে কোম্পানিগুলো শেয়ারবাজারে আসতে আগ্রহী হচ্ছে না। দীর্ঘ মেয়াদি অর্থায়নে শেয়ারবাজারের কোন বিকল্প নেই।
দাবা বিশ্বকাপে বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিনিধিত্বকারী মনন রেজা নীড়ের বিশ্বজয়ের যাত্রার অংশীদার হতে পেরে গর্বিত বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি ছয়টি ব্যাংক থেকে প্রতি ডলার ১২১ টাকা ৮০ পয়সা দরে ৩৮ মিলিয়ন ডলার কিনেছে। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ব্যাংকগুলো থেকে মোট ২ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
২ ঘণ্টা আগেএই তদন্তের ফলে হোয়াইট হাউস যেকোনো আমদানি পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, এতে আবারও শুরু হতে পারে বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধ—যা কয়েকদিন আগেই কিছুটা প্রশমিত হয়েছিল।
২ ঘণ্টা আগেআজ, বুধবার, বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর ব্যবস্থাপনায় ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ উদ্যোগ কার্যক্রম সম্প্রসারণ ক্যাম্পেইন’ উপলক্ষ্যে চট্টগ্রামে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য রোডশো, সেমিনার এবং স্টল প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে